জেলখানা মানে অপরাধীদের বন্দীশালা। বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের ধরে এখানে রাখা হয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই বন্দিশালা বা জেলখানা রয়েছে। এসব জেলখানায় অপরাধের সাজা হিসাবে বন্দীদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে থাকতে হয়। তবে এবার অনন্য নযীর স্থাপন করল দুবাই কর্তৃপক্ষ। জেলখানা কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় গত দুই বছরে ধর্মশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে ৬০৫ জন বন্দী কুরআন হেফয সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। কারাবন্দীদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করে থাকে আরব আমিরাত সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ধর্ম, খেলাধুলা ও পেশাদার বিষয়ক বিভিন্ন প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোর্স হ’ল সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগ শিল্প কোর্স, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইংরেজী ভাষা, চীনা ভাষা, রাগ নিয়ন্ত্রণ, চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের পথ, ক্রিয়েটিভ কোর্স ইত্যাদি।

দুবাই পুলিশের শাস্তি ও সংশোধন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ বিভাগের পরিচালক  মেজর  জেনারেল  আলী  আল-শামালী  বলেন,  এসব প্রোগ্রামের মাধ্যমে বন্দীদের দক্ষতা ও সক্ষমতার বিকাশ, পুনর্বাসন এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে শক্তিশালী করা। এসব প্রোগ্রামের প্রধান উদ্দেশ্য হ’ল বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক সমস্যার মোকাবেলা করা এবং বন্দীদের মুক্তির পর ভয় ও দ্বিধাদ্বন্দের বাধা অপসারণে সহায়তা করা, যেন বন্দীরা সহজেই সমাজের মূলধারায় পুনরায় সংগঠিত হ’তে পারে।

[ধন্যবাদ দুবাই কারা কর্তৃপক্ষকে। বাংলাদেশের কারা কর্তৃপক্ষ এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন কি? (স.স.)]






আরও
আরও
.