স্বদেশ

পুলিশে দুর্নীতি বাড়ছে; থানায় মানুষ ভাল ব্যবহার পাচ্ছে না

পুলিশের সমন্বয়ক ফণীভূষণ চৌধুরী বলেন, ‘আমি মনে করি এবং জনগণও মনে করে, বিগত বছরে পুলিশের সেবার মান অনেকাংশে কমে গেছে। আমি থানার কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলব। থানায় সেবার মান কমছে। থানায় গিয়ে মানুষ ভাল ব্যবহার পাচ্ছে না, প্রতিকার পাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে থানায় মামলা বা জিডি নিতে অনীহা প্রকাশ করা হয়। এ ধরনের উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে। ঢাকা মহানগর চেকপোষ্টের (তল্লাশি চৌকি) নামে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষকে হয়রানী করা হচ্ছে’। তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশে দুর্নীতি বাড়ছে। বাড়ছে ক্ষমতার অপব্যবহার। পুলিশের ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে কি-না, তা নিয়েও আলোচনা হ’তে পারে’। গত ৩ জানুয়ারী সকালে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর প্রথম অনুষ্ঠানেই বর্তমান পুলিশ ব্যবস্থার নিষ্করুণ চিত্র এভাবে তুলে ধরেন আইজির পদমর্যাদাপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশের সমন্বয়ক ফণীভূষণ চৌধুরী।

পরিদর্শক পদ প্রথম ও উপপরিদর্শক পদ দ্বিতীয় শ্রেণীর : বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচটি পদ গ্রেড-১ ভুক্ত (সচিব পদ মর্যাদার) করার এবং পরিদর্শক পদ প্রথম শ্রেণী ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদ দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৩ জানুয়ারী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশের ২ টাকা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নোট

বাংলাদেশের ২ টাকার নোট পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নোট হিসাবে স্বীকৃতি পেল। এরপর সেরা নোটের তালিকায় আছে সাও টোমের ৫০ হাযার ডোবরা নোট। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে বাহামার ১ ডলারের নোট এবং বাহরাইনের ৫ দীনারের নোট। রাশিয়ার একটি বিনোদন কেন্দ্র পরিচালিত জরিপে এ অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।

পর্ণোগ্রাফির সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদন্ড

পর্ণোগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদন্ড, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে এ আইনের বিচার করা হবে। গত ২ জানুয়ারী সচিবালয়ে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ‘পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পর্ণোগ্রাফির মাধ্যমে গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করা হ’লে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেওয়া যাবে। তাছাড়া পর্ণোগ্রাফির অভিযোগ করে কারো নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করার বিষয়টি প্রমাণিত হ’লে বাদীকে দুই বছরের কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।

২০১১ সালে দেশে নারী নির্যাতনের চালচিত্র

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান মতে, ২০১১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৭১৬ জন নারী পারিবারিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ৫০১টি। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৭৮টি পরিবার। বিভিন্ন রাষ্ট্রে পাচার হয়েছে ১০৯ জন নারী এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ২৩৪ জন। পরিসংখ্যানে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুসহ সব বয়সী গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৯৫টি। ধর্ষিতা হয়েছে ৬০৮ জন মহিলা এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। আত্মহত্যা করেছে ৪২৮ জন এবং হত্যার শিকার হয়েছে ৮০৯ জন নারী। বখাটেদের দ্বারা উত্যক্ত হয়েছে ৯৫৮ জন মহিলা। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত ১ জানুয়ারী থেকে ৩০ নভেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ১ হাযার ১৬৮টি পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

[নারী নির্যাতন আইনের ফলে যে পুরুষ নির্যাতন হচ্ছে, তার হিসাব কোথায়? (স.স)]

সাড়ে ৩ হাযার টাকায় সন্তান বিক্রি

মৌলভীবাজার যেলার শ্রীমঙ্গলে সিজারের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে নবজাতক সন্তানকে মাত্র সাড়ে ৩ হাযার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে সন্তানের পিতা ও মাতা। জানা গেছে, হবিগঞ্জ যেলার চুনারুঘাট উপযেলার দিনমজুর রিক্সাচালক মামূন ও রোজিনা খাতুন জীবন-জীবিকা নির্বাহের তাগিদে শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ রোডে ভাড়া বাসায় থাকে। গত ১৬ ডিসেম্বর সিজারের মাধ্যমে রোজিনার পুত্রসন্তান জন্ম হয় শ্রীমঙ্গলের মুক্তি মেডিকেয়ার ক্লিনিকে। সিজারের খরচ বাবদ সাড়ে ৩ হাযার টাকা দিতে না পেরে পেটের সন্তানকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছে দরিদ্র পিতা-মাতা। এক প্রবাসীর নিঃসন্তান স্ত্রী বাচ্চাটিকে ক্রয় করেছেন।

জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ

বাংলাদেশের ভোক্তা সমিতি বা ‘কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ক্যাব) বলেছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১১ সাল জুড়েই নিত্যপণ্যের বাজার ছিল বেসামাল। ক্যাবের হিসাবে, গত বছর নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর এর প্রভাবে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ সময় পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাওয়া যাত্রী পরিবহনের ভাড়া এবং লাগামহীন বাড়ি ভাড়াও সাধারণ মানুষকে কম ভোগায়নি। ২০১১ সালে গড়ে বাড়িভাড়া বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে মূল্যবৃদ্ধির খড়গ পড়েছে ভোক্তার ঘাড়ে। বাঁচার তাগিদে এ সময় অধিকাংশ ভোক্তা প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। ২০১০ সালে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছিল আগের বছরের চেয়ে ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০০৯ সালে তা বেড়েছিল ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।

আসক-এর মূল্যায়ন

গত বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক

২০১১ সালে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক। এর মধ্যে মানুষ ‘নিখোঁজ’ হওয়া ও ‘গুপ্তহত্যার’ ঘটনা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্রে’র (আসক) মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বলা হয়েছে। আসকের মতে, গত বছর ৩ ধরনের ঘটনায় অন্তত ৫১ জন নিখোঁজ বা অপহরণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের লাশ পাওয়া গেছে।

আসকের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাযতে ও কথিত ‘ক্রসফায়ারে’ ১০০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে শুধু ক্রসফায়ারে র‌্যাবের হাতে ৩৫ জন, পুলিশের হাতে ১৯ জন, র‌্যাব ও পুলিশের হাতে যৌথভাবে চারজন নিহত হয়েছে। আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছর বখাটেদের উৎপাতে ৩৩ জন নারী আত্মহত্যা করেছে, আর বখাটেদের হাতে খুন হয়েছে ২৩ জন। তাছাড়া ১১৭ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৪ জন শিশু।

ইনশাআল্লাহ বলায় এয়ার হোস্টেসকে ক্ষমা চাইতে হ’ল

বেসরকারী বিমান পরিবহন সংস্থা জিএমজি এয়ারলাইন্সে ‘ইনশাআল্লাহ’ ও ভ্রমণের দো‘আ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ‘ইনশাআল্লাহ’ বলায় সাবেরা ফেরদৌসী নামের সিনিয়র এক এয়ার হোস্টেসকে শোকজ করা হয়েছে। লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে তিনি চাকরিচ্যুতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন। অন্যদেরও চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে জিএমজির ভারতীয় কর্মকর্তা এওয়ার্ড একলেস্টন।

[ঐ ভারতীয় কর্মকর্তাকে এখুনি বরখাস্ত করুন এবং উক্ত আদেশ প্রত্যাহার করুন (স.স.)]

দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস মহামারী হিসাবে দেখা দিয়েছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে ডায়াবেটিস বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন। যা ২০৩০ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন।

হানাফী ঐক্য পরিষদ গঠন

গত ৭ জানুয়ারী আহসানিয়া ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকাস্থ হানাফী আলেমগণের এক সভায় মাযহাব অনুসারী সকল মাসলাকের আলেমগণের ফিক্বহী বিষয়ে ঐক্য ও সম্মিলিত কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য ‘হানাফী ঐক্য পরিষদ’ নামে একটি অরাজনৈতিক গবেষণা ফোরাম গঠন করা হয়। সভায় মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নাদভীকে আহবায়ক ও মুফতী মুহাম্মাদ ওছমান গণীকে সদস্য সচিব করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সভায় বক্তাগণ বলেন, বর্তমানে কিছু অপরিণামদর্শী ব্যক্তি মাযহাবের পরিশীলিত ও পরীক্ষিত পথ থেকে ধর্মীয় জ্ঞানে অনভিজ্ঞ মানুষদের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিপথে পরিচালিত করে ভুল বোঝাবুঝি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

এদিকে গত ১২ জানুয়ারী প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় ইমাম-খতীব পরিষদের উদ্যোগে ‘ইসলাম ও সন্ত্রাসবাদ’ শীর্ষক এক সেমিনারে লা-মাযহাবী, ওহাবীবাদ, সালাফীবাদ, মওদূদীবাদ সবকিছুকে একাকার করে ইঙ্গিতে আহলেহাদীছদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়েছে।

[ইতিপূর্বে এরা আমাদের ‘সকল বিধান বাতিল কর, অহি-র বিধান কায়েম কর’ শ্লোগানের বিরুদ্ধে ‘মাযহাবী বিধান কায়েম কর’ শ্লোগান তুলেছিল। হক-এর দাওয়াত যত বৃদ্ধি পাবে, বাতিল তত ক্ষিপ্ত হবে, এটাই স্বাভাবিক। অতএব হকপন্থীদের ঐক্য যোরদার করা এবং দাওয়াত আরও বৃদ্ধি করা আবশ্যক (স.স.)]।

বাংলাদেশী এক যুবককে নগ্ন করে পিটিয়েছে বিএসএফ

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একটি দল এক বাংলাদেশী যুবককে নির্মমভাবে নগ্ন করে পিটিয়েছে। এই ঘটনায় ৮ বিএসএফ জওয়ানকে বহিষ্কার করেছে বিএসএফ। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ যেলার কাহারপাড়া সীমান্তের একটি ফাঁড়িতে ঐ ঘটনা ঘটে। বিএসএফের নির্যাতনের শিকার ঐ যুবক চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপযেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের ১৭ রশিয়া গ্রামের হাবীবুর রহমান (২২)। তিনি নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে বলেন, গত ৬ ডিসেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদের রাণীনগরের কাহারপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের ২শ’ টাকা উৎকোচ দিয়ে ভারতে যান গরু আনার জন্য। ওপারে গিয়ে গরু না পেয়ে ফিরে আসার সময় ৯ ডিসেম্বর ঐ ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরা তাকে রাত ৯-টার সময় আটক করে। এ সময় বিএসএফ তার কাছে ২ হাযার টাকা, ১০টি টর্চ লাইট ও একটি মোবাইল ফোন দাবী করে। কিন্তু সেগুলো দিতে না পারার কারণে তাকে বিএসএফ সদস্যরা রশি ও মাফলার দিয়ে হাত-পা বেঁধে বিবস্ত্র করে সারারাত নির্যাতন করে। পরদিন ১০ ডিসেম্বর সকালে আবারও শুরু হয় নির্যাতন। ঐ নির্যাতনের চিত্র মোবাইল ফোনে ভিডিও ফুটেজে ধারণ করে রাখে বিএসএফ সদস্যরা এবং তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে দেয়া হয়। তার মিনতিতে শরীরে আগুন লাগায়নি বিএসএফ জওয়ানরা। নির্যাতনের পর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃত ভেবে পার্শ্ববর্তী সরিষা ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। পরে বাংলাদেশী অন্য রাখালরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহীর খানপুর গরুর বিট এলাকায় নিয়ে আসে। পরে সেখানকার একজন গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফিরে আসে নিজ বাড়ীতে। উল্লেখ্য, প্রতি গরু পাচার করতে বিএসএফ ১ হাযার রূপী করে নেয়। তা না দিলেই নির্যাতন করে।

[প্রতিদিন সীমান্তে হাবীবুরের মতো কতজন যে বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তার ইয়ত্তা নেই (স.স.)]

বিশ্বের সর্বাধিক সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে; ২০১১ সালে নিহত ৫৯৩২ জন

প্রতি হাযার নাগরিকের বিপরীতে গাড়ির সংখ্যা সবচেয়ে কম হওয়ার পরও সারাবিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে বাংলাদেশে। ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)-এর হিসাবে ২০১১ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৫৯২৮ জন। পঙ্গু, অঙ্গহানি বা গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ হাযার ৪৩০ জন। আহত ও নিহতদের ৫৪ শতাংশই হচ্ছেন নিরীহ পথচারী। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে বছরে গড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ৮ থেকে ১০ হাযার মানুষ। কম-বেশী আহত হন অর্ধলাখ।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সঠিক ছিল

-কর্ণেল (অবঃ) শওকত আলী

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আসামী কর্ণেল (অবঃ) শওকত আলী সম্প্রতি বলেছেন, আগরতলা মামলা ও ঐ মামলার সব ঘটনা সত্য ছিল। ঐতিহাসিক ৬ দফাকে নস্যাৎ করতেই আইয়ূব খান ঐ মামলাটি করেছিলেন। তিনি সবাইকে এখন থেকে আগরতলা মামলাটিকে ষড়যন্ত্র মামলা হিসাবে অভিহিত না করারও আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালী অফিসারদের মধ্যে ফ্লাইট সার্জেন্ট ফযলুল হক ও আমরা কয়েকজন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কমান্ডো স্টাইলে হামলা করে পূর্ব পাকিস্তানের সেনা স্থাপনাগুলো দখল করে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করব। তিনি বলেন, এ পরিকল্পনার কথা শেখ মুজিব জানতেন এবং তাতে তার সম্মতিও ছিল। আগরতলা মামলায় এ কারণেই তাকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয় এবং তৎকালীন ৩৫ জন সেনাকর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় ঐ মামলায়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সশস্ত্র পন্থায় দেশ স্বাধীন করতে। অন্য কোনভাবে দেশ স্বাধীন করা সম্ভব ছিল না। ৭১-এর সশস্ত্র সংগ্রাম মুজিবের সে বিশ্বাসকে প্রমাণ করে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আসামী ফ্লাইট সার্জেন্ট ফযলুল হকের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন শওকত আলী।


বিদেশ

ভারতের মধ্যপ্রদেশে গরু যবেহ করলে সাত বছর জেল

ভারতের মধ্যপ্রদেশে গরু যবেহ করলে সাত বছরের জেল দেওয়া হ’তে পারে। শিগগিরই এ আইন চালু হচ্ছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ‘ভারতীয় জনতা পাটি’র্ (বিজেপি) শাসিত মধ্যপ্রদেশের একজন মুখপাত্র গত ৩ জানুয়ারী বলেন, গরু হত্যা বা গরুর গোশত বিক্রি করলে, এমনকি কারো কাছে গোশত পাওয়া গেলেও তাঁকে ঐ দন্ডের মুখোমুখি হ’তে হবে। ২০১০ সালে তিন বছর ধরে দুধ না দেওয়ায় একজন মুসলিম তার একটি গাভী যবেহ করেন। এ ঘটনার পর উগ্রবাদী হিন্দুরা দু’টি মসজিদে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তারা একটি মসজিদের দরজায় আগুন লাগিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, ভারতের আরো কয়েকটি রাজ্যে একই ধরনের আইন চালু রয়েছে।

[কি চমৎকার ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ! (স.স.)]

আর্থিক মন্দার কারণে সিঙ্গাপুরে সরকারী কর্মকর্তাদের বেতন অর্ধেক কমানো হচ্ছে

অর্থনৈতিক মন্দার কারণে শিল্পোন্নত দেশ সিঙ্গাপুর মন্ত্রীদের বেতন-ভাতা ৫২ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পরিকল্পনা করছে। নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়িত হ’লে প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান বার্ষিক বেতন ৩০ লাখ ৭০ হাযার সিঙ্গাপুরী ডলার থেকে ৩৬ শতাংশ কমে হবে ২২ লাখ ডলার। মন্ত্রীদের বার্ষিক বেতন ৩৭ শতাংশ কমে ১১ লাখ ডলার হবে। প্রেসিডেন্টের বেতন ৫১ শতাংশ কমিয়ে করা হবে ১৫ লাখ ৪ হাযার ডলার। স্পীকারের বেতন ৫৩ শতাংশ কমিয়ে করা হবে ৫৫ লাখ ৫ হাযার ডলার।

বিশ্বমন্দার কারণে জাতিসংঘের বাজেট হ্রাস : বৈশ্বিক মন্দা ও অন্যান্য কারণে জাতিসংঘ তার ব্যয়ভার হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতিসংঘের ২০১২-১৩ সালের বাজেট ৫ শতাংশ কমিয়ে ৫শ’ ১৫ কোটি ডলার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১০-১১ সালে জাতিসংঘের বাজেট ছিল ৫শ’ ৪১ কোটি ডলার। গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাতিসংঘের বাজেট কমল।

আমেরিকার ৪৫ হাযার কোটি ডলার প্রতিরক্ষা ব্যয় হ্রাসের পরিকল্পনা : মন্দা পরিস্থিতির মোকাবিলায় নতুন সামরিক নীতি প্রণয়ন  করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা করেছেন, ভবিষ্যতে মার্কিন বাহিনী আকারে ছোট করা হবে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষিত এই সংশোধিত প্রতিরক্ষা নীতিতে আগামী এক দশকে পেন্টাগণের সামরিক খাতে ৪৫ হাযার কোটি ডলার ব্যয় হ্রাস করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, সংশোধিত প্রতিরক্ষানীতি অনুযায়ী এক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও মেরিন বাহিনীতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জনবল কমানো হ’তে পারে।

স্কটল্যান্ডের রয়েল ব্যাংক সাড়ে তিন হাযার কর্মচারী ছাঁটাই করবে : স্কটল্যান্ডের রয়েল ব্যাংক (আরবিএস) সাড়ে তিন হাযার কর্মচারী ছাঁটাই করবে। চলতি বছরের মধ্যেই এদের ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন ও সংকোচন নীতির কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। গত দুই বছরে ব্যাংকটি এরই মধ্যে প্রায় ৩০ হাযার কর্মচারী ছাঁটাই করেছে। ছাঁটাইকৃতদের মধ্যে ২২ হাযার লোকই ছিল শুধু যুক্তরাষ্ট্রের।

৪ হাযার সেনা ছাঁটাই হচ্ছে ব্রিটেনে : ব্রিটেনে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এ বছর ছাঁটাই হয়ে যাচ্ছেন সামরিক বাহিনীর চার হাযারের বেশি সদস্য। ছাঁটাইকৃতদের মধ্যে ৮ জন ব্রিগেডিয়ার এবং ৬০ জন লেফটেন্যান্ট কর্ণেলসহ বহু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা রয়েছেন।

বিশ্বের ২০ কোটি মানুষ মাদকসেবী

বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি লোক নিষিদ্ধ মাদক সেবন করে। ‘দ্য ল্যানসেট’ পত্রিকায় গত ৬ জানুয়ারী প্রকাশিত এক জরিপে মাদক সেবনের এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ১৪ কোটি ৯০ লাখ থেকে ২৭ কোটি ১০ লাখ লোক অবৈধ মাদক সেবন করে। এদের মধ্যে ১২ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২০ কোটি ৩০ লাখ লোক গাঁজা এবং এক কোটি ৫০ লাখ থেকে তিন কোটি ৯০ লাখ লোক আফিম জাতীয় মাদক বা কোকেন সেবন করে।

চীনে ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার গতির ট্রেন চালু

গত ২৬ ডিসেম্বর চীনের বেইজিংয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার গতিবেগের ট্রেন চালু করা হয়েছে। এর নির্মাণে সময় লেগেছে মাত্র তিন বছর। কয়েক মাসের মধ্যেই বেইজিংয়ের রেল লাইনে ছুটতে দেখা যাবে এ যানটিকে। এটিই এ পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন।

ভেনেজুয়েলায় দৈনিক গড়ে ৫৩ জন নিহত

২০১১ সালে ভেনেজুয়েলায় রেকর্ডসংখ্যক হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ভেনেজুয়েলার ভায়োলেন্স অবজারভেটরি (ওভিভি) সম্প্রতি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, এ বছর দেশটিতে অন্ততপক্ষে ১৯ হাযার ৩৩৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যা গড়ে দৈনিক ৫৩ জন ও প্রতি ১ লাখে ৬৭ জন। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ এবং মেক্সিকোর তুলনায় তা চারগুণ বেশি। পার্শ্ববর্তী কলম্বিয়া ও মেক্সিকোতে গত বছর প্রতি ১ লাখে হত্যাকান্ডের শিকার হয় যথাক্রমে ৩২ জন ও ১৪ জন।

আদালতের রায়

গুজরাটে হিন্দী বিদেশী ভাষা

ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিন্দীকে গুজরাটে বিদেশী ভাষা বলে রায় দিয়েছে গুজরাট হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া রায় অনুযায়ী গুজরাটীদের জন্য হিন্দী একটি বিদেশী ভাষা বলে বিবেচিত হবে। এমনকি রাজ্য সরকার পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মাধ্যমও গুজরাটী। গুজরাটের জুনাগড়ের কৃষকদের করা এক মামলার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

দিল্লীতে নারী নির্যাতন কমছে না

ভারতের রাজধানীকে নারীদের জন্য নিরাপদ করে তুলতে পুলিশের নতুন অনেক উদ্যোগের পরেও ২০১১ সালে দিল্লীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। ‘প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’ (পিটিআই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১১ সালে দিল্লীতে ৫৬৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, আর ২০১০ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৫০৭টি। তবে প্রতি লাখে ধর্ষণের হার কমেছে বলে জানিয়েছে পিটিআই। ২০০৫ সালে দিল্লীতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে প্রতি লাখে ৪ দশমিক ৪২। এ হার ২০১১ সালে ৩ দশমিক ৩৯ এ এসে দাঁড়ায়। নারীদের উপর যৌন নিপীড়নের ঘটনাও বেড়েছে ২০১১ সালে। ২০১০ সালে ৬০১টি নিপীড়নের ঘটনা ঘটে যা ২০১১ সালে ৬৫৩টিতে এসে দাঁড়ায়।

মন্দার কারণে গ্রিসে সন্তানদের রাস্তায় ফেলে যাচ্ছেন অনেক অভিভাবক

অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সন্তানদের আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক মা-বাবা ও অভিভাবক। অনেকে সন্তানের ব্যয়ভার বহনে অক্ষম হওয়ায় পথে-ঘাটে তাদের কলিজার টুকরা সন্তানদের ফেলে যাচ্ছেন। ‘প্রতিদিন রাতে আমি একাকী কাঁদতাম। কান্না ছাড়া আমার কিছুই করার ছিল না। প্রতিদিন আমি দগ্ধ হ’তাম, কিন্তু আমার জন্য কোন পথ খোলা ছিল না। আমার সন্তান গির্জা থেকে আনা কিছু খাবার খেয়ে বেঁচে থাকত। না খেতে পেয়ে আমার সন্তানের ওযন ২৫ কেজি কমে গেছে’। একজন বিপত্নীক নারী তার সন্তান মারিয়াকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর পর এভাবেই  তার  অভিব্যক্তি  প্রকাশ  করেন। চাকরি হারানোর পর সন্তানকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

এমন ঘটনাও সেখানে ঘটেছে যে, যমজ সন্তানের মা পুষ্টিহীনতার কারণে তার সন্তানদের দুধ পান করাতে পারছেন না। এতে শিশু দু’টিকে পুষ্টিহীনতার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হ’তে হয়েছে। গত কয়েক মাস আগে আরেকটি ঘটনা সবাইকে নাড়া দেয়। সেদিন ফাদার এন্তোনিও নামের একজন যাজক শহরে হাঁটতে বের হওয়ার পরই দেখেন, চারটি শিশু আশ্রয় কেন্দ্রের সামনে পড়ে আছে। তাদের মধ্যে একজন নবজাতক ছিল। এরকম ঘটনা সেখানে হরহামেশাই ঘটছে। এমনকি সেখানে এসপিরিন এবং অন্যান্য ওষুধেরও ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে।

ওবামার চেয়ে রোবট ভাল

-ফিদেল ক্যাস্ট্রো

সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছেন, ওবামার চেয়ে একটি রোবট ভাল কাজ করতে পারত। বিশ্বময় যুদ্ধ-বিগ্রহ ঠেকাতে সক্ষম হ’ত। ওবামা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ক্যাস্ট্রো বিশ্বাস করতেন, এই কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবৈষম্য দূর করবে। বিশ্বময় যে সহিংসতা বিরাজমান তা সমাধান করবে তারুণ্যের সক্রিয়তা দিয়ে। কিন্তু ক্রমেই ওবামার প্রতি তার মুগ্ধতা বিবর্ণ হয়ে যায়। সেজন্য সম্প্রতি তিনি  উক্ত তির্যক মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান প্রকট হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নাগরিক ও জন্মসূত্রে নাগরিকদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বা জাতিগত আফ্রিকানদের সঙ্গে জাতিগত ইউরোপীয়দের দ্বন্দ্বের চেয়েও ধনী-গরীবের দ্বন্দ্ব বেশি তীব্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’ পরিচালিত জনমত জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৬ শতাংশ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের ধনী-গরীবের মধ্যে ‘তীব্র’ ও ‘কঠিন’ দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করেছেন। ৩০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ধনী-গরীবের মধ্যে ‘তীব্র দ্বন্দ্ব’ চলছে বলে সরাসরি মতপ্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্সাস ব্যুরোর সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট সম্পদের ৫৬ শতাংশের মালিক শীর্ষ ১০ শতাংশ মানুষ, যেখানে ২০০৫ সালে তাদের সম্পদের পরিমাণ ছিল মোট সম্পদের ৪৯ শতাংশ।

মার্কিন সেনাদের মাঝে যৌন অপরাধ দ্বিগুণ হয়েছে

চাকরীরত মার্কিন সেনাদের মধ্যে যৌন অপরাধ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। মার্কিন সেনা সদর দফতর পেন্টাগন এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারী প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে এ ধরনের অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় শাখায় গত বছর যৌন অপরাধ সংক্রান্ত ঘটনায় ১৬৪ জন সেনা সদস্য আত্মহত্যা করেছে। আর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দু’হাযার ৮১১টি। এ মাত্রা ২০০৬ সালের চেয়ে শতকরা ৯০ ভাগ বেশি। প্রতি দশটি ঘটনার মধ্যে ছয়টিতে দেখা গেছে অপরাধী সেনা ছিল মাতাল আর তাদের যৌন লালসার শিকার হয়েছে নারী সেনারা। এসব নারী তাদের চাকরির ১৮ মাসের মধ্যেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০১১ সালে প্রতি ছয় ঘণ্টা ৪০ মিনিটে একটি করে যৌন অপরাধের ঘটনা ঘটেছে।

এশিয়ার নিকৃষ্টতম আমলাতন্ত্র হ’ল ভারতে

হংকংয়ের একটি বেসরকারী সংস্থা তাদের এক রিপোর্টে একথা বলেছে। ক্রম অনুযায়ী ভারত ১০-এর মধ্যে পেয়েছে ৯.২১। ভিয়েতনাম ৮.৫৪, ইন্দোনেশিয়া ৮.৩৭, ফিলিপাইনস ৭.৫৭ ও চীন ৭.১১। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় আমলাতন্ত্রের ওপর বাণিজ্য মহলের বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে। আমলাতন্ত্রের টেবিলের তলা দিয়ে অনেক কিছু গলিয়ে যায়। ঐ রিপোর্টে আরো জানানো হয়েছে, ভারতীয়দের কাছেই ভারতীয় আদালত ব্যবস্থা আকর্ষণহীন এবং তা থেকে সবাই এড়িয়ে যেতে চান। দেশের বিচারব্যবস্থার যুক্তিহীন দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষুব্ধ দেশবাসীর ভরসা কমেছে বিচার ব্যবস্থার ওপর।

সংঘাতময় শহরগুলোর প্রায় সবই লাতিন আমেরিকার

বিশ্বের সবচেয়ে সহিংসতাপ্রবণ ৫০টি শহরের ৪০টিরই অবস্থান লাতিন আমেরিকায়। আর একক দেশ হিসাবে ব্রাজিলের সর্বাধিক ১৪টি শহর এই তালিকায় রয়েছে। মেক্সিকোর চিন্তাবিদদের একটি সংস্থা ‘সিটিজেনস কাউন্সিল ফর পাবলিক সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস’ এই তালিকা তৈরি করে। হন্ডুরাসের সান পেদ্রো বিশ্বের সবচেয়ে সহিংসতাপূর্ণ শহর। শহরটিতে খুনের হার প্রতি লাখে ১৫৮ দশমিক ৮৭ জন। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকোর জুয়ারেজ শহর। এই শহরে খুনের হার প্রতি লাখে ১৪৭ দশমিক ৭৭ জন।

ভারতে প্রতিদিন অভুক্ত থাকে ২৩ কোটি মানুষ

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, ভারতে প্রতিদিন ২৩ কোটি মানুষ অভুক্ত থাকে। অপরদিকে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইএফপিআরআই) হিসাবে এই সংখ্যা ২১ কোটি ৩০ লাখ। আফএফপিআরআই জানিয়েছে, ভারতের ২১ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে। পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ কম ওযনসম্পন্ন। আর এই শিশুদের মধ্যে ৭ শতাংশ পাঁচ বছর বয়সে পৌঁছার আগেই মারা যায়। আইএফপিআরআই জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধাপীড়িত দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম।

গির্জার টাকা মেরে জুয়া খেলার দায়ে যাজকের ৩ বছর কারাদন্ড

একেই বলে লাস ভেগাসের হাওয়া। গির্জার টাকা মেরে জুয়া খেলতে গিয়ে ধরা পড়লেন যাজক নিজেই। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রাজ্যের লাস ভেগাসের একটি রোমান ক্যাথলিক চার্চের ধর্মযাজক মনসিনোর কেভিন ম্যাকালিফ গির্জার ত্রাণ তহবিলের টাকা মেরে দিয়ে জুয়া খেলেছেন। এই অপরাধে তার তিন বছরের জেল হয়েছে। জানা গেছে, গির্জার কল্যাণ তহবিলের ৬ লাখ ৫০ হাযার ডলার আত্মসাৎ করেছেন তিনি। আর এই টাকার সবটা জুয়া খেলে উড়িয়ে দিয়েছেন। নেভাদার রাজধানী লাস ভেগাস জুয়ার রাজধানী হিসাবে বিশ্ববিশ্রুত। শহরটিতে অসংখ্য ক্যাসিনো রয়েছে যেখানে সারা বিশ্ব থেকে জুয়াড়িরা আসে। কতোজন যে নিঃস্ব হয়ে যায় তার ইয়ত্তা নেই।

ভারতে শিশু শ্রমিক ৫০ লাখের ওপর

ভারতে প্রায় ৫০ লাখ শিশু এখনও নানা ধরনের কাজে শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত। ২০০১ সালে দেশটিতে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৬ লাখ। এদের সবারই বয়স ৬ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। ২০০৪-০৫ সালে ছিল ৯০ লাখ ৭৫ হাযার। আর ২০০৯-১০ সালের হিসাব মতে ৪৯ লাখ ৮৪ হাযার।






আরও
আরও
.