১. জনাব মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম প্রধান লিখিত নিবন্ধে ১০ম পৃষ্ঠা ২য় কলামে নাসিরুদ্দীন সম্পাদিত ও প্রকাশিত-এর পরে মাসিক সওগাত এবং মোহাম্মদ আকরম খাঁ সম্পাদিত মাসিক মোহাম্মদী পড়তে হবে। অতঃপর মাননীয় লেখকের নামের পরিচয়ে টীকাতে ‘বিসিএস (সমবায়)’ পড়তে হবে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। -সম্পাদক

২. জনাব শামসুল আলম লিখিত নিবন্ধে ১৭ পৃষ্ঠা ২য় কলামের ৪র্থ লাইনের পর-

১৪.৯.৯৭ইং সকালে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত এসে আমাদের জানালেন তোমরা দ্রুত প্রস্ত্ততি নাও। মাননীয় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ৯-টার মধ্যেই এসে পড়বেন। উনি গত রাত ১১-টায় আমাকে ফোন করেছেন সকালে আসবেন বলে। এ খবর শুনে আমরা ছাত্র-শিক্ষক সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। যথাসময়ে মাননীয় মন্ত্রী মাওলানা নূরুল ইসলাম এলেন। সঙ্গে ডিসি সহ সরকারী কর্মকর্তা, দলীয় নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের গাড়ী বহর। আমীরে জামা‘আত তাঁকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষ ঘুরলেন। অতঃপর পুরা মারকায ঘুরে দেখালেন। এ সময় সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মন্ত্রীকে সাহায্য করতে গিয়ে বেখেয়ালীতে তিনি তাঁর ঘাড়ে হাত রাখেন। মন্ত্রী ছিলেন আলেম মানুষ ও স্যারের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। তিনি বিদায়ের সময় বললেন, একটা সরকার যা করতে পারে না, আপনি তাই করে ফেলেছেন। এটাকে ইউনিভার্সিটি করছেন না কেন? স্যার বললেন, চেষ্টায় আছি। এরি মধ্যে ডিসি ছাহেব আমাকে বললেন, আচ্ছা এখান থেকে একটা মাসিক পত্রিকার ডিক্লারেশনের আবেদন জমা আছে আমাদের অফিসে। পত্রিকার সম্পাদক ছাহেবকে আপনি চিনেন কি? বললাম, যিনি সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মন্ত্রীর ঘাড়ে হাত দিলেন উনি। ডিসি থ হয়ে বললেন, কালকে আপনি অফিসে গিয়ে অর্ডারটা নিয়ে আসবেন। স্যারের অনুমতি নিয়ে পরদিন যথাসময়ে ডিসি অফিসে গেলাম।

ওটা আগষ্ট নয়, বরং ছিল সেপ্টেম্বর’৯৭। উল্লেখ্য যে, প্রথম দু’টি সংখ্যা রেজিষ্ট্রেশন নং ছাড়াই বের হয়। ৩য় সংখ্যা নভেম্বর’৯৭ থেকে রেজিঃ নং সহ প্রথম বের হয়। স্মর্তব্য যে, রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তির পুরা বিষয়টি আমরা সাধ্যমত গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন করি। কেননা স্যার প্রায়ই বলতেন ১৯৮৫-এর ফেব্রুয়ারীতে মাসিক ‘তাওহীদের ডাক’ ১ম সংখ্যা প্রকাশের পর রেজিষ্ট্রেশনের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরেও তা পাইনি ঘরের মুরববীর রুদ্ররোষের কারণে। ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্জের তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোমেন (সিরাজগঞ্জ) ছিলেন আহলেহাদীছ। তিনি বাসায় ডেকে নিয়ে স্যারকে বলেছিলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিলাম এজন্য যে, মাসিক তর্জুমানুল হাদীছ বন্ধের পর আহলেহাদীছের আরেকটি মাসিক পত্রিকা বের হ’তে যাচ্ছে এবং তার তদন্তভার সৌভাগ্যক্রমে আমার উপরে পড়েছিল বলে। কিন্তু আমি এ বিষয়ে জানার জন্য মুরববীকে ফোন করলে তিনি আমাকে কঠোরভাবে নিষেধ করলেন। ফলে আর পারলাম না। আমাকে আপনারা ক্ষমা করবেন।

অতঃপর ২য় কলামের ২য় ও ৩য় প্যারায় অনেকগুলি তথ্যগত ভুল হয়ে গেছে। সঠিক তথ্যসমূহ হবে নিম্নরূপ :

সেপ্টেম্বর ’৯৭-য়ে পত্রিকা প্রকাশের শুরু থেকেই স্যার ছিলেন সম্পাদক এবং একক ব্যক্তি। মাঝে তিনি তৎকালীন ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ হারূণ (সিলেট) এবং পরবর্তীতে জনাব আব্দুল ওয়াজেদ সালাফী (পাবনা)-কে কিছু কিছু দায়িত্ব দেন। কিন্তু পরে মার্চ ’৯৮-তে তিনি মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন (কুমিল্লা)-কে ‘নির্বাহী সম্পাদক’ পদে মনোনয়ন দেন। মার্চ’৯৮ থেকে ৭ মাস নির্বাহী সম্পাদক থাকার পর স্যার তাঁকে অক্টোবর ’৯৮-তে ‘ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক’ মনোনীত করেন ও নিজে ‘প্রধান সম্পাদক’ থাকেন। উল্লেখ্য যে, ঐ সময় আড়াই মাস ব্যাপী দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে নানা অসুবিধায় সেপ্টেম্বর’৯৮ সংখ্যা বন্ধ রেখে অক্টোবর’৯৮ থেকে ২য় বর্ষ ১ম সংখ্যা বের হয়। অতঃপর ৯ মাস ‘ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক’ থাকার পর স্যার মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইনকে জুলাই ’৯৯ থেকে ‘সম্পাদক’ পদে মনোনয়ন দেন এবং ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আমীনুল ইসলামকে ‘সহকারী সম্পাদক’ হিসাবে নিয়োগ দেন। এ সময় স্যার হ’লেন ‘সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি’ এবং সম্পাদকীয় শেষে ব্রাকেটে লেখেন (স.স.)। জুলাই ’৯৯ থেকে ডিসেম্বর’৯৯ পর্যন্ত ৬ মাস ‘সহকারী সম্পাদক’ থাকার পর জনাব আমীনুল ইসলাম কলেজে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এবং আত-তাহরীক অফিসে যথাযথ সময় দিতে না পারায় উক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। ফলে আত-তাহরীক স্যার ও সম্পাদক ছাহেব দু’জনে চালাতে থাকেন। এই বছর প্রথম তাবলীগী ইজতেমা ২০০০ উপলক্ষে ১২০ পৃষ্ঠাব্যাপী জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী যুগ্ম সংখ্যা বের হয়। জানু ’২০০০ থেকে মে’২০০৪ পর্যন্ত ৪ বছর ৫ মাস দু’জনে পত্রিকা চালানোর পর জুন’২০০৪ থেকে মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম (গোপালগঞ্জ) ‘সহকারী সম্পাদক’ পদে নিয়োগ পান। বর্তমানে উক্ত তিনজনই মূল দায়িত্বশীল হিসাবে পত্রিকা চালাচ্ছেন। সেই সাথে আছেন দারুল ইফতা ও গবেষণা বিভাগের সহকর্মীবৃন্দ। তাছাড়া প্রায় শুরু থেকেই আছেন নিবেদিতপ্রাণ কম্পিউটার অপারেটর ভাই মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম। -লেখক






আরও
আরও
.