স্বদেশ 

সীমান্তে বিএসএফের হাতে ৯ মাসে ২৮ খুন 

সম্প্রতি মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ চলতি বছরের ৯ মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ৯ মাসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী ফোর্স (বিএসএফ) ২৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা ও ৭০ জনকে আহত করেছে। এ সময় অপহৃত হন ৫৩ বাংলাদেশী। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, গত ৯ মাসে কমপক্ষে ৬০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৩০ জন নিহত এবং ১২ হাজার ২০৬ জন আহত হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের ২৯৯টি অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ২৮ জন নিহত ও ৩৫২৬ জন আহত এবং বিএনপির ১০৭টি অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ৪ নিহত ও ১২৩৩ জন আহত হয়েছেন। এসময় আরো ৩৮৪ জন কন্যাশিশু সহ ৬৫১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। 

ঝিনাইদহে রাসূল (ছাঃ)-কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ 

ঝিনাইদহের গাড়াগঞ্জের মিঞা জিন্নাহ আলম ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক শিশির ফিরোযের বিরুদ্ধে শ্রেণী কক্ষে রাসূল (ছাঃ)-কে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, এই শিক্ষক গত ২২ সেপ্টেম্বর ক্লাসে রাসূল (ছাঃ)-কে অবমাননা করে আমেরিকায় তৈরী চলচ্চিত্রের প্রশংসা করে বলেন, ‘হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) একজন প্রতারক। তিনি হত্যাকারী, যুদ্ধবাজ এবং অতিশয় চালাক। কুরআন তার নিজের বানানো গ্রন্থ। আল্লাহ বলে কেউ নেই। নামাজ পড়ে লাভ কি? ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে লালন শিল্পী শিশির ফিরোয ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন ইবাদত ও প্রথা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে আসছে। তিনি ক্লাসে আসলে ছাত্ররা তাকে সালাম দিতে পারে না। তিনি সালাম দেওয়া নিয়ে ব্যঙ্গ করেন। সালাম দেওয়ার শাস্তি হিসাবে ক্লাসে ছাত্রদের দাঁড় করিয়ে রাখেন। 

রুয়েট ছাত্রের শব্দানুভূতি সম্পন্ন রোবট উদ্ভাবন 

রোবট শুধু চোখে দেখবে এ ধারণার অবসান ঘটিয়ে শব্দানুভূতিসম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় রোবট উদ্ভাবন করলেন সাদ্দাম ও আবুল মুনযের নামে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)-এর দুই ক্ষুদে বিজ্ঞানী। বহির্বিশ্বে শব্দানুভূতিসম্পন্ন রোবট নিয়ে কাজ শুরু হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম শব্দানুভূতিসম্পন্ন রোবট তৈরি করা হয়েছে। রোবটটি গভীর অন্ধকার থেকে শুধু শব্দের মাধ্যমেই পথ চলতে পারবে। একে সামরিক খাত থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ক্ষেত্র, উদ্ধার অভিযানসহ ইন্ডাস্ট্রিতেও ব্যবহার করা যাবে। প্রস্ত্ততকারক দলটি দাবী অনুযায়ী রোবটটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করলে এর ব্যয় ২ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে। 

সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১১তম 

বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম। গত ৩ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের বেসরকারী সংস্থা ‘নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন’ এই তালিকা প্রকাশ করেছে। এ বছর ১৬১টি দেশের তালিকায় ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম অবস্থানে আছে কোস্টারিকা। এর পরপরই আছে যথাক্রমে ভিয়েতনাম ও কলম্বিয়া। আর নিচের দিক থেকে ১৫১, ১৫০ ও ১৪৯তম দেশ যথাক্রমে বতসোয়ানা, চাদ ও কাতার। ৫৬.৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় ১১তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। এছাড়া প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ৩২তম। তবে সাম্প্রদায়িক সংঘাত এবং একের পর এক জঙ্গী হামলা সত্ত্বেও এগিয়ে আছে পাকিস্তান। তাদের অবস্থান ১৬তম। তালিকায় আফগানিস্তান রয়েছে ১০৯তম স্থানে আর যুক্তরাষ্ট্র ১০৫তম। 

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কর্মঠ বাংলাদেশীরা 

বিশ্বের যেকোনো দেশের মানুষের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ শারীরিকভাবে সবচেয়ে সক্রিয়। আর শারীরিক সক্রিয়তায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ইউরোপীয় দেশ মাল্টা। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান গবেষণা সাময়িকী ল্যানসেট সম্প্রতি এ প্রতিবেদন পেশ করে। ল্যানসেট এর তথ্য মতে ২০০৮ সালে সারা বিশ্বে নিহতদের মধ্যে শতকরা ১০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে অলস জীবন যাপনের কারণে। গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ দেশে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মাঝে কর্মহীনতা চেপে বসে। পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি কর্মহীন থাকে। আর উন্নত দেশগুলো সবচেয়ে বেশি কর্মহীন মানুষের ভার বহন করছে। প্রতিবেদনটি দেখিয়েছে, বাংলাদেশে শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার হার মাত্র ৪.৭%। অন্যদিকে মাল্টায় এর হার ৭১.৯%। সৌদী আরবে ৬৮.৮%, বৃটেনে ৬৩%, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬২.৫%, ভুটানে ৫২.৩%, আমেরিকায় ৪১%। উচ্চমাত্রায় অলস জীবনযাপনে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন হৃদরোগ, ডায়েবেটিক, ব্রেস্ট ক্যান্সার ও কোলন ক্যান্সারেরও ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। 

ফেসবুকে কোরআন অবমাননার ছবিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের রামুসহ বিভিন্ন এলাকার বৌদ্ধমন্দিরে হামলা 

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক যুবকের পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার প্রতিবাদে কক্সবাজারের রামু উপযেলায় ১১টি বৌদ্ধমন্দির ও ১৫টি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। ভাংচুর করা হয়েছে আরও দু’টি বৌদ্ধমন্দির এবং শতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট। কক্সবাজারের রামু উপযেলার হাইটুপী গ্রামের উত্তম কুমার বড়ুয়া নামে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেসবুকের ‘ইনসাল্ট আল্লাহ’ নামে একটি একাউন্ট থেকে ‘কুরআনের ওপর মহিলার দু’টি পা’, ‘আল্লাহ শব্দের বিকৃতি’ ও ‘পবিত্র কা‘বা শরীফে কেউ ছালাত আদায় করছে, কেউ পূজা করছে’ এমনসব ছবি পোস্ট করার পর গত ২৯শে অক্টোবর রোজ শনিবার রাত ৯-টায় সর্বপ্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়ে কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। কিন্তু রাত ১১-টা থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ বাস, ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে রামুর দিকে আসতে থাকে এবং তাদের হাতেই এই ভয়াবহ ঘটনা সংঘটিত হয়। এছাড়া উখিয়ায় দু’টি বৌদ্ধমন্দির এবং পটিয়ায় একটি বিহারসহ ৫টি মন্দিরে হামলা চালানো হয়। পুরো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরোক্ষ সহায়তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত এ ঘটনার জন্য ২১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। রীতি অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলি পরস্পরকে দোষারোপ করলেও এর পিছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে, সে ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বিদেশ মার্কিন যাজকের ৩৩০ বছরের কারাদন্ড 

শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে আমেরিকার এক খ্রিষ্টান যাজককে ৩৩০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ৬৯ বছর বয়সী যাজক অস্কার ডি পেরেজকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত পাঁচ থেকে ১৫ বছর বয়সী পাঁচ শিশুকে নির্যাতনের দায়ে ঐ শাস্তি দেয়। সরকারি কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, পেরেজ গত পাঁচ বছর থেকে গির্জায় খ্রিষ্টান পরিবারগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর তাদের সন্তানদের গির্জার কাজ শেখানোর নাম করে অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে কুপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করতেন। গত বছর এক শিশু মায়ের কাছে তার ওপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দেওয়ার পর ঘটনাটি প্রকাশ পায়। 

৭৫০০ মার্কিন কর্মকর্তা ইসরাইলের খেদমতে ব্যস্ত 

মার্কিন জাতীয় স্বার্থের জন্য ইহুদীবাদী ইসরাঈলকে বড় হুমকি মনে করলেও আমেরিকার সাড়ে সাত হাযার কর্মকর্তা তেলআবিবের পক্ষে কাজ করছে। এসব কর্মকর্তার সবাই আমেরিকার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মার্কিন আইনজীবী ফ্রাঙ্কলিন ল্যাম্ব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের গোড়ার দিকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একটি গবেষণা কমিশন বলেছে, আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের জন্য ইহুদীবাদী ইসরাঈল মৌলিক হুমকি। ৮২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাঈল হচ্ছে বর্তমান সময়ে আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। কারণ তেলআবিবের কর্মতৎপরতা ও আচরণ আরব দেশগুলো এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ওয়াশিংটনের স্বাভাবিক সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, গোয়েন্দাবৃত্তি ও মার্কিন অস্ত্র চোরাচালানীর মাধ্যমে ইসরাঈল দারুণভাবে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। 

এক সন্তান নীতির কুফল : চীনে শহরবাসী প্রবীণদের অর্ধেকই নিঃসঙ্গ 

চীনে শহরে বসবাসকারী প্রবীণদের প্রায় অর্ধেকই তাদের ছেলেমেয়েদের থেকে দূরে একা বাস করেন। প্রায় ৪৯.৭% প্রবীণ ‘খালি বাসায়’ একা থাকেন। সম্প্রতি চায়না ন্যাশনাল কমিটি অন এজিংয়ের সহকারী পরিচালক ইয়ান কুইংচুন এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পল্লী এলাকার ৩৮.৮% প্রবীণ একা নিজেদের মতো বসবাস করতে বাধ্য হন এবং এর জন্য এক সন্তান নীতিই দায়ী। এছাড়া চীনে শিল্পোন্নতির কারণে ছেলেমেয়েরা মা-বাবা থেকে দূরে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে পারিবারিক বন্ধনও ভেঙে যাচ্ছে। 

আরো এক দশক আফগানিস্তানে থাকতে চায় আমেরিকা 

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, আমেরিকা ২০১৪ সালের পর আরো এক দশক আফগানিস্তানে নিজ ঘাটিগুলো ধরে রাখার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনা সরিয়ে নেয়া হ’লে সেখানে মহাদুর্যোগ দেখা দেবে বলে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবী করছে। কিন্তু এসব খবর সত্য নয়। কারণ, দেশের যে সব এলাকায় আফগান সেনারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সেসব জায়গায় নিরাপত্তা ফিরে এসেছে। 

বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় 

বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ইন্টারনেটের আওতায় আছে ২০%-এর বেশী পরিবার। তবে বাংলাদেশে এই হার মাত্র ৩.৩%। অবশ্য বাংলাদেশে মুঠোফোনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে আইসল্যান্ড। দেশটির ৯৫% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে পূর্ব তিমুর। ইন্টারনেটের জগতে যাতায়াত আছে মাত্র ০.৯% মানুষের। মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারের চিত্রে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে মোট ৫৯৭ কোটি মুঠোফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে ইন্টারনেটের সংযোগ আছে ১০৯ কোটি ব্যবহারকারীর। 

খুন না করেও যাবজ্জীবন দন্ড ভোগ করছে ক্যালিফোর্নিয়ার দেড় শতাধিক কিশোর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫৭০ জন রয়েছে যুবক। এর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার কারাগারে রয়েছে ৩০১ জন। এদের সকলেই খুনের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত। তবে সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনে চমকে উঠেছে সেদেশের সুশীল সমাজ। যাতে বলা হয়েছে যে, এসব অপরাধীদের অর্ধেকের বেশী প্রকৃত অর্থে খুনী নয়! 

বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র হ্রাস পেয়েছে ২০১১ সালে 

২০১১ সালে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা হ্রাস পেয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ‘আরব বসন্তের’ মাধ্যমে প্রবর্তিত হওয়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। আর এসব দেশের নতুন শাসকরা আবার একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফ্রিডম হাউস’ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘আরব বসন্তে’র দেশগুলোর মধ্যে শুধু তিউনিসিয়ার সরকার ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক উত্তরণে উল্লেখ করার মতো সাফল্য অর্জন করেছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়। এক্ষেত্রে মিসরের অগ্রগতি সামান্য। আর বাহরাইনের একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা আরো কঠোর রূপ নিয়েছে। 

১০ বছর পর ইসরাঈল থাকবে না : কিসিঞ্জার 

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বলেছেন, এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, ১০ বছর পর ইসরাঈল নামে কোন রাষ্ট্র থাকবে না। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিনডে অ্যাডামস নিউইয়র্ক পোস্টে তার এক কলামে এ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। হেনরী কিসিঞ্জারের মন্তব্য সম্পর্কে মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার কেভিন ব্যারেট এক প্রবন্ধে বলেছেন, কিসিঞ্জারের এ মন্তব্য সোজাসাপ্টা ও নিষ্ঠুর। তবে ১৬টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে আরব অঞ্চলে ইসলামী জাগরণের ফলে প্যালেস্টাইনীদের আত্মাহুতি এবং ইসলামী ইরানের জেগে ওঠার ফলে ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে ইসরাঈল টিকতে পারবে না। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একশ’ কোটির বেশি মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে ইসরাঈলকে অব্যাহত সমর্থন দেয়ার মতো সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্রের নেই। এর বিপরীতে মার্কিন সরকারকে তার নিজ স্বার্থ দেখা এবং ইসরাঈলের লাগাম টেনে ধরা উচিত। যেসব কারণে ইসরাঈলের পতন হবে তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইহুদীদের মধ্যে ইসরাঈল ইস্যুতে দিন দিন বেড়ে চলা অনৈক্য, ১/১১-এর ঘটনায় ইসরাঈল জড়িত বলে মানুষের মাঝে ধারণা বদ্ধমূল হওয়া এবং ইসরাঈলের গোঁড়াবাদী নীতির প্রতি মার্কিন জনগণের বিরূপ ধারণা উল্লেখযোগ্য বলে ব্যারেট তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। 

প্রবন্ধের শেষ দিকে তিনি বলেছেন, মার্কিন নীতি-নির্ধারকদের জন্য সহজ পথ হচ্ছে কিসিঞ্জারের বক্তব্য মেনে নেওয়া। উল্লেখ্য যে, হেনরী কিসিঞ্জার জার্মান বংশোদ্ভূত ইহুদী। তিনি কিশোর বয়সে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন এবং ঝানু কুটনীতিক হিসাবে বিশ্বব্যাপী নাম কুড়ান। 






আরও
আরও
.