কুরআন তেলাওয়াতে সেরাকণ্ঠ বাংলাদেশী নাজমুছ ছাকিব

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে বাংলাদেশী কিশোর নাজমুছ ছাকিব। ইন্টারন্যাশনাল হলি কুরআন অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে সুন্দর কণ্ঠ নির্বাচিত হয়েছে ১২ বছর বয়সী ছাকিব। এতে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছে যথাক্রমে ইয়েমেন, মিসর ও আফগানিস্তানের তিন কিশোর। গত ২৭ জুলাই সুন্দর কণ্ঠ বিভাগে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় এবং ২৯ জুলাই ঘোষণা করা হয় ১৭তম দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কুরআন অ্যাওয়ার্ড। এ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশের ৯০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে প্রতিযোগিতা করে ১৩ জন। মধুর সুরে তেলাওয়াত করে ছাকিব বিচারকদের মন জয় করে। পুরস্কার হিসাবে ছাকিব পেয়েছে পাঁচ হাযার দিরহাম (এক লক্ষ ছয় হাযার টাকা)।

তিস্তার পানি বণ্টন এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিষ্ফল প্রত্যাবর্তন

আশা-ভরসার সব দরজাই বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। তিন দিনের ভারত সফরে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফিরে আসলেন খালি হাতে। উদ্দেশ্য ছিল তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এবং স্থল সীমান্ত বিষয়ে একটি সুরাহা করা, যাতে আগামী নির্বাচনের আগে একটা চমক দেখানো যায়। কিন্তু এ চুক্তি দু’টি সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা ‘বিজেপি’র এক নেতা বললেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন তো ভারতের উদ্বেগের বিষয় হতে পারে না’। জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতকে এতো কিছু দেওয়ার পরও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবারও বরাবরের ন্যায় বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কিছু তারা করবেন না। তিনি একথা আগেও বহুবার বলেছিলেন। এবারও যখন এ কথা বলছেন, ঠিক তখনই ভারতীয় বিদ্যুৎ দফতর তিস্তা নদীর ওপর কয়েকটি পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বাঁধ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিকিমে একাধিক বাঁধ সরকারী উদ্যোগে করা হচ্ছে এবং এর পাশাপাশি ১২শ’ মেগাওয়াটের তিস্তা-৩ এবং ৫শ’ মেগাওয়াটের তিস্তা-৬ পানি বিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বেসরকারী কোম্পানী। এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যেই এই তিস্তার ওপর আরও ৮টি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা ভারত সরকারের রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ, ছিটমহল, অপদখলীয় জমিসহ সীমান্ত সমস্যা ভারতের সঙ্গে রয়েছে স্বাধীনতার পর থেকেই। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে স্থল সীমানা সম্পর্কিত এক চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে বেরুবাড়ি দিয়ে দেয় বাংলাদেশ এবং সে সময় বাংলাদেশের পার্লামেন্ট তা চটজলদি অনুমোদন করে। কিন্তু ভারতের দিক থেকে এর পর থেকে নানা টালবাহানা চলতে থাকে। অমীংমাসিত এসব সমস্যাগুলির সমাধান না করেই আগ বাড়িয়ে ভারতকে করিডোর, সমুদ্রবন্দর ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ নৌপথে অবাধ চলাচল, আশুগঞ্জ-আখাউড়া ব্যবহার করতে দেয়া, রেল-সড়কপথসহ সকল সুযোগ-সুবিধাই দিয়েছে বর্তমান সরকার। সুন্দরবন ধ্বংস হবে জেনেও রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশ বিনা বাক্যব্যয়ে রাজি হয়ে গেছে। সবকিছু উজাড় করে দেয়ার পরও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফিরতে হ’ল ব্যর্থ মনোরথ হয়ে, শূন্য ফলাফল নিয়ে।

বিদেশ

আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাদের আত্মহত্যা বাড়ছে

আফগানিস্তানে যুদ্ধরত ব্রিটিশ সৈন্যদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত বছর দেশটিতে তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধে যে ক’জন ব্রিটিশ সেনা প্রাণ হারিয়েছে তার চেয়ে আত্মহত্যা করেছে বেশি। বিবিসি পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছর আফগানিস্তানে মোট ২৯ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া চাকরিরত অবস্থায় আত্মহত্যা করেছে আরো ২১ জন। এমনই এক আত্মহত্যাকারী যুদ্ধাহত সাবেক সৈন্য সার্জেন্ট ড্যান কলিন্স। ২০০৯ সালের গ্রীষ্মে আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে এক অপারেশন চলাকালে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে তার চোখের সামনে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল বন্ধু লেফটেনেন্ট কর্পোরাল ড্যান এলসন। এরপর থেকেই আফগানিস্তানে চরম হতাশা ও ভীতিতে দিন গুনতে থাকে কলিন্স। এরপর ১০ মাস যাবৎ তিনি চিকিৎসা নেন। কিন্তু তা কোন কাজে আসেনি। বরং ২০১১-এর শেষ দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ২৯ বছর বয়সী কলিন্স। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে বর্তমানে ২.৯% সৈন্য এই রোগে ভুগছে বলে মনে করা হয়।

১০৮ বছর বয়সে ১১তম সন্তানের বাবা

১০৮ বছর বয়সে বাবা হলেন ইরানের এক বৃদ্ধ। তাঁর এটি ১১তম সন্তান। ১১তম সন্তান জন্ম যেদিন দিলেন সেই বৃদ্ধ, সেদিন তার প্রথম সন্তানের বয়স দাঁড়ায় ৮০ বছর। ১০৮ বছরের বাবার এটি কন্যা সন্তান। এই বৃদ্ধের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের সন্তানের মোট সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। তাঁর প্রথম স্ত্রীর ঘরে রয়েছে নয় সন্তান এবং দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁকে দুই সন্তান উপহার দিয়েছেন। কঠোর পরিশ্রমকারী উত্তর ইরানের বাশিন্দা এই বৃদ্ধ বলেছেন, দীর্ঘদিন তিনি কোনো ওষুধ ব্যবহার করেননি। তিনি পুষ্টিকর খাবার খান, হাসি-খুশি থাকেন এবং দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলেন বলেই তার স্বাস্থ্য এখনও এত ভাল রয়েছে ও এত দীর্ঘায়ুর অধিকারী হয়েছেন বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৫ জনে ৪ জন বেকার হচ্ছে

বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দরিদ্রতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আর্থিক নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে দেশটির জনসংখ্যার বড় একটা অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকান এসোসিয়েট প্রেসের একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশটির প্রাপ্তবয়ষ্ক নাগরিকদের প্রতি পাঁচজনের চারজন দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের কোনো চাকরিই থাকছে না। দেশটিতে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে যে বিশাল ব্যবধান তৈরী হয়েছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। অনেক সময় দরিদ্রতা বিবাহ বিচ্ছেদের কারণও হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেকে আবার হতাশ হয়ে নেশার প্রতি ঝুঁকছে। অনেক পরিবারে আবার সন্তান পালন করাও কষ্টকর হয়ে গেছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এ সমস্যা শ্বেতাঙ্গদের বলে জরিপটির মাধ্যমে জানা যাচ্ছে।






আরও
আরও
.