আকাশপথে উড়ন্ত অবস্থায় বিকল হয়ে যাওয়া বিমানের বিকল্প ইঞ্জিন থিওরী আবিষ্কার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপযেলার কাযী যহীর রায়হান। তার দাবী, আর্থিক যোগান দিতে পারলে সেই থিওরীর বাস্তব রূপ দিতে পারবেন। এ ইঞ্জিন তৈরিতে ৫২ জন টেকনিশিয়ান নিয়ে তার দু’মাস সময় লাগবে। ইঞ্জিনটি শুধু বিকল হয়ে যাওয়া বিমান রক্ষায় কাজ করবে না, বরং মৃত্যুর হাত রক্ষা করবে যাত্রীদের।

ছোটকাল থেকেই কারিগরী বিভিন্ন কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। ঢাকা কলেজে অনার্সে পড়াকালীন সময়ে একটি বিমান দুর্ঘটনার খবর পান তিনি। সে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যায়। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলে তাকে। তখন থেকেই চিন্তা- বিকল হয়ে যাওয়া বিমানের বিকল্প ইঞ্জিন তৈরি করা। শুরু হয় গবেষণা।

রায়হান বলেন, ২০০৫ থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর গবেষণার পর বিকল্প ইঞ্জিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হই। আকাশপথে বিমানটি বিকল হয়ে পড়লে পাইলট বিকল্প এ ইঞ্জিন ব্যবহার করে পাশের এয়ারপোর্ট বা কোনো বিশেষ স্থানে নিরাপদে অবতরণ করতে পারবেন।

তিনি বলেন, বিমানের এ বিকল্প ইঞ্জিনটি তৈরি করতে ১৪১টি বিশেষ যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হবে। যন্ত্রগুলো বাংলাদেশ, ভারত ও চীন থেকে সংগ্রহ করা যাবে। ২৮০-৩০০ আসনের বিমানের ইঞ্জিনটি তৈরী করতে প্রায় ৩২ লাখ টাকা খরচ হবে। এ ইঞ্জিনের মাধ্যমে জীবন রক্ষার পাশাপাশি সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।

এ থিওরী আবিষ্কার করতে গিয়ে রায়হানকে অনেক কটাক্ষের শিকার হ’তে হয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব সবাই নানান সময় তিরস্কার করেছে। অনেক সময় পরিবারের সদস্যরাও বিরক্তি প্রকাশ করেছে। পিতা কবীর হোসাইন বলেন, ছোটবেলা থেকে নানা কারিগরী কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল ছেলেটার। ইচ্ছা ছিল উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ পাঠাবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। এখন সারাদিন এ গবেষণা নিয়েই ব্যস্ত থাকে।






আরও
আরও
.