দীপ্ত ঈমান
আতিয়ার রহমান
মাদরা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
সকাল সাঁঝে বদন মাঝে খই ফুটায়ে লাভটা কি?
নাই যদি সে ফুটলো কমল হৃদয় সাগরে সব ফাঁকি।
পরিচ্ছদে যায় কি পাওয়া ঈমানদারীর আসল চিন?
বেঈমানেরই রূপটা কিসে কোন রাহে পাই আসল দ্বীন?
পাঁচটি বারের ছালাতেতে হয় কি ঈমান সব পুরা?
ছালাত, ছিয়াম করলে পালন হয় কি দ্বীনের সব সারা?
কিংবা সঠিক হয় কি পালন জাল হাদীছ জাল দলীলে?
কোন রাহে হয় দীপ্ত ঈমান কোথা সঠিক দ্বীন মিলে?
পুঁজি যদি হয় বিনিয়োগ অন্য রাহের কারবারে,
মনের তরী যায় চলে যায় আল্লাহর অহি-র সব দ্বারে,
শক্তিতে আর ভক্তিতে রয় আল্লাহ ছাড়া অন্য দ্বীন,
ছালাত, ছিয়াম, তাসবীহ-যিকির হবে যে ভাই সব মলিন।
বিদ‘আত আর শিরকে যাদের ভর জীবনের ইবাদত
কাজ হবে না ব্যর্থ হবে যতই করো দিন কি রাত।
আল্লাহর পথে জান বিকাতে মাল বিকাতে পারলো যে,
শয়তানের ঐ বিপক্ষেতে জোরছে অসি ধরলো যে।
শিরক-বিদ‘আতীর কেল্লাগুলো গুড়িয়ে যে দেয় আস্তানা
ধরার ধূলায় মিশায় যে জন আযাযীলের কারখানা।
সেই তো পারে দ্বীনের তীরে নাও ভিড়াতে জীবন ভর,
আল্লাহর রহমত তার পরেতে জান্নাতেরই মুক্ত দ্বার।
রাসূল (ছাঃ) প্রেমে নিজের জীবন হাসতে হাসতে করলো দান
সেই জনাই স্বাদ পেয়েছে কোনটা আসল ঠিক ঈমান।
***
তোমার নামে
ইয়াকূব আলী
বাংলামটর, নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা।
তোমার নামে শক্তি পাই
তুমি অতি মহান,
সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছো
এই বিশ্ব জাহান।
তোমার নামে যিকির করে
পশু পাখি জিন ইনসান,
সত্য-ন্যায়ের পথে চলতে
নাযিল করলে আল-কুরআন।
তোমার নামে আযান হয়
দৈনিক পাঁচ বার,
ওযূ করে মসজিদে যাই
পড়ি ছালাত বার বার।
আল্লাহ তোমার রহম পেয়ে
যেন মৃত্যু হয়,
পরোকালে শেষ বিচারে
শান্তি যেন পাই।
***
হে যুবক তুমি জেগে উঠ
তামান্না বিনতে আব্দুল মতীন
কোরপাই, বুড়িচং, কুমিল্লা।
হে যুবক!
আর কতকাল ঘুমিয়ে কাটাবে, জাগবে না কি তুমি?
চেয়ে দেখ আজ পৃথিবীটা যেন ঈমানহীন মরুভূমি
পৃথিবীর বুকে ঘটছে কত অন্যায়-অবিচার
রাহাজানি, খুন, ধর্ষণ অশ্লীল কারবার।
হে যুবক!
তুমি থাকতে কেন মোদের অনাচার দেখতে হয়?
ভুলে কি গিয়েছ কোন জাতি তুমি, কি তোমার পরিচয়?
জাতির খ্যাতি ধূলায় উড়িয়ে করেছ একি হাল?
অশ্লীলতা বেহায়াপনায় হয়েছ বেসামাল।
আজকে তোমার রংচটা প্যান্ট টাখনুর নিচে ঝুলে
শার্ট গায়ে বুক খুলেছ রং করেছ চুলে।
ঠোঁটে তোমার স্থান পেয়েছে জ্বলন্ত সিগারেট
তোমায় দিয়ে পূরণ হ’ল শয়তানের টার্গেট।
স্থান পেয়েছে তোমার চোখে সানগ্লাস ঐ কালো
মস্ত বড় গুন্ডা সেজে ইবলীস হয়ে চল!
এ জীবন তোমার দ্বীনের পথে বিলিয়ে দিতে হ’ত
জা‘ফর, যায়েদ, খুবায়েব, হামযাহ, আম্মারের মত।
কাফিররা কেটে টুকরা করেছে শহীদ হামযার লাশ
ভুলে যেও না বিন রাওয়াহার শহীদী ইতিহাস।
আল্লাহর দ্বীনকে করতে ক্বায়েম হানযালা যে ছুটে
সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ঘরে তার খেয়াল নেই সেদিকে মোটে।
রণক্ষেত্রে হানযালা হায় শহীদ হয়ে যায়,
নববধূ নিয়ে ঘর বাঁধার আর সুযোগ হ’ল না তায়।
ক্ষুধার তাড়নায় আবু হুরায়রা মাটিতে থাকতেন পড়ে
পদদলিত করত লোকেরা তাকে পাগল মনে করে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ঘরে আগুন জ্বলেনি বহুদিন বয়ে যায়
জীবন থাকতে পেট পুরে তিনি খাবার খাননি হায়!
হে যুবক!
আজ যে তুমি ভোগ-বিলাসে জড়িয়ে গেছ খুব
দিনে দিনে কেবল বাড়ছে তোমার অর্থ-সম্পদের লোভ।
শেয়ার ব্যবসা, এম.এল.এম-এ যোগ দিয়েছ তাই
হালাল-হারাম বিচার করার জ্ঞান কি তোমার নাই?
লক্ষ-কোটি টাকা দিয়ে লাভ কি তোমার হবে?
ছাহাবীদের চেয়ে উন্নত তুমি কি হ’তে পারবে?
পূর্ব আকাশের সূর্য যেমন অাঁধার মাড়িয়ে জ্বলে
পঙ্কিলতা দূরে ঠেলে দাও ঈমানী আলোর বলে।
জাতির প্রদীপ হয়ে আবারো তোমায় জ্বলতে হবে
প্রয়োজন হ’লে জীবন দিতে প্রস্ত্তত তুমি রবে।
আর দেরী নয় জেগে উঠ তুমি ধর ঈমানের হাল
পৃথিবীর বুকে বুনে দাও তুমি দৃঢ় ঈমানী জাল।