১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের চূড়ান্ত রায় মোতাবেক গত ৩রা সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ১০-টা ৩৫ মিনিটে গাজীপুরস্থ কাশিমপুর কারাগার-২ এ তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। একই দিন রাত সোয়া ৩-টায় স্বীয় জন্মস্থান মানিকগঞ্জ যেলার হরিরামপুর থানার চালা গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

মীর কাসেম আলী ১৯৫২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানাধীন চালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার চাকুরীর সুবাদে ১৯৬৫ সাল থেকে তিনি পরিবারের সাথে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ৬ই নভেম্বর তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অতঃপর স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে যুক্ত এবং দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনীতি ছাড়াও একজন সংগঠক ও উদ্যোক্তা হিসাবে ব্যাংকিং, চিকিৎসা, শিক্ষা, আবাসন, গণমাধ্যম, পর্যটন, পরিবহন খাতসহ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃস্থানীয় ভূমিকা ছিল। তিনি দুই ছেলে ও তিন কন্যা সন্তানের জনক।

[আমরা মাইয়েতের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি (স.স.)]






আরও
আরও
.