আমীরে জামা‘আতের দক্ষিণবঙ্গ সফর

‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর দেশব্যাপী যেলা সম্মেলনের অংশ হিসাবে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি যেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল হ’তে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা পাঁচদিনের সফরে দক্ষিণবঙ্গ গমন করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। রাজশাহী থেকে ১৯ এপ্রিল সকাল ৯-টায় তিনি স্বীয় সফরসঙ্গীদের নিয়ে পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, যশোর ও মেহেরপুর সাংগঠনিক যেলা সমূহের উদ্যোগে আয়োজিত যেলা সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে রাজশাহী ত্যাগ করেন। পাঁচদিনের এই দীর্ঘ সফরে তাঁর সার্বক্ষণিক সফরসঙ্গী ছিলেন, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ও ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুযাফফর বিন মুহসিন, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়ার ‘দাওরায়ে হাদীছ’ বিভাগের ছাত্র ছাদিক্ব মাহমূদ ও মেসবাহুল ইসলাম। তাছাড়া উক্ত সফরে আরো যোগদান করেন ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, সাতক্ষীরা যেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠী প্রধান মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম (জয়পুরহাট) প্রমুখ। বিস্তারিত রিপোর্ট নিম্নরূপ:

দলীয় গোঁড়ামীর ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মেনে চলুন!

- পিরোজপুর যেলা সম্মেলনে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

পিরোজপুর ১৯ এপ্রিল সোমবার : রাজশাহী হ’তে সকালে রওয়ানা হয়ে দুপুর আড়াইটায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত পিরোজপুর যেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানায় পৌঁছেন। সেখানে পূর্ব থেকে অপেক্ষমান যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হামীদ বিন শামসুদ্দীন, সহ-সভাপতি ডাঃ আযীযুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ শাহ আলম বাহাদুর আমীরে জামা‘আত ও তাঁর সাথীদের স্বাগত জানান। থানা কম্পাউন্ডের ভিতরে গাড়ী রেখে ট্রলার যোগে ‘সন্ধ্যা’ নদী পার হয়ে ৩-টার সময় তারা সম্মেলন স্থল সোহাগদল বন্দরে পৌঁছেন। অতঃপর বাদ আছর থেকে রাত্রি প্রায় দেড়টা পর্যন্ত সোহাগদল কে.পি.ইউ. মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সর্বস্তরের জনগণের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত আহবান জানান। ১৯৯৭-এর পরে দীর্ঘ প্রায় ১২ বৎসর পর সোহাগদলে আসতে পেরে তিনি সর্বাগ্রে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। অতঃপর সমবেত সুধীবৃন্দকে আল্লাহ প্রেরিত শাশ্বত কল্যাণ বিধানের দিকে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে। তিনি বলেন, দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষ ও নিঃশর্তভাবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুসরণের একটিমাত্র শর্তেই কেবল মুসলিম ঐক্য সম্ভব। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ এ লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে। যে দাওয়াত নবী-রাসূলগণ দিয়েছিলেন, যে দাওয়াত আয়েম্মায়ে মুজতাহেদীন দিয়েছিলেন সেই একই দাওয়াত নিয়ে আমরা ময়দানে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদেরকে মূলের দিকে ফিরে যাওয়া ব্যতীত কোন গত্যন্তর নেই। কেননা অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মানব রচিত বিধান মানুষের জন্য সত্যিকারের কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। সৃষ্টির জন্য স্রষ্টা প্রদত্ত বিধানই চূড়ান্ত ও অভ্রান্ত। অতএব আসুন এলাহী বিধানের নিকটে সকলে আত্মসমর্পণ করি।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি ডাঃ আযীযুল হক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, মুযাফফর বিন মুহসিন, মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম  প্রমুখ।

শর্ষিণার নিকটবর্তী (সন্ধ্যা নদীর অপরতীরে) অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে সোহাগদল ছাড়াও আদর্শ বায়া, মাহমুদকাটি ও পাশ্ববর্তী এলাকা সমূহ থেকে ‘আন্দোলন’-এর কর্মী ও সুধীগণ ট্রলার যোগে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বন্দরের হিন্দু-মুসলিম জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ও স্থানীয় ফযিলা রহমান মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জনাব আব্দুল হামীদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ্জ শাহ আলম বাহাদুর সহ যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র দায়িত্বশীলবৃন্দ।

বিচ্ছিন্ন স্মরণীয় ঘটনা :

যে মসজিদ, মাদরাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখস্থ ময়দানে সম্মেলন হচ্ছিল, উক্ত মসজিদে মাগরিবের জামা‘আতে আহলেহাদীছ মুছল্লীগণ সশব্দে আমীন বলায় ইমাম ছাহেব ছালাত ছেড়ে দিয়ে রাগতঃস্বরে কৈফিয়ত তলব করেন। অতঃপর মুছল্লীদের অনুরোধে ৩/৪ মিনিট পর রাগে গর গর করতে পুনরায় ছালাত শুরু করেন (২) রাত্রি সাড়ে ৯-টার দিকে আমীরে জামা‘আতের বক্তব্যের কিছু পূর্বে একই মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয় যে, আমরা চার মাযহাবে বিশ্বাসী এবং এটি মাযহাবী এলাকা। এখানে লা-মযহাব চলবে না। আপনারা আপনাদের মসজিদের সামনে চলে যান। উল্লেখ্য যে, এলাকাটি শষিণা পীরের এলাকা। অবশ্য তাদের এইসব কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। তাছাড়া ১৯৯৭ সালে একই স্থানে মাহফিল শেষে আমীরে জামা‘আতের হাতে ১২ জন নতুন ভাই ‘আহলেহাদীছ’ হয়ে বায়‘আত গ্রহণ করেছিলেন।

কর্মপরিষদ বৈঠক : পরদিন ২০ এপ্রিল বাদ ফজর সোহাগদল আহলেহাদীছ জামে মসজিদে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র কর্মপরিষদ সদস্যদের সাথে সভায় মিলিত হন। তিনি যেলার সাংগঠনিক কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং দাওয়াতী কাজে আরো নিবেদিত ও দায়িত্ব সচেতন হওয়ার আহবান জানান। এ সময়ে উপস্থিত সকলে আমীরে জামা‘আতের হাতে হাত রেখে শারঈ আনুগত্যের বায়‘আত করেন। অতঃপর সকাল সাড়ে ৮-টায় তিনি বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে স্বীয় সফরসঙ্গীদের নিয়ে রওয়ানা হন।

সৃষ্টিকে স্রষ্টার বিধান অনুযায়ী পরিচালিত করুন!

-খুলনা যেলা সম্মেলনে আমীরে জামা‘আত

খুলনা ২১ এপ্রিল বুধবার : দক্ষিণবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিন বাগেরহাট যেলা সম্মেলন অজ্ঞাত কারণে না হওয়ায় আমীরে জামা‘আত সফরসঙ্গীদের নিয়ে একদিনের ঝটিকা সফরে সাতক্ষীরা গমন করেন। অতঃপর ২২ এপ্রিল বুধবার খুলনা যেলা সম্মেলনে যোগদান করেন। খুলনা মহানগরীর ঐতিহাসিক হাদীছ পার্কে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সরকারের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানিয়ে বলেন, সৃষ্টির জন্য স্রষ্টা প্রদত্ত বিধানই একমাত্র কল্যাণ বিধান। এই বিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হ’লে এদেশ নিঃসন্দেহে একটি শান্তিপূর্ণ দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না, যতক্ষণ না মানুষ নৈতিক গুণে গুণান্বিত হবে। এলাহী বিধানের স্পর্শে সর্বোচ্চ তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি জাগরিত হ’লে আপনা থেকেই সকল অন্যায়, অবিচার, অনাচার, রাহাজানি বন্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা নেতৃত্বের নয়, নীতির পরিবর্তন চাই। কেননা বিগত ৬২ বছরে বহু নেতার বদল হয়েছে, কিন্তু নীতির বদল হয়নি। তিনি বলেন, গণ নির্যাতনের উদ্দেশ্যে তৈরী বৃটিশ আইনে আজও দেশ পরিচালিত হচ্ছে। যা অবশ্যই বাতিল করা উচিত।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, মুযাফফর বিন মুহসিন, মাওলানা আব্দুল মান্নান (সাতক্ষীরা), মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (ঢাকা), মাওলানা যুবায়ের আহমাদ (বাগেরহাট), মাওলানা ফীরোয আহমাদ (খুলনা) প্রমুখ। সম্মেলনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক জনাব গোলাম মুক্তাদির ও যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।

সার্বিক জীবনে তাক্বওয়া অবলম্বন করুন!

-যশোর যেলা সম্মেলনে আমীরে জামা‘আত

কেশবপুর, যশোর ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার : খুলনা যেলা সম্মেলন শেষ করে পরদিন সকাল সাড়ে ১০-টায় আমীরে জামা‘আত সফর সঙ্গীদের নিয়ে যশোর যেলা সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে খুলনা ত্যাগ করেন। দুপুরের মধ্যেই তিনি যশোরের কেশবপুর পৌঁছেন। অতঃপর বাদ আছর হ’তে শুরু ঐতিহ্যবাহী পাবলিক হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে সমবেত বিশাল জনসমাবেশের উদ্দেশ্যে উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি আছহাবুল উখদূদের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, সর্বোচ্চ আল্লাহ ভীতি ব্যতীত মুমিন জীবনে সফলতা লাভ করা অসম্ভব। তিনি বলেন, সফলতা দাঈর জীবদ্দশায় আসবে এমনটি নয়। বরং তা দাঈ ইলাল্লাহর মৃত্যুর পরেও আসতে পারে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমনটিই ঘটে থাকে। বিগত নবী-রাসূলগণের জীবনী থেকেও আমরা এ শিক্ষাই পেয়ে থাকি। তিনি বলেন, আহলেহাদীছ আন্দোলন বিশ্ব মানবতাকে সার্বিক জীবনে আল্লাহভীরু হওয়ার আহবান জানায়। আর পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে মুত্তাকী হওয়ার কোশেশ করা নিষ্ফল সাধনা বৈ কিছুই নয়। মূলতঃ এ কারণেই মুসলিম উম্মাহ আজ শতধা বিভক্ত ও নির্যাতিত। এ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর রেখে যাওয়া বিশ্বজয়ী আদর্শের দিকে ফিরে যাওয়া।

কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ও যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ডঃ এ.এস.এম. আযীযুল্লাহ (সাতক্ষীরা), ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডঃ মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম (গোপালগঞ্জ), সহ-সভাপতি অধ্যাপক আকবার হোসাইন (যশোর), সাধারণ সম্পাদক মুযাফফর বিন মুহসিন (রাজশাহী), খুলনা যেলা সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সাতক্ষীরা যেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম (জয়পুরহাট)। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন মাওলানা আলতাফ হোসাইন (সাতক্ষীরা)।

ইসলামই বাংলাদেশের স্বাধীনতার একমাত্র রক্ষাকবচ

-মুজিবনগরের যেলা সম্মেলনে আমীরে জামা‘আত

মুজিবনগর, মেহেরপুর ২৩ এপ্রিল শুক্রবার : যশোর যেলা সম্মেলন শেষে পরদিন সকাল ৮-টায় আমীরে জামা‘আত মেহেরপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তিনি দুপুর ১২-টায় মেহেরপুরের বামুন্দী বাজারে পৌঁছেন। সেখানে যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র নেতৃবৃন্দ তাঁকে স্বাগত জানান। বামুন্দী বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে তিনি জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। অতঃপর বিকাল ৫-টা হ’তে ঐতিহাসিক মুজিবনগরের আম্রকাননের সন্নিকটস্থ কেদারগঞ্জ হাটে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে সমবেত বিশাল জনসমুদ্রকে উদ্দেশ্য করে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার যে সূর্য একদিন অস্তমিত হয়েছিল, মুজিবনগরের আম্রকাননে সেই স্বাধীনতার হারানো সূর্য আবার উদিত হয়েছে। তিনি বলেন, কেবলমাত্র ইসলামের কারণেই ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পূর্ববঙ্গ একদিন পাকিস্তানে যোগদান করেছিল। আজও কেবল সেই ইসলামী চেতনাই পারে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে। তিনি বলেন, একই ভাষাভাষী ও একই বঙ্গীয় বদ্বীপ অঞ্চলের শরীক পশ্চিম বঙ্গ হ’তে পূর্ব বঙ্গ পৃথক হয়ে পাকিস্তানের স্বাধীন রাষ্ট্র সত্তায় মিশে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক মানচিত্রের উপরে বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ কায়েম হওয়ার মূল আদর্শিক প্রেরণাই ছিল ‘ইসলাম’। তিনি বলেন, ইসলামের জন্য স্বাধীনতা পেয়েছি এটি যেমন ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক সত্য, তেমনি বাংলাদেশের  স্বাধীনতা রক্ষার জন্যও ইসলাম অপরিহার্য- এটাও তেমনি অকাট্ট সত্য। আর এ কারণেই আন্তর্জাতিক ইহুদী-খৃষ্টান ও ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তির প্রধান টার্গেট হ’ল ইসলাম। এদেশের অল্প শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত তরুণদের ব্রেইন ওয়াশ করে এদেরকে তারা তাদের গুলি ও বোমার অসহায় খোরাক বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাবধান হয়ে যাও! বিদেশীদের পাতানো ফাঁদে পা দিবে না। তিনি সকলকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ার আহবান জানান।

স্থানীয় জাদুখালী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জনাব আব্দুল মান্নান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত যেলা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ডঃ এ.এস.এম. আযীযুল্লাহ, ডঃ মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, মুযাফফর বিন মুহসিন, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার (মেহেরপুর), কুষ্টিয়া-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’ এর সভাপতি গোলাম যিল কিবরিয়া প্রমুখ। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম (জয়পুরহাট)। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও যেলা সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য যে, মুজিবনগরের এই ঐতিহাসিক সম্মেলনে মানুষের উপস্থিতি ছিল নযীরবিহীন এবং অভিজ্ঞ জনদের মতে তা ছিল বিগত যেকোন বড় রাজনৈতিক জনসভার চাইতে তিনগুণেরও বেশী। সম্মেলনস্থল ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। বহু মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুনেছেন। মানুষের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের কারণে প্রচন্ড গরমের মধ্যেও ঠাসাঠাসি হয়ে বসতে হয়েছে। যেলার বিভিন্ন এলাকা ও পার্শ্ববর্তী যেলা সমূহ থেকে ৬৫টি রিজার্ভ বাস, ৭টি মাইক্রো, সাড়ে তিন শতাধিক ভটভটি (ইঞ্জিন চালিত রিক্সা ভ্যান) সহ লাইনের বাস, মটরসাইকেল, বাইসাইকেল যোগে হাযার হাযার নারী ও পুরুষ সম্মেলনে যোগদান করেন। মহিলাদের জন্য পৃথক প্যান্ডেলের ব্যবস্থা ছিল।

মেহেরপুর যেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একটানা পাঁচ দিনের দক্ষিণ বঙ্গ সফরের সমাপ্তি ঘটে। সম্মেলন শেষ করে রাত ১২-টায় আমীরে জামা‘আত তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং ভোর রাত ৩-টায় রাজশাহী দারুল ইমারতে ফিরে আসেন। ফালিল্লা-হিল হাম্দ।

যাবতীয় হারাম থেকে বেঁচে থাকুন!

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

কুষ্টিয়া ১১ মে মঙ্গলবার : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ কুষ্টিয়া যেলার উদ্যোগে অদ্য বাদ আছর যেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মুসলিম অধ্যুষিত এদেশে হারামের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। অথচ ইসলামপন্থী মন্ত্রী-এমপিরাও এসবের নীরব সমর্থন যুগিয়েছেন। তিনি বলেন, সূদ, ঘুষ, জুয়া, লটারী, মাদকতা ও নারী নির্যাতন পূর্বের যেকোন সময়ের তুলনায় এখন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে নীতি নৈতিকতার উন্নয়ন ব্যতীত যা থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, মানুষ যত বেশী ধার্মিক হবে, দেশ তত বেশী এগিয়ে যাবে। আর মানুষ যত বেশী ধর্মনিরপেক্ষ হবে, দেশ তত বেশী পিছিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আহলেহাদীছ আন্দোলন হালাল উপার্জন ও হারাম বর্জনের জন্য দেশবাসীকে আহবান জানায়। তিনি বর্তমানের সূদী ব্যাংকগুলিকে পূর্বেকার যুগের কাবুলীওয়ালাদের সাথে তুলনা করে বলেন, সূদভিত্তিক পূঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার ফলে ধনী আরো ধনী হচ্ছে এবং গরীব আরও নিঃস্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, এদেশের প্রভাবশালী বিত্তবান ঋণখেলাফীদের শত শত কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করে দেওয়া হয়, কিন্তু গরীব কৃষকের সামান্য ঋণ বাকী পড়লে সরকার তাদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা করেন। তিনি সূদভিত্তিক পূঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থা বাতিল করে সূদমুক্ত ইসলামী অর্থব্যবস্থা চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। উল্লেখ্য যে, এটাই ছিল কুষ্টিয়া শহরে আহলেহাদীছের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণকালের সর্বপ্রথম ইসলামী সমাবেশ।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি কাযী আব্দুল ওয়াহহাব-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সমাজ সেবক ও প্রবীণ আইনজীবী এডভোকেট সা‘দ আহমাদ, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ডঃ মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও খুলনা যেলা সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, কুষ্টিয়া-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার সভাপতি মাওলানা গোলাম যিল কিবরিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক জনাব বাহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন কুষ্টিয়া-পূর্ব যেলা ‘যুবসংঘ’-এর প্রশিক্ষণ সম্পাদক আখতার হোসাইন।

দেশের প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী ঢেলে সাজান!

-ঢাকা যেলা সম্মেলনে আমীরে জামা‘আত

ঢাকা ১৪ মে শুক্রবার : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ঢাকা যেলার উদ্যোগে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সরকারের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, বৃটিশদের আইন ও বিচার ব্যবস্থায় মানুষের মৌলিক অধিকার বিনষ্ট হচ্ছে। প্রচলিত এই বিচার ব্যবস্থার কারণেই হাযার হাযার নিরপরাধ মানুষ হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর জেলখানায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে অথবা যামিন নিয়ে আদালতের দুয়ারে হেঁটে হেঁটে নিঃস্ব হচ্ছে। তিনি বৃটিশের রেখে যাওয়া নির্যাতন মূলক আইন ও বিচার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে সংস্কারের আহবান জানান।

তিনি বলেন, শিক্ষার নিম্নস্তর হ’তে উচ্চস্তর পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। কুরআন-হাদীছ বিরোধী কোন সংস্কার এ দেশের মানুষ মানতে বাধ্য নয়। তিনি বলেন, শতকরা ৩৩ ভাগ মহিলা কোটা, নেতা-নেত্রীর ছবি টাঙ্গানো, ছাত্র ও ছাত্রীদের সহশিক্ষা ইত্যাদি অনৈসলামী বিধি-বিধান মাদরাসা শিক্ষার উপরে চাপিয়ে দিবেন না। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ আন্দোলন নতুন কিছু নয়। এটি ছাহাবা যুগ হ’তে চলে আসা নির্ভেজাল ইসলামী আন্দোলনের নাম। আহলেহাদীছ কোন মতবাদের নাম নয়, এটি একটি পথের নাম। এ পথের শেষ ঠিকানা হ’ল জান্নাত।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন খাঁন মুসলিম ঐক্যের আহবান জানান। তিনি বলেন, ইহুদী-খৃষ্টান-ব্রাহ্মণ্যবাদী গোষ্ঠী বিশ্বায়নের নামে সারা বিশ্বের মুসলমানদের গ্রাস করার প্রস্ত্ততি গ্রহণ করেছে। আর এর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে মুসলমানদের অনৈক্যকে। যৎসামান্য বিষয়ে ইস্যু সৃষ্টির মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ বিনষ্ট করে এরা মুসলমানদের শেষ করে দিতে চায়। তিনি আলেম-ওলামাদের উদ্দেশ্যে বলেন, শূন্যে অনেক তরবারী ঘুরিয়েছেন, ছায়ার বিরুদ্ধে অনেক যুদ্ধ করেছেন, এখন সবকিছু বাদ দিয়ে আল্লাহর দ্বীনের রজ্জুকে একত্রিতভাবে ধরুন। মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বয়সে ছোট হলেও আমি তাকে ইসলামের একজন বীর সেনাপতি হিসাবে শ্রদ্ধা করি এবং আমি মনে করি আমার পরকালের যে সঞ্চয় আছে তার মধ্যে ডঃ আসাদুল্লাহ আল-গালিবকে ভালবাসাটাও একটা সঞ্চয়। মুসলমানদের ঐক্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ডঃ গালিব যদি নেতৃত্ব গ্রহণ করেন আমি তার নেতৃত্বের পিছনে যেতে রাযী আছি। তিনি বলেন, মুসলমানদের ঈমান রক্ষায় আপনারা প্রস্ত্ততি গ্রহণ করুন। আমি কতদিন বাঁচব জানিনা, এরপর আবার দ্বিতীয়বার আপনাদের সাথে দেখা হবে কি-না তাও জানি না, তারপরও বলছি, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি আপনাদের  সংগ্রাম ও সাধনার সাথে একমত থাকব।

সম্মেলনে বক্তাগণ বর্তমান সরকারের নিকটে আমীরে জামা‘আত সহ আহলেহাদীছ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপরে বিগত চারদলীয়  জোট সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলা সমূহ প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান এবং এ মর্মে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়। তারা বলেন, অনতিবিলম্বে আহলেহাদীছ নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা সমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা না করলে বর্তমান সরকারও বিগত জোট সরকারের যুলুম-নির্যাতনের ধারাবাহিকতা রক্ষাকারী হিসাবে গণ্য হবেন।

ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, মজলিসে শূরা সদস্য ড. এ.এস.এম আযীযুল্লাহ, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুযাফফর বিন মুহসিন, কুমিল্লা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা ছফিউল্লাহ, সাতক্ষীরা যেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, খুলনা যেলা সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন, নরসিংদী যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামূন, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ তাসলীম সরকার, কাঞ্চন আহলেহাদীছ জামে মসজিদ (নারায়ণগঞ্জ)-এর খত্বীব মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রচার সম্পাদক মাওলানা শামসুর রহমান আযাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রক্বীব প্রমুখ।

আহলেহাদীছ কোন সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর নাম নয়, এটি একটি দাওয়াতের নাম

-সাতক্ষীরা যেলা সম্মেলনে আমীরে জামা‘আত

সাতক্ষীরা ২৩ মে রবিবার : ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সাতক্ষীরা যেলা সংগঠনের উদ্যোগে যেলার ঐতিহ্যবাহী আব্দুর রাযযাক পার্কে বাদ আছর অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সমবেত বিশাল জনমন্ডলীর উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, আহলেহাদীছ কোন মাযহাব বা মতবাদের নাম নয়। বরং এটি একটি দাওয়াতের নাম। যে দাওয়াত সংরক্ষিত আছে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের বুকে। ছাহাবা যুগ হ’তে চলে আসা এ দাওয়াত মহান আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ এলাহী বিধানের আলোকে মানুষের সার্বিক জীবন গড়ে তোলার আহবান জানায়। এ দাওয়াত শিরক ও বিদ‘আত এবং তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের তাকীদ দেয়। আমীরে জামা‘আত বলেন, এ আন্দোলনের অন্যতম শ্লোগান ‘সকল বিধান বাতিল কর, অহি-র বিধান কায়েম কর’ বাতিলের ভিত্তিমূলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। আর এ কারণেই আমাদের উপরে নেমে এসেছে বহুমুখী যুলুম-নির্যাতন ও হয়রানী মূলক মিথ্যা মামলা ও জেল-যুলুমের স্টীম রোলার। তবে এতে হতাশার কোন কারণ নেই। ইনশাআল্লাহ দুনিয়াবী এই পরীক্ষাই হবে আগামী দিনের বিজয়ের সোপান। তিনি কর্মীদেরকে বিপদে ধৈর্যধারণ করার আহবান জানান।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা ও যশোর সরকারী এম.এম. কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মুহাম্মাদ নযরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপযেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মুহাম্মাদ নযরুল ইসলাম, ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম (মেহেরপুর), সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম (যশোর), প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন (কুমিল্লা), কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক শেখ রফীকুল ইসলাম (সাতক্ষীরা)। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম (খুলনা), মাওলানা মুহাম্মাদ বদরুযযামান (সাতক্ষীরা), আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল হালিম (সাতক্ষীরা) প্রমুখ।

সম্মেলনে প্রদত্ত বিশেষ অতিথির ভাষণে মাননীয় উপযেলা চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধান অতিথি কেবল সাতক্ষীরার গর্ব নন, তিনি জাতির কৃতি সন্তান। তাঁর উপরে ও তাঁর সাথীদের উপরে অন্যায়ভাবে যে যুলুম ও নির্যাতন করা হয়েছে, আমরা পূর্বেও এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি, আজও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হ’লেও তাঁর উপরে আরোপিত সকল মিথ্যা মামলা অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। অতঃপর উপস্থিত জনগণের মুহুর্মুহু তাকবীর ধ্বণির মাধ্যমে যেলা সভাপতির পেশকৃত প্রস্তাবসমূহ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং আমীরে জামা‘আতের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা সমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানানো হয়।

সম্মেলনে বাংলা অনুবাদ সহ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের কনিষ্ঠ পুত্র ও আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়ার হেফয বিভাগ থেকে সদ্য সনদপ্রাপ্ত ছাত্র আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির ও দারুল হাদীছ আহমাদিয়া সালাফিয়া বাঁকাল-এর ছাত্র মুহাম্মাদ আবূ রায়হান। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম (জয়পুরহাট) ও মুহাম্মাদ বুরহানুদ্দীন (ছাত্র, বাঁকাল মাদরাসা)।

উল্লেখ্য যে, সম্মেলনের আগের দিন এবং সম্মেলনের দিন বিকাল পর্যন্ত যশোর ও সাতক্ষীরা সদর উপযেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হ’লেও মহান আল্লাহর বিশেষ রহমতে সম্মেলনস্থল ও তার আশপাশ ছিল বৃষ্টিমুক্ত। ফালিল্লা-হিল হাম্দ। সম্মেলনে উপস্থিতিও ছিল বিগত বছরগুলির চাইতে বেশী ও কানায় কানায় ভরা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে মাইকের হর্ণ সংযুক্ত করায় বহু মানুষ প্যান্ডেলের বাহির থেকে বক্তব্য শোনেন। খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা থেকে রিজার্ভ বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, ভটভটি যোগে হাযার হাযার নারী ও পুরুষ সম্মেলনে যোগদান করেন। মহিলাদের বসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা হয়। পরদিন একাধিক স্থানীয় দৈনিক সহ ইসলামিক টিভির বিকাল সাড়ে ৩-টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬-টার সংবাদে সম্মেলনের সচিত্র সংবাদ পরিবেশিত হয়।

যুবসংঘ

কর্মী ও সুধী সমাবেশ

বীর গোয়ালা, নওহাটা, রাজশাহী ১৬ এপ্রিল শুক্রবার : অদ্য বাদ জুম‘আ হ’তে এশা পর্যন্ত ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ রাজশাহী-উত্তর সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে বীর গোয়ালা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মুস্তাকীম হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক শেখ আব্দুছ ছামাদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তাবলীগ সম্পাদক মুহাম্মাদ আরীফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মুহাম্মাদ মুস্তাকীম হোসাইন। সমাবেশে বড়গাছীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা সমূহ হ’তে বিপুল সংখ্যক কর্মী ও সুধী যোগদান করেন।

চোরকোল, ঝিনাইদহ ৬ মে বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ এশা চোরকোল উত্তরপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ চোরকোল এলাকার উদ্যোগে এক কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর যেলা সভাপতি আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক হারূনুর রশীদ। অনুষ্ঠানে যুবসংঘের বর্তমান ও সাবেক যেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বানেশ্বর, রাজশাহী ২১ মে শুক্রবার : অদ্য বাদ মাগরিব বানেশ্বর গরুহাটা জামে মসজিদে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ডাঃ ইদ্রীস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আল্ল­াহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এই ইবাদত কবুলের জন্য তা আল্ল­াহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এবং রাসূলুল্ল­াহ (ছাঃ)-এর দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী হ’তে হবে। অন্যথায় কোন ইবাদতই কবুল হবে না। বিশেষ অতিথি হিসাব উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ হারূণুর রশীদ। উল্লে­খ্য, একই স্থানে বাদ আছর ‘সোনামণি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। সোনামণি বানেশ্বর এলাকার পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশেও মেহমানদ্বয় উপস্থিত ছিলেন।

ভাদড়া, আমতলী, ঝিনাইদহ ২৪ মে সোমবার : অদ্য বাদ মাগরিব ভাদড়া জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ ঝিনাইদহ যেলার উদ্যোগে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সহ-সভাপতি বেলাল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, অভ্রান্ত সত্যের একমাত্র উৎস আল্ল­াহর ‘অহি’। আর তা পাওয়া যায় পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে। মানব জীবনের সকল সমস্যায় আমাদেকে সেদিকেই ফিরে যেতে হবে। তাহ’লে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কোন বিভক্তি থাকবে না। তিনি সবাইকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ার আহবান জানান। বিশেষ অতিথি হিসাব উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ হারূণুর রশীদ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ভাদড়া ‘আন্দোলন’-এর আহবায়ক ডাঃ বযলুর রশীদ।

কেন্দ্রীয় কর্মী প্রশিক্ষণ

রাজশাহী ১১, ১২, ১৩ মে, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার : গত ১১ মে মঙ্গলবার বাদ আছর আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীতে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর ‘তিন দিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মী প্রশিক্ষণ ২০১০’ শুরু হয়। ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘আন্দোলন’-এর শূরা সদস্য ও ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. এ.এস.এম. আযীযুল্লাহ, ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুফাক্ষার হোসেন, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুযাফফর বিন মুহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শেখ আব্দুছ ছামাদ, তাবলীগ সম্পাদক মুহাম্মাদ আরীফুল ইসলাম, সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ হারূনুর রশীদ। তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব

কমিটি পুনর্গঠন

জামদই, মান্দা, নওগাঁ ৫ মে বুধবার : অদ্য বাদ যোহর ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ নওগাঁ যেলার উদ্যোগে জামদই আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক কর্মী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আফযাল হুসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তাবলীগ সম্পাদক মুহাম্মাদ আরীফুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুস সাত্তার ও জামদই শাখা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি আব্দুল আযীয। প্রশিক্ষণ শেষে মুহাম্মাদ আতীকুর রহমানকে সভাপতি ও মুহাম্মাদ মাহফূযুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট জামদই এলাকা ‘যুবসংঘ’ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

সিঙ্গাপুর ৯ মে রবিবার : অদ্য বাদ মাগরিব সিঙ্গাপুরের আঙ্গুলিয়া জামে মসজিদে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জনাব আব্দুল মুক্বীতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য পেশ করেন মু‘আযযম হোসেন, ফাকীরুল ইসলাম ও আব্দুল হালীম। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ নির্ভেজাল তাওহীদের ঝান্ডাবাহী একক যুবসংগঠন। এ সংগঠন মানুষের আক্বীদা ও আমল সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে এ সংগঠনভুক্ত হয়ে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে মু‘আযযম হোসেনকে সভাপতি ও আব্দুল মুক্বীতকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ সিঙ্গাপুর শাখা গঠন করা হয়।

মারকায সংবাদ (দাখিল পরীক্ষার ফলাফল)

১. আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী: বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়া থেকে ১৯ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৮ জন A+, ৭ জন A পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হ’ল- আরীফুল (দিনাজপুর), আল-আমীন (দিনাজপুর), ওবায়দুল্লাহ (গাইবান্ধা), আসলাম হোসাইন (কুষ্টিয়া), রেযাউল করীম (গাইবান্ধা), তারেক মাহমূদ (জামালপুর), আসীফ রেযা (রাজশাহী), শিহাবুদ্দীন (গাইবান্ধা)। A গ্রেড প্রাপ্তরা হ’ল- ইসরাফীল (রাজশাহী), মাহমূদুল হাসান (রাজশাহী), খায়রুল ইসলাম (রাজশাহী), তাকীউদ্দীন (রাজশাহী), তারেক মাহমূদ (রাজশাহী), ইলিয়াস (জয়পুরহাট), রবীউল আউয়াল (নওগাঁ)।

২. দারুল হাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহ, বাঁকাল, সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় দারুল হাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহ দাখিল মাদরাসার ছাত্ররা বরাবরের ন্যায় এবারও শতভাগ পাশ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এ বৎসর উক্ত মাদরাসা থেকে ১১ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৭ জন A+, ৩ জন A এবং ১ জন A- গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হ’ল ফারূকুয্যামান (গোল্ডেন), শাহেদ আলম (গোল্ডেন), ইলিয়াস হোসেন (গোল্ডেন), ইশারত হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, রাশিদুল ইসলাম ও মাসঊদ রেযা। A গ্রেড প্রাপ্তরা হ’ল ঈমান আলী, শরীফুল ইসলাম ও আবু রায়হান। A- গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে আশরাফুল ইসলাম।

[আমরা উত্তীর্ণ ছাত্রদের উন্নত ভবিষ্যৎ ও সার্বিক সফলতা কামনা করি- সম্পাদক]






আরও
আরও
.