আফগানিস্তানে খনিজসম্পদের বিশাল ভান্ডার আবিষ্কার
কিছুদিন আগেও গযনীকে মনে হ’ত বিবর্ণ একটি প্রদেশ। কিছুই নেই, শুধু হাহাকার। কিন্তু পেন্টাগনের জরিপে দেখা যাচ্ছে, এখানেই লিথিয়ামের বৃহত্তম ভান্ডারটি অবস্থিত। শুধু লিথিয়াম নয়, লোহা, তামা, কোবাল্ট, স্বর্ণ ও লিথিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদের বিশাল বিশাল ভান্ডার আবিষ্কৃত হয়েছে দেশটিতে। প্রাথমিক হিসাবে এসব সম্পদের মূল্য প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার। তবে আফগান সরকারের মতে তিন ট্রিলিয়ন ডলার। এসব খনিজের অনেকগুলো আধুনিক শিল্পের অপরিহার্য উপাদান। পেন্টাগনের কর্মকর্তা ও মার্কিন ভূতাত্ত্বিকদের একটি ক্ষুদ্র দল এই বিশাল ভান্ডারের সন্ধান পায়। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, আফগানিস্তান বিশ্বের অন্যতম খনিজ কেন্দ্রে পরিণত হ’তে পারে। একটি মার্কিন দলীলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান ‘লিথিয়ামের সঊদী আরবে’ পরিণত হ’তে পারে। সোডিয়াম সদৃশ নরম ধাতব পদার্থ লিথিয়াম ল্যাপ্টপ ও মোবাইল ফোনের ব্যাটারী তৈরীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, গযনী প্রদেশে লিথিয়ামের যে ভান্ডার রয়েছে, তা বলিভিয়ার সমপরিমাণ। বলিভিয়া বিশ্বের সর্বাধিক লিথিয়ামের মালিক বলে ধারণা করা হয়।
জেরুযালেমের বেশির ভাগ ফিলিস্তীনির বাস দারিদ্র্যসীমার নীচে
পূর্ব জেরুযালেমের প্রতি চারজন শিশুর তিনজনই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। মানবাধিকার সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর সিভিল রাইটস ইন ইসরাঈল’ (এসিআরআই) বলেছে, পূর্ব জেরুযালেমে ৭৫ শতাংশ ফিলিস্তীনী শিশু দারিদ্রে্যর মধ্যে বাস করে, যেখানে ইহুদী শিশুর ক্ষেত্রে এ হার ৪৫ শতাংশ। এছাড়া ৯৫ হাযারেরও বেশী শিশু স্থায়ী দারিদ্রে্যর মধ্যে বসবাস করছে।
দুই কাশ্মীরই এখন স্বাধীনতা চায়
ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় রাজ্য কাশ্মীর এখন দ্বিধাবিভক্ত হয়ে আছে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে। ভারতীয় অংশের নাম জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের অংশের নাম আযাদ কাশ্মীর। ভারত বিভাগের সময় অন্য দেশীয় রাজ্যগুলো হিন্দুপ্রধান হওয়ায় সেগুলো ভারতের সঙ্গেই মিশে যায়। কাশ্মীরের অধিবাসীরা মূলত মুসলমান। তবে তাদের রাজা হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় সাধারণ মানুষের পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্তির দাবীকে অগ্রাহ্য করে হিন্দু রাজা ভারতের সঙ্গে মিশে যান। বর্তমানে ব্রিটিশ একাডেমী পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, শুধু যে ভারতীয় কাশ্মীরীরাই স্বাধীনতা চাইছে তা নয়। স্বাধীনতার কামনা মনে মনে পোষণ করছে আযাদ কাশ্মীরের জনগণও। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরীদের মধ্যে শতকরা ৪৪ জন আলাদা রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চান আযাদ কাশ্মীরকে। আর জম্মু কাশ্মীরের স্বাধীনতা চায় ৪৩ ভাগ।