যেলা সম্মেলন : সিরাজগঞ্জ ইসলামের সরল পথে ফিরে আসুন!

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

সিরাজগঞ্জ ২১শে নভেম্বর শুক্রবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সিরাজগঞ্জ যেলার উদ্যোগে শহরের রহমতগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলন প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, সরল পথ হ’ল পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ এবং তা হ’তে হবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে। রাজনীতির ক্ষেত্রে খ্রিষ্টানী দর্শন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইহূদী দর্শন ও ধর্মের ক্ষেত্রে ইসলামী দর্শন আদৌ কোন সরল পথের অনুসরণ নয়। অতএব সার্বিক জীবনে তাওহীদ কবুল করাই হ’ল পরকালীন মুক্তির পথ।

রহমতগঞ্জ পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য জনাব মুঈনুদ্দীন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ঢাকা মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদ-এর খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা), ‘যুবসংঘে’র সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ মুর্তাযা প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, সভাপতি ছাহেব তাঁর বাড়ীতে ডেকে নিয়ে মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের নিকট ‘আন্দোলন’-এর প্রচার ও প্রসারের স্বার্থে শহরে একটি আহলেহাদীছ জামে মসজিদ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান সহ তা নির্মাণের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে ওয়াদা করেন। আমীরে জামা‘আত এজন্য তাঁকে প্রাণখোলা দো‘আ করেন।

উপযেলা সম্মেলন : তেরখাদা

আসুন! পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা নিয়োজিত করি

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

তেরখাদা, খুলনা ২৬শে নভেম্বর বুধবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ খুলনা যেলার তেরখাদা উপযেলার উদ্যোগে উপযেলা সদরের ইখড়ি-কাটেঙ্গা হাইস্কুল ময়দানে অনুষ্ঠিত উপযেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, পরকালে মুক্তির লক্ষ্যেই আমাদের যাবতীয় আন্দোলন। মানুষ দুই দলে বিভক্ত। একদল মানুষ তাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা দুনিয়াবী কল্যাণের জন্য নিয়োজিত করে। আরেকদল মানুষ তাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা পরকালীন মুক্তির জন্য নিয়োজিত করে। যারা পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে দুনিয়াবী জীবন পরিচালনা করে, তারাই প্রকৃত মুসলমান। আর যারা পরকাল ভুলে শুধু দুনিয়ার জন্যই কাজ করে তারা স্রেফ দুনিয়া পায় ও পরকাল হারায়। তিনি বলেন, যারা মুসলিম তাদের সকল কাজের লক্ষ্য থাকবে আখেরাতে মুক্তি পাওয়া। অতএব সকল কাজে পরকালে জবাবদিহিতার জন্য প্রস্ত্ততি গ্রহণ করুন, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করুন। তিনি বলেন, আখেরাতে মুক্তির আবশ্যিক পূর্বশর্ত হ’ল দুনিয়াতে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সকল আদম সন্তানকে সেপথেই আহবান জানায়। যাতে মানুষ আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে হাত কামড়ে না বলে যে, কেন দুনিয়ায় থাকতে আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর পথ অনুসরণ করিনি।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রায্যাক বিন ইউসুফ, উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহীম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘যুবসংঘে’র সাবেক সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন প্রমুখ। সম্মেলনে ইসলামী জাগরণী পেশ করেন আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠী প্রধান মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফীরোয আহমাদ।

মসজিদ উদ্বোধন : পরদিন বাদ ফজর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত উপযেলা সদরে নবনির্মিত তেরখাদা উপযেলা কেন্দ্রীয় আহলেহাদীছ জামে মসজিদ কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন। উক্ত মসজিদে ফজর ছালাত শেষে সমবেত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মসজিদ নির্মাণ করা সহজ, কিন্তু আবাদ করা কঠিন। মসজিদে নিয়মিত ছালাত আদায় যেমন যরূরী, তেমনি মসজিদ কেন্দ্রিক দাওয়াতী কর্মসূচী গ্রহণ ও বাস্তবায়নও যরূরী। তিনি অত্র মসজিদে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর উদ্যোগে প্রতিদিন বাদ এশা একটি করে হাদীছ পাঠ এবং নিয়মিত সাপ্তাহিক তা‘লীমী বৈঠক চালু করার আহবান জানান। অতঃপর তিনি অত্র মসজিদের প্রতিবেশী ও জমিদাতা মুসাম্মাৎ আবেনুর বেগমের সাথে পর্দার অন্তরাল থেকে কথা বলেন এবং তার জন্য খাছ করে দো‘আ করেন। এ সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি খান তৈয়বুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আবুল বাশার সহ অন্যান্য মুছল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসা পরিদর্শন : সকাল ৭-টায় আমীরে জামা‘আত তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে তেরখাদা সরকারী রেস্ট হাউস থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপযেলা সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে তিনি বিভিন্ন আহলেহাদীছ জামে মসজিদ, মাদরাসা ও প্রবীণ নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। প্রথমে তিনি নাচুনিয়া বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদ, অতঃপর নাচুনিয়া পশ্চিমপাড়া চার গম্বুজ আহলেহাদীছ জামে মসজিদ, জুনারী মধ্যপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদ, নাচুনিয়া-জুনারী দাখিল মাদরাসা, জুনারী দক্ষিণপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদ, গাযীপুর দারুস সুন্নাহ সালাফিইয়াহ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা এবং কোদলা-কুমিরডাঙ্গা আহলেহাদীছ জামে মসজিদ পরিদর্শন করেন। মসজিদ ও ওযূখানাগুলির অধিকাংশ মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের মাধ্যমে নির্মিত অথবা পুনর্নির্মিত। এ সময়ে তিনি তেরখাদা অঞ্চলে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলনে’র প্রবীণ খাদেম আমীরে জামা‘আতের মরহূম পিতা মাওলানা আহমাদ আলীর ছাত্র মাওলানা সেকেলুদ্দীন, জুনারী দাখিল মাদরাসার সাবেক সভাপতি প্রবীণ আহলেহাদীছ ব্যক্তিত্ব খান মুহাম্মাদ আলী ও ১০৬ বছরের বৃদ্ধ খাদেম জনাব আব্দুল জলীল মন্ডলের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। উল্লেখ্য যে, জনাব আব্দুল জলীল এই বয়সেও নাচুনিয়া পশ্চিমপাড়া চার গম্বুজ আহলেহাদীছ জামে মসজিদের মুওয়াযযিন এবং এতদঞ্চলে আহলেহাদীছ আন্দোলনের নিরলস কর্মী। আমীরে জামা‘আতের মরহূম পিতার মহববতে তিনি খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সাধ্যপক্ষে সর্বদা যোগদান করেন। আশ্চর্যের বিষয়, শৈশবে এতদঞ্চলে আববার সঙ্গে ভ্রমণকালে আমীরে জামা‘আত কৌতুহলবশে স্থানীয় চিত্রা নদীতে একাকী নৌকা চালাতে গিয়ে ভাটির টানে হারিয়ে গিয়েছিলেন। পরে লোকেরা বহুদূর গিয়ে অনেক কষ্টে তাঁকে মাঝ নদী থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এ সময়ে আমীরে জামা‘আতের সাথে তাঁর সফরসঙ্গী ছাড়াও উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আলী আকবর, সহ-সভাপতি আব্দুর রহীম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফীরোয আহমাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লিয়াকত আলী, প্রচার সম্পাদক মাহমূদুল হাসান, অর্থ সম্পাদক শেখ মুফীদুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, মুহতারাম আমীরে জামা‘আত উক্ত মসজিদ-মাদরাসা সমূহ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত জনগণ এবং ‘আন্দোলন’ ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’-র কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি কোন কোন মসজিদের মিহরাবের উপরে কালেমা শাহাদত লিখা, কোথাও ‘আল্লাহ’ ও ‘মুহাম্মাদ’ খচিত, কোথাও কা‘বাগৃহের বা হারাম-এর স্তম্ভসমূহের নকশাকৃত টাইলসসমূহ সরিয়ে ফেলার আহবান জানান। তিনি প্রত্যেক মসজিদের আলমারীতে ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন’ প্রকাশিত বই ও পত্রিকা রাখার জন্য বলেন এবং প্রতিদিন বাদ এশা হাদীছ শুনানো ও সপ্তাহে একদিন কেন্দ্রের নিয়মানুযায়ী তা‘লীমী বৈঠক চালু করার আহবান জানান। তিনি কর্মীদেরকে বাযারের ব্যবসায়ী ভাইদের নিকটে গিয়ে তাদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ করার পরামর্শ দেন।

উপযেলা সম্মেলন : কলারোয়া

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আনুগত্যের মধ্যেই মানবজাতির মুক্তি নিহিত

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

কলারোয়া, সাতক্ষীরা ২৭শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ কলারোয়া উপযেলা সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় পাইলট হাইস্কুল ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত কলারোয়া উপযেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, ধর্মনেতা বলতে আমরা যা বুঝি, সে অর্থে নয়। বরং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছিলেন মানুষের সার্বিক জীবনের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। অতএব আমাদের জীবনের সকল দিক ও বিভাগে তাঁর আদেশ ও নিষেধ যথাযথভাবে মেনে চলার মধ্যেই মানব জাতির মুক্তি নিহিত রয়েছে।

‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মাদ নযরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক শেখ রফীকুল ইসলাম, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়া, রাজশাহীর শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রায্যাক বিন ইউসুফ, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, জয়পুরহাট যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব মাহফূযুর রহমান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ রবীউল হক। ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রধান শফীকুল ইসলাম ও স্থানীয় শিল্পী মুহাম্মাদ ওমর আলী, আবু রায়হান ও বুরহানুদ্দীন। কুরআন তেলাওয়াত করে হাফেয তাওহীদুর রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক শাহীদুয্যামান ফারূক ও কাকডাঙ্গা এলাকা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আনোয়ার এলাহী।

যেলা সম্মেলন : খুলনা

আল্লাহর দীদার চাইলে দুনিয়া থেকেই পাথেয় সঞ্চয় করতে হবে

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

হাদীছ পার্ক, খুলনা ২৮শে নভেম্বর শুক্রবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ খুলনা যেলার উদ্যোগে মহানগরীর এতিহ্যবাহী হাদীছ পার্কে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরই মত মানুষ ছিলেন। মানুষের দুঃখ-বেদনার সাথী ছিলেন বলেই তিনি মানুষের জন্য উত্তম আদর্শ ছিলেন। তাঁর রেখে যাওয়া নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাস ও শরী‘আত অনুমোদিত সৎকর্ম ব্যতীত পরকালে আল্লাহর দীদার লাভ করা সম্ভব নয়।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ‘যুবসংঘ’-এর বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন সাতক্ষীরা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, খুলনা মহানগরীর জিন্নাহপাড়া শাখার সভাপতি মাওলানা আযীযুর রহমান ছিদ্দীকী ও মাওলানা যাকারিয়া (বাগেরহাট) প্রমুখ। সম্মেলনে ইসলামী জাগরণী পেশ করেন আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠী প্রধান মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম।

জুম‘আর খুৎবা :

সাতক্ষীরা থেকে সকালে রওয়ানা হয়ে খুলনা পৌঁছে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত শহরের গোবরচাকা মুহাম্মাদিয়া কেন্দ্রীয় আহলেহাদীছ জামে মসজিদে জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। জুম‘আর খুৎবায় সমবেত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আল্লাহ ঐ জাতির অবস্থার পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে। তিনি বলেন, আসুন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে আমাদের স্ব স্ব জীবন ও পরিবার গড়ে তুলি। অতঃপর জামা‘আতবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কারের চেষ্টা করি।

যেলা সম্মেলন : কুষ্টিয়া

আসুন! আল্লাহর কিতাবের ভিত্তিতে মানবীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করি

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

কুমারখালী, কুষ্টিয়া ১লা ডিসেম্বর সোমবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ কুষ্টিয়া-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে যেলার কুমারখালী থানাধীন আলাউদ্দীন নগর ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, পিতা আদম (আঃ)-এর যুগে পৃথিবীর সকল মানুষ এক দলভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে মানুষ হঠকারিতাবশে আল্লাহর কিতাবসমূহে মতভেদ করে। ফলে সবাই বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যায়। বর্তমান বিশ্বে এলাহী কিতাব রয়েছে মাত্র কুরআন মজীদ। অতএব এর ভিত্তিতেই মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া আবশ্যক। এর ফলে বিশ্বে শান্তি ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাস্টার হাশীমুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় পরিচালক আব্দুল হালীম, রাজবাড়ী যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা মাকবূল হোসাইন, আব্দুল মুমিন (মেহেরপুর), স্থানীয় ব্যক্তিত্ব জনাব গোলাম কুদ্দূস প্রমুখ।

যেলা সম্মেলন : পাবনা

হে মানুষ! পার্থিব জীবন ও শয়তান যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

টাউন হল, পাবনা ৩রা ডিসেম্বর বুধবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ পাবনা যেলার উদ্যোগে শহরের ঐতিহ্যবাহী টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের সার্বিক দুর্দশার জন্য দায়ী হ’ল আমাদের বস্ত্তবাদী চিন্তাধারা। অতএব সর্বাগ্রে সরকার ও জনগণের মধ্যে আখেরাতমুখী চিন্তাধারার বিকাশ ঘটাতে হবে। জীবনের সংক্ষিপ্ত সফরসূচী স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এসেছি আল্লাহর কাছ থেকে। আবার ফিরে যাব তাঁর কাছে তাঁর হুকুমে। যেকোন সময় এই সফরের পরিসমাপ্তি ঘটবে। অতএব শয়তান যেন আমাদের মূল গন্তব্য থেকে প্রতারিত না করে।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা বেলালুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ঢাকা মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা)।

যেলা সম্মেলন : নরসিংদী

ঈমানদার ও সৎকর্মশীল মানুষ হ’ল সৃষ্টিজগতের সেরা

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

পাঁচদোনা, নরসিংদী, ৫ই ডিসেম্বর শুক্রবার : অদ্য বাদ মাগরিব ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ নরসিংদী যেলার উদ্যোগে পাঁচদোনা বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, ঈমানহীনদের সৎকর্ম কিয়ামতের দিন কোন কাজে আসবে না। আল্লাহ সেগুলি ‘বিক্ষিপ্ত ধূলিকণা স্বরূপ’ করে দিবেন। অতএব আসুন! কোনরূপ রিয়া ও শ্রুতি ছাড়াই স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাই। পথভোলা মানুষকে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনি।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা কাযী আমীনুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক তাসলীম সরকার প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, যেলার মাধবদী বাজারের এসপি ইনস্টিটিউশন ময়দানে যেলা সম্মেলনের স্থান নির্ধারিত ছিল এবং প্রশাসন নিয়মতান্ত্রিকভাবে লিখিত অনুমতিপত্র দিয়েছিল। প্যান্ডেল ও প্রচারণা সহ সকল প্রস্ত্ততিও সম্পন্ন ছিল। কিন্তু একটি বিরোধী ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীদের ষড়যন্ত্রে সম্মেলনের পূর্ব রাত ১১-টার সময় যেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে অনুমতি বাতিল করা হয়। জানা যায়, উক্ত বিদ‘আতী সংগঠনের পক্ষ থেকে যেলা প্রশাসক বরাবরে সম্মেলন বন্ধের আবেদন করা হয় এবং ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য সমূহ উপস্থাপন করা হয়। এমনকি তারা স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মুছল্লীদেরকে উসকানী দিয়ে জুম‘আর পরে সম্মেলনের বিরুদ্ধে মিছিল বের করার জন্য উত্তেজিত করে। পরিস্থিতি নেতিবাচক মনে করে প্রশাসন সম্মেলনের অনুমতি বাতিল করে দেয়। অতঃপর তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক পার্শ্ববর্তী পাঁচদোনা বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে সম্মেলনের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়।

জুম‘আর খুৎবা : এদিন পাঁচদোনা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে প্রদত্ত জুম‘আর খুৎবায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সুন্দর সমাজ গড়ার স্বার্থে ভবিষ্যৎ বংশধরগণকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার আহবান জানান। এজন্য ইসলামী বিধান অনুযায়ী তাদেরকে সাত বছরে ছালাতের আদেশ দেওয়া ও দশ বছরে তাদের এজন্য প্রহার করা ও বিছানা পৃথক করে দেওয়ার হাদীছ শুনিয়ে ইসলামের বাস্তব নৈতিক প্রশিক্ষণের কথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি প্রসঙ্গক্রমে ‘সোনামণি’ সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে সকলকে এর মাধ্যমে তাদের শিশু-কিশোরদের গড়ে তোলার আহবান জানান।

যেলা সম্মেলন : ময়মনসিংহ

তাওহীদ বিশ্বাস ও নেক আমল দুনিয়াতে পবিত্র জীবন লাভের পূর্বশর্ত

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

ত্রিশাল, ময়মনসিংহ ৬ই ডিসেম্বর শনিবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ময়মনসিংহ যেলার উদ্যোগে ত্রিশাল থানাধীন নওধার চকপাঁচপাড়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতার জন্য আল্লাহপাক মানুষকে ঈমানদার ও সৎকর্মশীল হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। আমরা কি পারি না আমাদের সমাজকে সুন্দর করার স্বার্থে আল্লাহর উক্ত আহবানে সাড়া দিতে? ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ মানুষকে সে পথেই আহবান জানায়।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ডা. মুহাম্মাদ আব্দুল কাদের -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা), জয়পুরহাট যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাহফূযুর রহমান, জামালপুর-দক্ষিণ যেলা সভাপতি অধ্যাপক বযলুর রহমান, গাযীপুর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি হাতেম বিন পারভেয, ময়মনসিংহ যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুল্লাহিল কাফী, মাওলানা শিহাবুদ্দীন, মাওলানা রূহুল আমীন ও মাওলানা সফীরুদ্দীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর দফতর সম্পাদক মাওলানা ফযলুর রহমান (ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ)।

উল্লেখ্য যে, মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও তাঁর সফর সঙ্গীগণ জনাব মোশাররফ হোসাইন ছাহেবদের উদ্যোগে নবপ্রতিষ্ঠিত নওধার ইসলামিয়া সালাফিইয়াহ মাদরাসা পরিদর্শন করেন এবং এর উন্নতির জন্য দো‘আ করেন।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন :  আগের দিন নরসিংদী যেলা সম্মেলন শেষ করে পরদিন আমীরে জামা‘আত তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। বেলা ১২-টায় ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছে তিনি প্রথমে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদরূপ তত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. একিউএম বযলুর রশীদ। তিনি আমীরে জামা‘আত ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রজেক্ট, ফ্যাকাল্টি, জার্ম সেন্টার, বোটানিক্যাল গার্ডেন ইত্যাদি ঘুরে ঘুরে দেখান। এ সময়ে ভাষা বিভাগের ইংরেজী প্রভাষক আরীফুল ইসলাম, ‘যুবসংঘে’র কর্মী মাহদী হাসান, তাওহীদুল ইসলাম, যোবায়ের হোসাইন, মুহাম্মাদ হোসাইন, মুহাম্মাদ আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

সুধী সমাবেশ : অতঃপর সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে শহরের গোলপুকুরপাড় আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশ যোগদান করেন। উক্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি স্থানীয় প্রবীণ আহলেহাদীছ ব্যক্তিত্ব আলহাজ্জ মালিক মুহাম্মাদ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ একটি সমাজ সংস্কার আন্দোলন। সমাজে পুঞ্জীভূত কুসংস্কার সমূহ দূর করা এবং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে সমাজ গঠন করাই এ আন্দোলনের লক্ষ্য। তিনি সকলকে এ আন্দোলনে শরীক হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, উদ্দেশ্য, কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতির ঐক্য এবং পারস্পরিক ভালোবাসাই হ’ল সামাজিক ঐক্যের মানদন্ড। অতএব মনের বদ্ধ দুয়ার খুলে দিলে বাইরের দুয়ার আপনা থেকেই খুলে যাবে ইনশাআল্লাহ।

উক্ত মসজিদের খতীব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-মামূনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব মাহফূযুর রহমান, কাতলাসেন কাদেরিয়া আলিয়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল্লাহ প্রমুখ। আমীরে জামা‘আতের সফরসঙ্গীগণ এসময় সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে সকলের সাথে পরিচিত হন।

যেলা সম্মেলন : টাঙ্গাইল

ইসলাম মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

বাসাইল, টাঙ্গাইল ১৭ই ডিসেম্বর বুধবার : অদ্য সকাল ১০-টা থেকে সন্ধ্যা ৫-টা পর্যন্ত ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ টাঙ্গাইল যেলার উদ্যোগে বাসাইল উপযেলাধীন কাঞ্চনপুর ঢংপাড়া চৌরাস্তা মোড় সংলগ্ন উন্মুক্ত ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, সার্বিক জীবনে ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলার মধ্যেই মানব জাতির কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর ৮১, ৮০ ও ৫ দিন পূর্বের তিনটি অছিয়ত এবং মৃত্যুমুহূর্তের সর্বশেষ অছিয়তগুলি স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুসলিম উম্মাহকে সেগুলির যথাযথ অনুসরণের আহবান জানান। তিনি বলেন, মানব জীবনকে আল্লাহর সর্বশেষ অহী পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী গড়ে তোলার আন্দোলনই হ’ল ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য। উক্ত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াজেদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিন হাবীব, নারায়ণগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শফীকুল ইসলাম, জামালপুর-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক ক্বামারুয্যামান বিন আব্দুল বারী, যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুল মাজেদ প্রমুখ। সম্মেলনে ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আল-হেরা শিল্পী গোষ্ঠী প্রধান মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম (জয়পুরহাট)।

নওদাপাড়া মাদরাসার শিক্ষক

শিহাবুদ্দীন আহমাদের পিএইচ.ডি ডিগ্রী লাভ

আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর শিক্ষক শিহাবুদ্দীন আহমাদ পিএইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেছেন। গত ২৯শে নভেম্বর’১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫৬তম সিন্ডিকেট সভা তাকে পিএইচ.ডি ডিগ্রী প্রদান করে। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘মিয়াঁ নাযীর হুসাইন দেহলভী : ফিক্হ শাস্ত্রে তাঁর অবদান’। তিনি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে ২০০৩ সালে বি.এ (অনার্স) এবং  ২০০৫ সালে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বগুড়া যেলার গাবতলী থানাধীন কালাইহাটা গ্রামের বাশিন্দা। তিনি সকলের নিকট দো‘আ প্রার্থী।






আরও
আরও
.