নাছরীন আখতার
সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজী)
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী (মহিলা শাখা)
নওদাপাড়া, রাজশাহী।
মরুর বুক চিরে পূর্ণিমার চাঁদ এলো যে মদীনায়
পুলকিত হৃদয়ে সবাই হেসেছিল সেদিন গৌরব ও মহিমায়।
খেজুর বাগানে সবুজে ঘেরা ছোট এই জনপদ
পেয়েছিল তারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এলাহী সম্পদ।
বহুদিন পরে হেদায়াতের নূরে হৃদয় উদ্ভাসিত
দুরু দুরু ভয় প্রাণের সূর্য যেন না হয় অস্তমিত।
শত ছাহাবীর হাসিভরা মুখ করেছিল তাকে বরণ
তাঁর আদর্শ কায়েম করতে বিলিয়েছিল জীবন।
জীবন দিয়ে রেখেছিল ঘিরে শত বীর মুজাহিদ
বাতিলের অাঁধার থাকবে না ধরায় এই ছিল শপথ।
চক্ষু শীতল হয়েছিল তাদের পেয়ে তাঁকে দিবানিশি
তাঁকে একবার দেখতে আমারও প্রাণ কাঁদে অহর্নিশি।
কাছে পেয়ে তাঁকে চিনল না যারা অভাগা আদম সন্তান
মুনাফিক তারা প্রতারক তারা হেলায় কাটায় জীবন।
আঘাতে আঘাতে রঞ্জিত হৃদয় তপ্ত মরুর বুকে
পায়নি কোন সুখ বেদনাবিধুর আতংকে দিন কাটে।
শত্রুর মেলা বসেছে যেন হরেক মকর সাজিয়ে
রুখতে হবে ইসলামের শত্রু ঈমানী শক্তি জাগিয়ে।
বিজয়মুকুট পরিহিত বীর মক্কায় ধাবমান
জন্মভূমির শীতল পরশ মেখে নেয় দেহ-মন।
বদর ওহোদ খন্দক শেষে ক্লান্ত শ্রান্ত প্রাণ
মদীনার ধূলায় শত পদচিহ্ন স্মৃতিতে অম্লান।
আজও মনে হয় মরুর সাগরে উটের রশি হাতে
আসছেন তিনি সফর শেষে প্রিয় মদীনার পথে।
অনেক নিশি ভোর হয় তাঁকে স্বপ্নে দেখব বলে
তাঁকে একবার দেখবার তরে কাঁদে প্রাণ বারে বারে।
আমি তো নগণ্য দুই হস্তশূন্য কিছু নাই মোর ঘরে
ভয়ে কাঁপে প্রাণ রোজ হাশরে চিনবেন কি তিনি মোরে?
কত দিগন্ত রক্তিম আলোয় শোভা ছড়ায় প্রতিদিন
নেই তিনি আজ বুকে আশা রাখি দেখা পাব একদিন।
প্রাণপণে তাই চাই ওগো প্রভু রহমান দয়াময়!
দেখা যেন পাই প্রিয় রাসূলের কাওছারের কিনারায়।