ঘুমের সমস্যার একটা কারণ হ’তে পারে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস। ভালো ঘুমের জন্য যেসব খাবার খাওয়া উচিত এবং যেগুলো উচিত নয়।

প্রয়োজনীয় খাবার :

মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুকে বলা হয়, ঘুমের মা। কারণ এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস, যা শরীরকে শান্ত করতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্নায়ু ও মাংসপেশি শান্ত হওয়া যরূরী, যা মিষ্টি আলু অবলীলায় করে থাকে।

দুধ : ঘুমানোর আগে এক গাস দুধ হ’তে পারে বেশ উপকারী। দুধে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান ঘুমের জন্য বেশ উপকারী।

ডিম : ঘুমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন হ’ল ‘ডি’। ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকলে সহজে ঘুম আসে না। মস্তিষ্কের জিএবিএরজিক নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে। ডিমের ভিটামিন ডি ঠিক সেখানেই কাজ করে।

ফল ও বাদাম : আখরোট, কাঠবাদাম থেকে শুরু করে ফলমূল, শাকসবজি সবই ঘুমের জন্য বেশ উপকারী। আখরোট ও কাঠবাদামে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, যা স্নায়ু ও মাংসপেশিকে শান্ত করে। অন্যদিকে ফলমূল, সবজি ইত্যাদি ভিটামিনের জোগান দেয়, যা কি-না ঘুমে সাহায্য করে।

বর্জনীয় খাবার :

ক্যাফেইন জাতীয় পদার্থ : চা-কফির মত ক্যাফেইন জাতীয় পদার্থ ঘুমের অন্যতম বড় শত্রু। তাই সন্ধ্যার পর এসব থেকে দূরে থাকুন। কফি পান করলেও ঘুমের আট ঘণ্টা আগে করতে হবে। কারণ পান করার অনেকক্ষণ পর পর্যন্ত এর প্রভাব থাকে।

রাতে ভারী খাবার : রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার গ্রহণ করুন। রাতে ভালো ঘুমের জন্য অল্প খাওয়া উত্তম। রাতে যেহেতু কোন ভারী কাজ করা হয় না, তাই খাবার হযমও হয় না। ফলে তা পেটে থেকে যায়। আর ভরা পেটে ঘুম দ্রুত আসতে চায় না।

ঝাল জাতীয় খাবার : ঝাল জাতীয় খাবার খাদ্য হযমে অসুবিধা তৈরি করে। তাই রাতে ঝালযুক্ত খাবার যত কম রাখা যায়, তত ভালো।

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার : অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি শরীরে বাড়তি উত্তেজনার সৃষ্টি করে, যা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।

\ সংকলিত \






আরও
আরও
.