ইউরোপের একমাত্র মসজিদবিহীন শহর গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অবশেষে মসজিদ স্থাপিত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে তা খুলে দেওয়া হবে। উদ্বোধন হ’লে এটি হবে এথেন্সের প্রথম ও ছালাতের জন্য নির্ধারিত একমাত্র মসজিদ। মুসলিমদের ঐকান্তিক দাবীর মুখে ২০১১ সালে গ্রিসের পার্লামেন্ট শহরটিতে একটি মসজিদ তৈরির পরিকল্পনা অনুমোদন করে। যা ২০১৯ সালে বাস্তবতার মুখ দেখতে যাচ্ছে। সাড়ে তিনশ’ মুছল্লীর ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এ মসজিদটি নির্মাণে আনুমানিক খরচ হয়েছে সাড়ে আট কোটি টাকা। নতুন মসজিদের নির্মাণে গ্রিসের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সেবাসংস্থা জড়িত। এথেন্সের মুসলমানরাও মসজিদটি নির্মাণে আর্থিকভাবে সহযোগিতায় অংশ নিয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রিসের ঐতিহ্যবাহী শহর এথেন্সের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পাশ্চাত্য সভ্যতা আর গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসাবে পরিচিত এথেন্স বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন নগরী। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই শহরে কোন মসজিদ ছিল না। এথেন্স হচ্ছে ইউরোপের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ শহর যেখানে এতদিন কোন মসজিদ তৈরি করতে দেয়া হয়নি। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে ওছমানীয় সাম্রাজ্য থেকে গ্রিস স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এথেন্সে কোন মসজিদ ছিল না। এছাড়া স্বাধীনতাপূর্ব যুগের অবশিষ্ট দু’টি মসজিদের একটিকে জাদুঘর আর অন্যদিকে গুদামঘরে পরিণত করা হয়। 

গ্রিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিপুল সংখ্যক মুসলিম অধ্যুষিত শহর কমোতিনির মুফতি ইব্রাহীম শরীফ জানান, গ্রিসের বিভিন্ন শহরে ওছমানীয় আমলের বহু মসজিদ ছিল কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। মুফতী আহমাদ বলেন, গ্রিস উগ্র খ্রিস্টানদের দেশ। তারা ইসলাম থেকে বহু দূরে এবং ওছমানীয় স্মৃতিচিহ্নের ব্যাপারে বৈরি। এথেন্সের কেন্দ্রে কার্যকর কোন মসজিদ দেখতে চায় না তারা।

উল্লেখ্য, ৫০ লাখ জনসংখ্যার এথেন্সে অন্তত ৩ লাখ মুসলিম বসবাস করে। তারা মূলতঃ বিভিন্ন গৃহের বেজমেন্ট, দোকানপাট, গুদাম ইত্যাদি স্থানে অস্থায়ীভাবে ছালাত আদায় করে থাকেন।






বিশ্বের গভীরতম ও স্বচ্ছতম বরফ জমাট বৈকাল হ্রদ
গোশত বিক্রি নিষিদ্ধ করায় বয়স্ক গরু নিয়ে বিপাকে ভারত
বিবাহ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিশ্বযুদ্ধ চলছে : পোপ ফ্রান্সিস
কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ
৫শ’ বছরের পুরাতন কুরআনের পান্ডুলিপি বিক্রি হ’ল ৭৩ কোটি টাকায়
স্বদেশ-বিদেশ
শারীরিক বৃদ্ধি, দুর্বলতা কাটাবে ‘ব্রি-৮৪’-এর ভাত
যে দেশে মুসলিমদের মরদেহ দাফন করা কঠিন
বাংলাদেশের যে ভাষা জানেন মাত্র ৬ জন!
যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার কেন্দ্রে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস
সপ্তম শতকে মুসলিম-খ্রিস্টানদের সম্মিলিত বসবাস ছিল ইউরোপে!
ইরাক যুদ্ধে ‘ভুলে’র জন্য টনি ব্লেয়ারের দুঃখ প্রকাশ
আরও
আরও
.