কাগজ থেকে বিদ্যুৎ
জাপানের বিখ্যাত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম প্রস্ত্ততকারক প্রতিষ্ঠান সনি গত ১৫ ডিসেম্বর নতুন একটি প্রযুক্তির তথ্য প্রকাশ করেছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে টুকরো কাগজ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। ঐদিন জাপানের রাজধানী টোকিওতে পরিবেশবান্ধব পণ্যের এক মেলায় সনি দর্শনার্থীদের সামনে টুকরো কাগজ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেখায়। সনির কর্মকর্তারা পানি ও এনজাইমের একটি মিশ্রণের ওপর এক টুকরো কাগজ রেখে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করেন। এরপর ঐ মিশ্রণের সামনে একটি ছোট ফ্যান রেখে তা চালু করা হয়। এরপর পানি ও এনজাইমের ঐ মিশ্রণটি বিদ্যুতের একটি উৎসে পরিণত হয়। উল্লেখ্য, সনি ২০০৭ সালে প্রথম চিনি থেকে ব্যাটারী তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে। তারাই প্রথম ব্যাটারির আকার কমিয়ে একটি পাতলা কাগজের আকৃতিতে পরিণত করে।
ছয় ভ্রূণে এক বানর!
মার্কিন বিজ্ঞানীরা বিশ্বে প্রথমবারের মতো ছয়টি পৃথক ভ্রূণ থেকে নেওয়া কোষ থেকে বানরের জন্ম দিয়েছেন। এ ঘটনাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বিরাট অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা কয়েকটি রেসাস বানরের ভ্রূণ থেকে নেওয়া কোষ একত্র করে মাদি বানরের গর্ভে স্থাপন করেন। ঐ বানরগুলো তিনটি সুস্থ শাবকের জন্ম দিয়েছে। বানর শাবক তিনটির নাম রাখা হয়েছে রোকু, হেক্স ও কিমেরো। একাধিক প্রাণীর নেওয়া ভিন্ন জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের কোষ থেকে গবেষণাগারে জন্মানো এ ধরনের প্রাণীকে বলা হয় ‘কিমেরো’ বা কাল্পনিক প্রাণী। ভ্রূণের বিকাশের গবেষণার জন্য কিমেরো প্রাণীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এইচআইভি ও এইডস, জলাতঙ্ক, জলবসন্ত ও পোলিও রোগের ওষুধ ও প্রতিষেধক তৈরি এবং ভ্রূণের স্টেম সেল নিয়ে গবেষণায় রেসাস বানর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন।
গাড়ি চলবে রাস্তা, বরফ ও পানিতে
ইয়ুহান ঝাং নামে এক চীনা মোটর স্পেশালিস্ট সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন এমন এক গাড়ি, যা রাস্তায় তো চলবেই, এর সঙ্গে একই গতিতে চলবে বরফে আর পানিতেও। ঘণ্টায় ৬২ মাইল বেগে চলা এ গাড়ির নাম দেয়া হয়েছে ‘অ্যাকুয়া কার’। এই গাড়ি রাস্তায় চলবে যেই গতিতে, পানিতে নামলেও তার গতি থাকবে অপরিবর্তিত। চকচকে স্লিম এই গাড়িটিতে আছে চারটি ফ্যান এবং এয়ারব্যাগ, যা পানিতে ভাসিয়ে রাখতে সাহায্য করে। পানিতে চলার পাশাপাশি ‘অ্যাকুয়া কার’ একটি পরিবেশবান্ধব গাড়ি, যাতে আছে ‘ইকো-ফ্রেন্ডলি মোটর’। এ মোটরে আছে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল, যা থেকে নির্গত হয় না কার্বন।
এইচআইভি ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের সম্ভাবনা
প্রাণঘাতী রোগ এইডসের কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীরা বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছেন বলে দাবী করেছেন। তারা ক্লিনিক্যাল টেস্টে বানরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে সফলতা পেয়েছেন। বানরের দেহে পরীক্ষা চালানোর পর দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কারণে তাদের দেহে এইচআইভি (হিউম্যান ইমমিউনোডিফিসিয়েন্সী ভাইরাস) সংক্রমণের হার ৮০ ভাগ কমে গেছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, একই ভ্যাকসিন মানব দেহেও সমানভাবে কার্যকর হ’লে এইডস চিকিৎসার নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।