ইফতারে খেজুর ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। ছিয়াম ভাঙ্গার জন্য আমরা খেজুর খেয়ে থাকি। মূলত রাসূল (ছা.)-এর সুন্নাত অনুসরণেই এ রীতি পালন করা হয়। তবে খেজুর দিয়ে ইফতার করার পেছনে রয়েছে সুদূর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টির জোগান দেয় খেজুর। এ ফলটি খুব সহজেই হজম হয়। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। সারাদিন উপোস থাকার পরে শরীরে প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট দ্রুত পূরণ করে এই ফল।
এছাড়াও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, তামা, সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এসব রাসায়নিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
ইফতারের সময় খেজুর খেয়ে শুধু ক্ষুধা নিবারণই হয় না; সারা দিন না খেয়ে থাকার পর অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। কারণ খেজুরে প্রচুর ফাইবার থাকে, যাতে অল্পতেই খাবারের চাহিদা পূর্ণ হয়।
মরুর বুকে রাসূল (ছা.) ও ছাহাবায়ে কেরাম শুধু খেজুর খেয়েই দিনের পর দিন কাটিয়ে দিতেন। তারা এতো কাজ করেও ক্লান্ত হ’তেন না। কারণ খেজুর খেলে শারীরিক ক্লান্তি দূর হয় এবং দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এছাড়া খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবারও আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময় এনার্জি বজায় রাখে।