আসছে যাত্রীবাহী ড্রোন! চীনের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মত যাত্রীবাহী ড্রোন তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। ‘১৮৪’ নামক একটি যাত্রীবাহী ড্রোনের প্রোটোটাইপটিকে বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী ড্রোন বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইহাং। চীনের বার্ষিক প্রযুক্তি কনভেনশনে ইহাংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টার সদৃশ এক আসনবিশিষ্ট ঐ ড্রোনে যাত্রী ওঠার পর গন্তব্য ঠিক করে দিতে হবে। উড্ডয়ন আর অবতরণ ড্রোনটির এ দু’টি কাজ দু’টি বাটন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করবেন যাত্রী। বাকি সবই নিয়ন্ত্রণ করবে ড্রোনটির নিজস্ব সফটওয়্যার। এটি হেলিকপ্টারের মতো সোজাসুজি উড়বে আর অবতরণ করবে, এ কারণে এর কোন রানওয়ে প্রয়োজন হবে না। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ মাইল বেগে ছুটতে এবং ১১ হাযার ৪৮০ ফুট পর্যন্ত ওপরে উঠতে সক্ষম ড্রোনটি। লম্বায় ১৮ ফুট হ’লেও, এটি ভাঁজ করে পাঁচ ফুটের মধ্যে নামিয়ে আনা সম্ভব। ফলে খুব সহজেই গাড়ি রাখার পার্কিং স্পটেই এটি রাখা যাবে। যে কোন সমস্যা নযরে আসামাত্র ড্রোনটি মাটিতে অবতরণ করবে। তাই গাড়ি চালানোর চেয়ে ড্রোনটি নিরাপদ হবে বলে আশা করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। ড্রোনগুলির দাম হবে দুই থেকে তিন লাখ ডলার। চালক ছাড়াই চলবে গাড়ি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য সাধারণত চালকরাই দায়ী। তাই দুর্ঘটনা কমাতে চালকের পরিবর্তে অন্য একটি উপায় আবিষ্কার করেছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটি এমন এক কম্পিউটার প্রোগ্রাম আবিষ্কার করেছে, যা মানুষের চেয়েও দক্ষভাবে গাড়ি গন্তব্যে নিয়ে যাবে এবং দুর্ঘটনাও কমাবে। গুগলের নিজস্ব গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ চালিত গাড়ির চেয়ে ২৭ শতাংশ কম দুর্ঘটনার শিকার হয় গুগলের প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত চালকবিহীন গাড়ি। গবেষণায় আরও দেখা যায়, প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত গাড়িটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়ার পরও দুর্ঘটনা ঘটেনি। গতানুগতিক গাড়িগুলো প্রতি দশ লক্ষ মাইলে ৪.২টি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, সেখানে চালকবিহীন গাড়ি হয়েছে ৩.২টি’র। শুধু নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নয়, আমেরিকার ব্যস্ততম শহরের রাস্তায়ও এ পরীক্ষা চালানো হয়। এই সাফল্য ইঙ্গিত বহন করছে যে, ভবিষ্যতের চালকবিহীন গাড়ির যুগ খুব দূরে নয়। মানুষ শুধু কমান্ড করবে আর চালকবিহীন গাড়ি তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। ভাঁজ করে রাখা যাবে যে টেলিভিশন টেলিভিশন দেখা শেষ হওয়ার পর সেটা ভাঁজ করে বা গোল পাকিয়ে রেখে দিলেন এক পাশে। শুনতে কল্পকাহিনী মনে হ’লেও বাস্তবে এই প্রযুক্তি এখন নাগালের মধ্যেই। এরকম এক টেলিভিশন ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে তৈরী করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এলজি। তাদের তৈরি ১৮ ইঞ্চি সাইজের এই টেলিভিশনের ডিসপ্লে এইচডি মানের। তবে এখন ৫৫ ইঞ্চি সাইজের এরকম টেলিভিশন তৈরীর পরিকল্পনা করছে। এই স্ক্রীন হবে ফোর-কে মানের, অর্থাৎ এইচডি-র চেয়েও চারগুণ উন্নত। এলজি বলছে, ইচ্ছেমাফিক ডিসপ্লে তৈরীতে খুব কাজে লাগবে এই স্ক্রীন। বিশেষ করে যারা ঘরে বা দোকানে এর জন্য কোন জায়গা বরাদ্দ রাখতে চান না।




আরও
আরও
.