মংলায় নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাটা, হলুদ আর সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন চাষী সুলতান জমাদ্দার (৬০)। কোন কাজই যেন তাকে হার মানাতে পারে না। দিন-রাত হাড়ভাঙ্গা খাটুনি আর অবিরাম পরিশ্রম করে তিনি এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।

প্রচন্ড লবণ পানির এলাকায় কোন প্রকার কৃষি বিভাগের সহায়তা ছাড়াই চাষী সুলতান একই জমিতে নানামুখী ফসল ফলাচ্ছেন। তার সংসারে তাই ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। দীর্ঘ ২২ বছর ভাড়া বাড়িতে থেকে এখন মংলা পৌর এলাকায় এক খন্ড বাড়ি কিনেছেন। মংলা শহরতলীর শাহাজালালপাড়ার বাসিন্দা সুলতান জমাদ্দার দীর্ঘ ২৪ বছর আগে মংলায় এসে জাহাজে শ্রমিকের কাজ করতেন। তবে বন্দরে জাহাজ আগমন হ্রাস পাওয়ায় তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে দারুণ অর্থ সংকটে পড়ে বিকল্প জীবিকায়নের সন্ধান করতে থাকেন। ২০০৫ সালে তিনি মাত্র ৫ বিঘা জমি বরগা নিয়ে শুরু করেন সবজি ও সাদা মাছের চাষ। প্রথমে কৃষিতে তেমন সাফল্য না পেলেও পরে নিজের প্রযুক্তি অনুযায়ী গোবর ও জৈব সার ব্যবহার করে ধীরে ধীরে সাফল্য পেতে শুরু করেন। চলতি বছর ও গত বছরে কৃষি ও মাছ চাষে সর্বাধিক সাফল্য আসে। এবছর তার জমিতে কাঠা প্রতি ১৬ মণ করে হলুদ ফলেছে। আবার একই জমিতে বেগুন, মরিচ, ঢেঁড়স, কফি, লাউ, পুঁই শাক ও ডাটা চাষ করে আরো সাফল্য পেয়েছেন। ৯ মাসে তার প্রতি ডাটা শাকের ওযন হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি।

কৃষক সুলতান জানান, তার উৎপাদিত ফসলে কীটনাশক তেমন ব্যবহারই করেন না। রাসায়নিক সারও ব্যবহার করেন সামান্য পরিমাণ। তবে গোবর সারই আর ভাল বীজই তার এ সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ। কৃষির সাথে সাথে নালা কেটে মাছের চাষ করেও বেশ লাভবান হয়েছেন। চারিদিকে লোনা পানি থাকা সত্ত্বেও এ কৃষক তার নির্ধারিত জমিতে যাতে লোনা পানি উঠতে না পারে সেদিকে বেশ সজাগ। উচু বেড়ি বেঁধে তার থেকে রক্ষা করা হয়। তার পরও লবণ চুষে আসে। তাই এ লবণাক্ততা সহনীয় নিজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিনি দিন দিন কৃষিতে সাফল্য এনেছেন। নিজস্ব লবণ এলাকায় উৎপাদিত সবজির ভাল ও মানসম্মত বীজ তিনি নিজে সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ করে পরের বছর আবার ফসল ফলাচ্ছেন। একারণে তার ক্ষেতে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি অনেক বেশী লবণ সহিষ্ণু বলে তিনি দাবী করেন। ঐ কৃষক আরো জানান, তিনি কৃষি বিভাগের কোন প্রকার সহায়তা পাননি। এমনকি সরকারী ও বেসরকারী কোন সংস্থার ঋণ বা কোন প্রকার আর্থিক সহায়তা পাননি। এতেও তার দুঃখ নেই। বাজারে তার উৎপাদিত ফসলের দামও বেশ ভাল পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ক্রেতারা আগ্রহভরে তার ফসল কিনে নেয়।

 \ সংকলিত \






বেলের উপকারিতা
সাতক্ষীরায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খাঁচায় কাকড়া চাষ
পটল চাষ
আঙ্গুর চাষ ও পরিচর্যা - উম্মে হাবীবা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
চুই ঝালের চাষ পদ্ধতি
দেশী পদ্ধতিতে সাম্মাম চাষে সাফল্য
ধানে ব্লাষ্ট : প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম - মুহাম্মাদ মুমিনুল ইসলাম, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
কাঠের বাক্সের চাইতে ডিজিটাল মৌ-বাক্সে দ্বিগুণ মধু পাওয়া যায় (সম্ভাবনার ডিজিটাল মৌ-বাক্স)
ক্ষেত-খামার
হাঁস পালন করে কোটিপতি; শিম চাষে বছরে আয় ১৫ কোটি টাকা; নাটোরের বড়াইগ্রামে চাষ হচ্ছে ভিয়েতনামের ড্রাগন ফল
ছাদে আনার বা বেদানার চাষ পদ্ধতি - \ সংকলিত \
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলাচ্ছে কৃষি
আরও
আরও
.