বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম হৃৎপিন্ড সংযোজন সম্পন্ন
প্রথমবারের মতো সফলভাবে কৃত্রিম হৃৎপিন্ড সংযোজন সম্পন্ন হয়েছে। একটি ফরাসী প্রতিষ্ঠান ক্যারমেটের তৈরী করা হৃৎপিন্ড ৭৫ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তির দেহে সংযোজন করা হয়েছে। এর ফলে লোকটি আরো পাঁচ বছর বাঁচবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হৃৎপিন্ডটি চলবে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারীর শক্তিতে। এটা দেহের বাইরে ধারণ করা যাবে। এতে জৈব উপাদান ব্যবহার করায় দেহের পক্ষ থেকে একে প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা খুবই কম। কৃত্রিম হৃৎপিন্ডটি রোগাক্রান্ত হৃৎপিন্ডের বদলে লাগানো যাবে। আগের কৃত্রিম হৃৎপিন্ডসমূহ সাময়িকভাবে ব্যবহৃত হ’ত। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যে রোগীটির দেহে কৃত্রিম হৃৎপিন্ড লাগানো হয়েছে, তিনি অস্ত্রোপচারের পর সঠিকভাবেই জেগেছেন। কৃত্রিম হৃৎপিন্ডটির ওজন এক কিলোগ্রামেরও কম, যা স্বাস্থ্যবান দেহের হৃৎপিন্ডের চেয়ে তিনগুণ বেশি ওযনবিশিষ্ট।
যান্ত্রিক হাতেও স্পর্শের অনুভূতি
দশ বছর আগে এক দুর্ঘটনায় হাত হারানো ডেনমার্কের ডেনিস আবো কৃত্রিম হাতটি লাগিয়েই বলে উঠলেন অবিশ্বাস্য! এটা ম্যাজিক! যেন হারানো হাতকে অনুভব করছি! ৩৬ বছর বয়সী আবো বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি যার শরীরে রোমে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে হাতটি লাগানো হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তার হাতের ওপরের বাহুর স্নায়ুকোষের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে দিয়েছেন কৃত্রিম হাতটির। চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় হাতে ধরে আবো বলতে পারছেন তিনি কোন আকারের জিনিস স্পর্শ করছেন। এটির নমনীয়তাও অনুভব করতে পারছেন তিনি। ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানির একদল বিশেষজ্ঞ দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই সফলতা দেখাতে পেরেছেন। রোমে আবোর শরীরে এই কৃত্রিম হাতটি লাগানো হয়েছে।
এই গবেষকদের একজন অধ্যাপক সিলভেস্ত্র মিসেরা বললেন, এটাই প্রথম গবেষণা, কোন ব্যক্তি কৃত্রিম হাত দিয়ে স্পর্শের অনুভূতি পাবেন। যন্ত্র ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনুভূতি পৌঁছে যাবে ঐ ব্যক্তির মস্তিষ্কে। মিসেরার গবেষক দল জানিয়েছে, আবোকে অস্ত্রপচারের সময় তার বাহুতে চারটি বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে, যা তার কৃত্রিম হাতের আঙ্গুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। আর এর মাধ্যমেই সেটি পৌঁছে যাবে তার মস্তিষ্কে। ফলে তিনি যা ধরবেন তা অনুভব করতে পারবেন।