সরকারী
ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ১ হাযার ৪৩৫
কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪০টি মন্ত্রণালয়ের কাছেই পাওনা ৬৬৮ কোটি টাকা।
আর আধা-সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার কাছে বকেয়া আছে ৭৬৬ কোটি টাকা। গত ১৩ই
সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সরকারদলীয় সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে
বিদুৎ জ্বালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নছরুল হামিদ সংসদকে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ৯৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বকেয়া ৬৪ কোটি টাকা বকেয়া আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৪ কোটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ২০ লাখ, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ২২ কোটি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে ৮ কোটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২১ কোটি, স্থানীয় সরকার বিভাগে ৩৬ কোটি, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে ১৬ কোটি, নির্বাচন কমিশনে ৮ কোটি, অর্থ বিভাগে ১০ কোটি, মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৩ কোটি, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে ৪৪ কোটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ৫২ কোটি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ৪৬ কোটি, তথ্য মন্ত্রণালয়ে ৬ কোটি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ১১ কোটি, ভূমি মন্ত্রণালয়ে ৮ কোটি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৯ কোটি, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে ৭ কোটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১৩ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১২ কোটি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ১২ কোটি, প্ল্যানিং কমিশনে ১১ কোটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ২ কোটি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৫৭ কোটি, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে ২ কোটি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ৪ কোটি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ২ কোটি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ৪ কোটি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৪ কোটি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ৬০ লাখ, এছাড়া পাট ও বস্ত্র, সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি), বিজ্ঞান তথ্য ও প্রযুক্তি, শিল্প, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আরও প্রায় ২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর তথ্যে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করলেও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছে তাদের নামের তালিকা দেয়া হয়নি।