তুরস্কে গত মাসে হওয়া বিধ্বংসী ভূমিকম্পের জেরে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ১০০ বিলিয়ন বা প্রায় সাড়ে ১০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল-জাযিরা। ইউএনডিপির কর্মকর্তা লুইসা ভিনটনের বক্তব্য উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারের উপস্থাপিত এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তায় প্রস্ত্ততকৃত হিসাব অনুযায়ী মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি হবে। ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৃহদাকারে দাতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে তুরস্কের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভয়াবহ এই তথ্য সামনে এলো।
উল্লেখ্য, গত ৬ই ফেব্রুয়ারী তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫২ হাযারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ হাযারের বেশি মানুষ। ভূমিকম্পে তুরস্কে সোয়া ৪ লাখ ইউনিট সম্বলিত ১ লাখ ৭৩ হাযার ভবন ধসে গেছে বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা ভেঙে ফেলা ছাড়া ব্যবহারের কোনো উপায় নেই।
জাতিসংঘের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিগত শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে দেড় কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এসব অঞ্চলে অন্তত ৫ লাখ নতুন বাড়ি তৈরি করা প্রয়োজন।
[ভূমিকম্প আল্লাহ প্রদত্ত সতর্ক বার্তা। যা আমাদের শিক্ষা দেয় যে, যেকোন মুহূর্তে আমাদের অর্থ-বিত্ত, ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ধুলায় মিশে যেতে পারে। আমাদের জিডিপি যত বেশীই হৌক না কেন, আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যত উন্নতই হৌক না কেন, আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কোনকিছুই টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তিনি যদি কাউকে শাস্তি দিতে চান, কাউকে বিপদে ফেলতে চান দুনিয়ার কোন শক্তি নেই যে তা প্রতিরোধ করতে পারে। তাই আমাদেরকে সর্বাগ্রে আখেরাত মুখী ও আল্লাহভীরু হ’তে হবে। (স.স.)।