রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগে মধ্য আফ্রিকায় বসবাসরত মুসলমানদের জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকার পশ্চিমে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর অর্ধেক মুসলমান নির্যাতনের শিকার এবং তাদের ধর্মত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। তারা  সেখানে মুসলমান হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারে না, ছালাত আদায় করতে পারে না। তাদের অনেককে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয় অথবা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেখানে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৩৬টি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে। আর ২০১৩ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত ছয় হাযারের বেশী মানুষ নিহত হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ।

উল্লেখ্য যে, আফ্রিকার এই দেশটিতে ৫০ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ১৫ শতাংশ মুসলমান বসবাস করে। ২০১৩ সালের মার্চে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস বোজিজেকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মুসলিম বিদ্রোহী ও চরমপন্থী সংগঠন সেলেকা। ফলে প্রথম মুসলমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন সেলেকার প্রধান মাইকেল জোটোডিয়া। ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সেলেকাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু জোটোডিয়ার এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি অধিকাংশ বিদ্রোহী। জোটোডিয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে অস্ত্রও জমা দেয়নি তারা। বরং ক্ষমতার বলয় থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় মাঠে নেমে খ্রিস্টান হত্যায় লিপ্ত হয়। অতঃপর  সেলেকার নির্যাতনের পরিণতিতে নতুন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অ্যান্টি বলাকা বা বলাকাবিরোধী নামে একটি সংগঠনের জন্ম হয়। এই সংগঠনের সদস্যরা সবাই খ্রিস্টান ও সর্বপ্রাণবাদে বিশ্বাসী। তারা ক্ষমতাসীন মুসলিম সরকারকে হটিয়ে দেয় এবং সেলেকা ও সাধারণ মুসলমানদের উপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে। এভাবে দিন যতই যাচ্ছে, অ্যান্টি বলাকার সদস্য সংখ্যাও ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি শত শত শিশুও ঐ জঙ্গী সংগঠনে যোগ দিচ্ছে। লক্ষ্য তাদের একটাই- বিপক্ষগোষ্ঠী নিধন। এভাবে রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগে মধ্য আফ্রিকায় বসবাসরত মুসলমানদের জাতিগতভাবে নির্মূল করা হচ্ছে।

বর্তমানে সেখানে মুসলমান ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ইটালীয় ধর্মযাজক ফাদার অরেলিও গ্যাজেরা কাজ করে যাচ্ছেন। তার মতে এখন মুসলমান ও খ্রিস্টান উভয় সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন যরূরী। বিশেষ করে লুটপাট বন্ধ ও অ্যান্টি বলাকার মিলিশিয়াদের নিরস্ত্র করতে সেনাবাহিনীর কোন বিকল্প নেই বলেই তিনি মনে করেন।

[আমরা ওআইসি এবং জাতিসংঘকে দ্রুত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আহবান জানাচ্ছি। যাতে যুদ্ধের আগুন নির্বাপিত হয় (স.স.)]







বেসরকারী খাতের সম্পৃক্ততায় বদলে গেছে চট্টগ্রাম বন্দর
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশী ঘুষের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
স্বদেশ-বিদেশ
সুখী রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড
হালাল পণ্য রফতানীতে বাংলাদেশ পিছিয়ে
ইসলামে ফিরতে মিডিয়া ছাড়লেন অভিনেত্রী অ্যানি খান : জানালেন কিছু উপলব্ধি
চাউল চিকন করতে গিয়ে প্রতি বছর ১৬ লাখ টন চাল মিলে নষ্ট হচ্ছে -খাদ্যমন্ত্রী
শিশুদের শরীরে মাত্রাতিরিক্ত সীসা
৩২ কিলোমিটার হেঁটে কাজে যোগদান করায় গাড়ি উপহার
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন
পরমাণু যুদ্ধে ব্রিটিশ রাজপরিবার এবং প্রধানমন্ত্রীর গোপন আশ্রয় (বৃটেনে ১০০ ফুট গভীরে গোপন শহর বার্লিংটন)
ওযূ করার উপযোগী চমৎকার একটি বেসিন তৈরী করল বগুড়ার সজল সিরামিকস
আরও
আরও
.