কয়েকবছর
পূর্ব থেকে পরীক্ষাগারে মুরগীর গোশত তৈরি শুরু হ’লেও এবার গবেষণাগারে তৈরি
মুরগীর গোশত বিক্রির জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে সিঙ্গাপুর। যুক্তরাষ্ট্র
ভিত্তিক কোম্পানী ‘ইট জাস্ট’ বলছে, বিশ্বে প্রথমবারের মত এই পণ্য বিপণনের
অনুমতি পেল তারা।
স্বাস্থ্য, প্রাণী কল্যাণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে ভোক্তাদের উদ্বেগের কারণে সরাসরি প্রাণীর গোশতের বদলে প্রাণীর কোষ থেকে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি গোশতের বিকল্পের চাহিদা বাড়ছে। উদ্ভিদভিত্তিক গোশতের বিকল্পগুলো ইতিমধ্যে সুপারমার্কেটের এবং রেস্তোরাঁর মেনুতে চলে আসতে শুরু করেছে। বিয়ন্ড মিট ইনকরপোরেশন ও ইমপসিবল ফুডসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের গোশত জনপ্রিয় করে তুলছে।
ইট জাস্ট বলেছে, এই গোশত কোন প্রাণীকে হত্যা করে প্রস্ত্তত করা হয় না। বরং সরাসরি প্রাণীর কোষ থেকে তৈরি করা হয়। উচ্চ মানের এই গোশত অনুমোদনের ফলে সিংগাপুরের বাজারে প্রথমবারের মত বিপণনের পথ খুলে গেল। ইট জাস্ট বলছে, তাদের গোশত নাগেট হিসাবে বিক্রি করা হবে এবং আগে প্রতিটির দাম ছিল ৫০ ডলার। তবে এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জস টেটরিক বলেন, বাজারে আসার সময় প্রিমিয়াম মুরগির সমান দামে পাওয়া যাবে। বর্তমানে বিশ্বে দুই ডজনের বেশী প্রতিষ্ঠান পরীক্ষাগারে মাছ, গরু ও মুরগীর গোশত নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। বিকল্প গোশত বাজারে সাড়া ফেলবে বলে তারা আশা করছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২৯ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে বিকল্প গোশতের বাজারে ১৪,০০০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা হবে।