রাজশাহীর
তানোরে সূদখোর দাদন ব্যবসায়ীর দাদনের টাকা আদায়ে পুলিশের আল্টিমেটামে মিরা
দাস নামের এক প্রতিবন্ধী বিধবা গ্রেফতার আতঙ্কে পরিবার নিয়ে মানবেতর
জীবনযাপন করছে। তানোর পৌর সদরের শিবতলা গ্রামে অমানবিক এ ঘটনা ঘটেছে। জানা
গেছে, ২০০৯ সালে উক্ত গ্রামের স্বপন কুমার দাস প্রতিবেশী দাদন ব্যবসায়ী
বিমল চন্দ্র দাসের কাছে ফাঁকা চেকবই ও ৩০০ টাকা মূল্যের ফাঁকা নন জুডিশিয়াল
স্ট্যাম্প দিয়ে প্রতি মাসে চার হাযার টাকা সূদে ৪০ হাযার টাকা দাদন নেয়।
এরপর সে মাসে চার হাযার টাকা করে গত প্রায় ৫ বছরে শুধু সূদ দিয়েছে প্রায় ২
লাখ ৪০ হাযার টাকা। গত ডিসেম্বর মাসে তার মৃত্যুর পর সূদখোর বিমল এখনো তার
কাছে ৪০ হাযার টাকা পাবে বলে তার প্রতিবন্ধী বিধবা স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে
ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে এবং ঐ বিধবার বিরুদ্ধে তানোর থানায় অভিযোগ করে।
যার প্রেক্ষিতে থানার এসআই মুছত্বফা উক্ত প্রতিবন্ধী বিধবাকে থানায় ডেকে
দাদনের টাকা পরিশোধের জন্য এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছে। ফলে ঐ প্রতিবন্ধী
বিধবা পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রেফতার আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে
সূদখোর দাদন ব্যবসায়ী বিমল চন্দ্র দাস বলেন, আমি কাউকে জোর করে দাদন দেইনি।
তারা বিপদে পড়ে দাদনে টাকা নিয়েছেন তাহ’লে সূদের টাকা তো দিতেই হবে। টাকা
পরিশোধ করলে তো আর সূদ নিতে পারতাম না।
[মুসলমানদের সরকার কি তাহ’লে সূদখোর যালেমদের সহযোগী? আল্লাহকে ভয় কর (স.স.)]