ইসলামী
আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের ফাযিল (স্নাতক
ও পাস) এবং স্নাতকোত্তর (কামিল) মাদ্রাসাগুলোর অধিভুক্তি, পাঠ পরিচালনা,
পরীক্ষা গ্রহণ, পরিদর্শন, কোর্স অনুমোদনসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের
দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ইসলামী আরবী
বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে। গত ১লা সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ
সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ফলে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ফাযিল ও
কামিলের ভর্তি ও পরীক্ষা আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া হবে। এর আগে এর
নিয়ন্ত্রণ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। গত ২৩শে আগস্ট থেকে
ঢাকার ধানমন্ডি ১২/এ রোডের ৪৪ নম্বর বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী
ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আহসানুল্লাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।
উল্লেখ্য যে, ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ২০০৬ সাল থেকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। অতঃপর এর অধীনেই ২০১০ সালে দেশের নামকরা ৩১টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে সেখানে কুরআন, হাদীছ, দাওয়াহ, আরবী সাহিত্য এবং ইসলামের ইতিহাস এই ৫টি বিষয়ে ফাযিল (চার বছর মেয়াদী অনার্স) কোর্স চালু রয়েছে। অতঃপর ফাযিল (পাস), (অনার্স) এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) পর্যায়ের শিক্ষার তদারকি এবং পৃথক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০১৩ সালে আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংসদে পাস হয়। অতঃপর এ বছর ১লা সেপ্টেম্বর এর বাস্তবায়ন শুরু হ’ল। বর্তমানে দেশে মোট ২০৫টি কামিল, ৩১টি ফাযিল (সম্মান), ১০৪৯টি ফাযিল (পাস) এবং তিনটি সরকারী মাদরাসা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ ৯৮ হাযার ৩১ জন শিক্ষার্থী আছে, যার মধ্যে ছাত্রী প্রায় ২ লাখ। আর শিক্ষক সংখ্যা ২২ হাযার।
[অবশেষে মাদরাসাগুলির জন্য আরেকটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় না হয়! (স.স.)]