-হাইকোর্ট

বিচার বিভাগ যদি ব্যর্থ হয়, তাহ’লে জনগণ বিকল্প উপায় খুঁজতে বাধ্য হবে, যেটি কল্পনাও করা যায় না বলে এক রায়ে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, আমূল সংস্কার করে, দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে বিচার বিভাগকে নির্ভরযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য ও আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সময় এসেছে এখন। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলীল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ঐ রায় দেন। ১৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বশেষ জায়গা তথা শেষ আশ্রয়স্থল হ’ল বিচার বিভাগ। যখন এই শেষ আশ্রয়স্থলের বিচারকগণ দুর্নীতির মাধ্যমে রায় বিক্রি করেন, তখন সাধারণ মানুষের আর যাওয়ার জায়গা থাকে না। তাঁরা হতাশ হন, ক্ষুব্ধ হন, বিক্ষুব্ধ হন এবং বিকল্প খুঁজতে থাকেন। তখন জনগণ মাস্তান, সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মাফিয়া নেতাদের আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং তাদের বিচার সেখানে চান।

আদালত সূত্র জানায়, নিজেদের কেনা সম্পত্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় উঠে গেছে দাবী করে মামলাটি হয়েছিল। এ নিয়ে চার ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার কাকরাইলের সাড়ে ১৬ কাঠা জমি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ১৯৯৫ সালের ২৭শে নভেম্বর ঢাকার প্রথম সেটেলমেন্ট আদালত রায় দেন। এর বৈধতা নিয়ে সরকারপক্ষ ২৪ বছর পর ২০১৯ সালে হাইকোর্টে পৃথক দু’টি রিট করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে সেটেলমেন্ট আদালতের ঐ সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দেন। 

রায়কে অযৌক্তিক, অসৎ অভিপ্রায়, অসৎ উদ্দেশ্যে ও স্বেচ্ছাচারী বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। বলা হয়, ‘পচা আপেল ভালো আপেলগুলো থেকে সরিয়ে ফেলো। কারণ একটি বাক্সে বা ঝুড়িতে একটি পচা আপেল অন্য আপেলগুলোকে নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। সেহেতু বিচার বিভাগের সকল বিচারককে যদি দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হয়, তাহ’লে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হ’ল, সকল দুর্নীতিবাজ বিচারককে অনতিবিলম্বে এবং দ্রুততার সাথে উপড়ে ফেলে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। তা না হ’লে এসব নষ্ট বিচারক, পচা বিচারক এবং দুর্নীতিবাজ বিচারক ভালো বিচারকদের আস্তে আস্তে নষ্ট করে ফেলবে

আদালত বলেছেন, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগীয় দুর্নীতি পাশাপাশি চলতে পারে না। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি দুর্নীতগ্রস্ত হন, তাহ’লে আইনের শাসন বই-পুস্তকে সীমাবদ্ধ থাকবে, এটি বাস্তব রূপ লাভ কখনোই করবে না।

রায়ে বলা হয়, ঢাকার তৎকালীন প্রথম সেটেলমেন্ট আদালত নযীরবিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করেন এবং জালিয়াত চক্রকে বিনা দালীলিক এবং সাক্ষ্য ব্যতিরেকে হাযার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় এবং জনগণের সম্পত্তি জালিয়াত চক্রের হাতে তুলে দেন।






ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক ডেলিভারী চলছে ঢাকার আদ-দ্বীন হাসপাতালে
ভয়ঙ্কর পঙ্গপালের ঝাঁক ধেয়ে আসছে ভারত ও ইস্রাঈলে
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণ সম্পর্কের অবনতি
মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৬৫০ কোটি টাকা
সামনে গরম বাড়বে, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ আরো ভয়াবহ রূপ নেবে
কলম্বিয়ায় ৫০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘোষণা
আবহাওয়া পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের প্রভাব (বিলুপ্তির পথে বহু প্রাণী)
সুপার সাইক্লোন আম্ফানে বিধ্বস্ত দেশের দক্ষিণাঞ্চল
কারও দান, কারও শ্রমে সবার জন্য হাসপাতাল
ওযূ করার উপযোগী চমৎকার একটি বেসিন তৈরী করল বগুড়ার সজল সিরামিকস
দূষণে ভারতে সাড়ে ১২ লাখ মানুষের মৃত্যু ২০১৭ সালে
চার বছরেই আশি বছরের বৃদ্ধ বায়েযীদ!
আরও
আরও
.