মঙ্গল অভিযানে যাওয়ার আগে আরেক ধাপ প্রস্ত্ততি সম্পন্ন করল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সম্প্রতি মঙ্গল অভিযানে জীবন-যাপন কেমন হ’তে পারে তার অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য নাসার একটি দল হাওয়াই দীপপুঞ্জে এক বছরের জন্য অবস্থান শুরু করেছে। এ সময় তারা পৃথিবীর বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগহীন অবস্থায় থাকবে বলে জানায় নাসা। ছয়জনের এই দলে রয়েছে একজন ফরাসি মহাকাশবিজ্ঞানী, এক জার্মান পদার্থবিদ ও এক মার্কিন পাইলট, এক আর্কিটেক্ট, এক চিকিৎসক ও এক ভূ-তত্ত্ববিদ।

এই ছয়জন ব্যক্তির জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হ’ল আবদ্ধ স্থানটিতে বিশুদ্ধ বাতাস, বিশুদ্ধ পানি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ছাড়া একত্রে বসবাস করা। ৩৬ ফুট চওড়া ও ২০ ফুট লম্বা একটি ডোমের মধ্যে রাখা হয়েছে তাদের। আশেপাশে নেই কোন পশু বা গাছ। প্রত্যেকের জন্য ছোট ছোট আলাদা ঘর রয়েছে। ঘুমানোর জন্য খাট ও একটি ডেস্ক রয়েছে সেখানে। রাখা হয়েছে বেশ কিছু শুকনো খাবার। বাইরে যেতে চাইলে স্পেশস্যুট পরে বের হ’তে হবে। এছাড়া সীমিত ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।

নাসার টেকনিশিয়ানরা গত কয়েক বছর ধরেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে মঙ্গল অভিযানের প্রযুক্তিগত ত্রুটি খুঁজতে এবং তা থেকে রক্ষার ব্যবস্থাপনা তৈরী করতে। কিন্তু মানবিক সমস্যাগুলো কি হ’তে পারে তা জানার জন্যই নাসা এ ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ সম্পর্কে নাসার তদন্তকারী কর্মকর্তা কিম বিনসটেড বলেন, এখানে মূল সমস্যা হ’লে আন্তঃব্যক্তিক পর্যায়ের সংঘর্ষ। আমরা দেখতে চাই এখানে অবস্থানকারীরা কিভাবে তার সমাধান করে। দীর্ঘ সময় একত্রে ছোট স্থানে থাকলে সংঘর্ষ হবেই। সবচাইতে ভালো ব্যক্তিটির সঙ্গেও তেমনটি ঘটতে পারে।







আরও
আরও
.