শোনরে তরুণ
মোল্লা আব্দুল মাজেদ
পাংশা, রাজবাড়ী।
শোনরে তরুণ যুবক দল
জোর কদমে এগিয়ে চল
সঠিক পথের বাজিয়ে বিষাণ
নিশান ধর কষে।
আসবে পথে শতক ভয়
ভয়কে তোরা করবি জয়
জয়কে জানিস সুনিশ্চয়
থাকিসনে আর বসে।
সোনার ছেলে ধরিত্রীর
চল রেখে সব উচ্চ শির
কণ্ঠে লিল্লাহে তাকবীর
আল্লাহু আকবার।
ছড়িয়ে দেরে বিশ্বতল
অহী-র বাণী সুনির্মল
বীর মুজাহিদ এগিয়ে চল
দুরন্ত দুর্বার।
সাজ জিহাদী সাজে আজ
যাক ধ্বসে যাক যুলুমবাজ
জোরসে চালাও কুচকাওয়াজ
ধর কুরআন কষে।
হস্তে নিয়ে সে শমশের
নাইবা আসুক ওমর ফের
খালিদ ইবনে ওয়ালীদ নাহি
এই ধরণী মাঝ।
তাই কিরে আজ যুবক দল
ইসলাম যাবে রসাতল
নেই কি তোদের বুকের বল
সাজরে আজি সাজ।
লিল্লাহে তাকবীর রবে
উঠুক বিশ্ব কলরবে
বিশ্বে যত যালিমশাহীর
আসন যাক ধ্বসে।
কার পরশে
আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
নওদাপাড়া মাদরাসা, রাজশাহী।
গাছের শাখে পাতা নাচে
পাখ-পাখালীর কলরবে,
কার পরশে শাপলা হাসে
নীল সবুজের সরোবরে।
নিঝুম রাতে দূর আকাশে
বসে তারার মেলা,
শশী পেল কার দয়াতে
মুগ্ধ করা প্রভা।
কার মহিমায় সূর্য হাসে
নিশির শেষে ঘাসের ডগায়,
কুসুমবাগে পুষ্প ফোটে
তপন রশ্মির কোমল ছোঁয়ায়।
দিনের শেষে বকের সারি
উড়ে ফিরে নীড়ের দিকে,
ক্লিষ্ট বেগে ক্লান্ত মাঝি
প্রভুর নামে তাসবীহ জপে।
সপ্ত অম্বর শক্ত গিরি
কে সৃজিল অল্প ক্ষণে
তাঁর পরিচয় পাই আমি
নিখিল ভুবন অবলোকনে\
আল-কুরআন
মুহাম্মাদ তরীকুল ইসলাম
নওদাপাড়া মাদরাসা, রাজশাহী।
মহা গ্রন্থ আল-কুরআন
নাযিল করেছেন প্রভু
এর পরে আর কোন গ্রন্থ
আসবে নাকো কভু।
একটি হরফ পড়লে তাহার
পাবে দশটি পুণ্য,
এই সুযোগটি দিয়েছেন প্রভু
শুধু কুরআনের জন্য।
সুন্দর জীবন গড়তে মোদের
প্রেরিত আল-কুরআন
এ কিতাবের প্রতিটি বাণী
মহান আল্লাহর ফরমান।
সব সমস্যার সমাধানে
আল-কুরআন দেখ,
আল্লাহর বিধান করতে কায়েম
জীবন বাজি রেখ।
সঠিক পথে থাকতে অটল
পড় আল-কুরআন,
সেই আলোতে রাঙিয়ে তোল
নিজের এ জীবন।
লঘু পাপের গুরুদন্ড
কাযী রফীক
খালিশপুর, খুলনা।
গণফাঁকি দিয়েও যারা
পিটন-পাটান খাচ্ছে না,
তাদের ভয়ে গণমানুষ
নিরাপত্তা পাচ্ছে না।
মুরগি চুরি করছে যারা
তারাই শুধু খাচ্ছে কিল,
বড় বড় চোরের দিকে
কেউ ছোঁড়ে না মস্ত ঢিল।
গরু চোরকে ধরলে সবাই,
বলে ‘ওরে ধোলাই দে’,
পুকুরচুরি করছে যারা
তাদের ‘সাইজ’ করবে কে?
কলা-কচু চুরির দায়ে
চোরের আর রক্ষা নেই,
ধরতে পারলে তাকে ধরে
মারতে পারে অনেকেই।
লঘু পাপের গুরুদন্ড
হচ্ছে যখন দেশটাতে,
কেমন করে রাঘব বোয়াল
পড়বে ধরা শেষটাতে?
***