তিস্তার
পানি চুক্তির খবর নেই। চার দেশীয় সড়ক যোগাযোগের নামে ট্রানজিট নেয়া হয়েছে।
এখন ভারত নিজেদের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আমদানি করতে
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে চায়। এজন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম
কর্পোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে একটি যৌথ কোম্পানী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। গত ২৩শে নভেম্বর এক বৈঠকে জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী
নছরুল হামীদ বিপুর কাছে আইওসিএল এর পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেয়া হয়। আইওসিএল
চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে এলপিজি আমদানি করে ভারতে সরবরাহ করতে চায়। এজন্য
বিপিসির সঙ্গে যৌথ কোম্পানী গঠনে আগ্রহী কোম্পানীটি। প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে
আইওসিএলকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার আহবান জানান। জানা যায়, আসামের
নুমালীগড় রিফাইনারী থেকে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানী তেল আমদানির
বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তেল আমদানির জন্য আসামের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুর
পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। বৈঠকে প্রকল্পের অর্থায়ন
নিয়েও আলোচনা হয়। পাইপলাইন স্থাপনে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে দু’হাযার
কোটি রুপি।