যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রমশ বাড়তে থাকা ওবেসিটি ও ডায়াবেটিসকে কব্জা করতে ভাত থেকে দূরে সরে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বিশ্ব জুড়েই। তবে এশীয় মহাদেশে ভাতের প্রতি নির্ভরতা বেশী থাকায়, সম্পূর্ণ অবহেলাও তাকে করা যায় না। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও ভাত থেকে পাওয়া গ্লাইকোজেন গলতে সময় নেওয়ায় শরীরে মেদের ভার বাড়ে। তাই ভাতকে বাতিলের খাতায় ফেলছেন অনেকে। সাদা ধবধবে চাল খেতে ভাল, কিন্তু কোনও পুষ্টিগুণ নেই। ওদিকে ঢেঁকি ছাঁটা চালে পুষ্টিগুণ থাকলেও তা মুখরোচক নয়। তবে সম্প্রতি এক প্রকারের চাল নিয়ে বিজ্ঞানী ও পুষ্টিবিদ উভয়েই বেশ আশাবাদী। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই চাল কেবল পুষ্টিতেই ভরপুর নয়, রোগ প্রতিরোধেও এর ভূমিকা অনেক। ভারতের পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, হার্ট ও যকৃতকে সুস্থ রাখা, মানসিক চাপ কমানো, ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই, এমনকি ক্যান্সারের সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক এই কালো ধানের চাল। তাই কালো ধানের চাল নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা গবেষণাও চলছে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বাড়ায়। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম গুপ্তের মতে, অন্যান্য চালের চেয়ে কালো ধানের চালে ফাইবার বেশী থাকায় তা অল্পেই পেট ভরায়। এছাড়া এর অ্যান্থোসায়ানিন ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বৃদ্ধি ঠেকিয়ে দেয়। গ্লটেনমুক্ত হওয়ায় তা হজম সংক্রান্ত সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। সাদা চালের চেয়ে এই চালের ক্যালোরিও অনেক কম। তাই ওযন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কার্যকর। প্রতি দিনের ডায়েটে উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ এই চাল যোগ করলে সুস্থ থাকা যাবে।






আরও
আরও
.