
রক্তে
ক্যান্সারের উপস্থিতি শনাক্তে সার্বজনীন একটি পরীক্ষার পথে অনেকটাই এগিয়ে
গেছেন বিজ্ঞানীরা, যাকে চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসে অন্যতম যুগান্তকারী
অগ্রগতি হিসাবে দেখা হচ্ছে।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, শরীরে ছড়িয়ে পড়ার আগেই রক্তের একটি মাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে দেহে আট ধরনের ক্যান্সারের প্রাথমিক অস্তিত্ব শনাক্ত করা সম্ভব। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এমন একটি রক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, যাতে রক্তপ্রবাহে থাকা টিউমারের পরিবর্তিত ডিএনএ ও প্রোটিনের ক্ষুদ্র চিহ্ন শনাক্ত করা যায়। এরই মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত হাযারো রোগীর মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে এ পদ্ধতির সফলতা দেখতে পেয়েছেন তারা।
গবেষকেরা বলছেন, পদ্ধতিটি কার্যকর বলে নিশ্চিত হ’লে বছরে মাত্র একবার রক্ত পরীক্ষাতেই যে কেউ তার দেহে ক্যান্সারের অস্তিত্ব আছে কি-না তা জানতে পারবেন। এর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার ধরা পড়বে, সম্ভব হবে চিকিৎসা করা।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের ড. ক্রিস্টিয়ান টমাসেট্টি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে (ক্যান্সার) শনাক্ত করা বেশ কঠিন, যদিও এ পরীক্ষার ফল বেশ চমকপ্রদ। আমার ধারণা, এটি ক্যান্সারজনিত মৃত্যু কমাতে বিরাট ভূমিকা রাখবে’। যত দ্রুত ক্যান্সার শনাক্ত করা যাবে ততই রোগটি থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। আটটির মধ্যে পাঁচ ধরনের ক্যান্সারেই প্রাথমিক অবস্থায় তা শনাক্ত করার কোন উপায় নেই। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের লক্ষণও এতই কম এবং ধরাও পড়ে এত দেরীতে যে, এ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের চারজনই ক্যান্সার শনাক্তের বছরই মারা যান।