গত ৪-৫ বছর থেকে হজ্জের মৌসুমে ড্রোন হাতে এক ব্যক্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। সাদা জামা পরা ওই কালো লোকটির গল্প শুনে অবাক হন অনেকে। হজ্জ পালনে মক্কা-মদীনা যাওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা ছিল তাঁর। সেই দরিদ্র মানুষটির নাম হাসান আব্দুল্লাহ। তিনি ঘানার প্রত্যন্ত গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারের সদস্য। একবার নিজ এলাকায় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একটি দলকে দেখতে পান। ড্রোন দিয়ে তারা স্থানীয় চিত্র ধারণ করছিল। এমন যন্ত্র দেখে তিনি বলেছিলেন, তাদের কাছে এ ধরনের আরেকটু বড় ড্রোন আছে কি, যা তাঁকে হজ্জের জন্য ইসলামের পবিত্র ভূমি মক্কায় নিয়ে যেতে পারে?
বস্ত্তত হাসান ছিলেন খুবই অভাবী ও দরিদ্র। নিজের সাধ্য না থাকলেও স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। দরিদ্র বৃদ্ধের এই হৃদয়ছোঁয়া আকুতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিষয়টি তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর নযরে আসলে তিনি ঘানার তুর্কী দূতাবাসের মাধ্যমে বৃদ্ধকে খুঁজে বের করেন এবং তুরস্কের রাষ্ট্রীয় খরচে হজ্জে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
[আকাংখা থাকা সত্বেও সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই হজ্জ পালন করতে পারেন না। কিন্তু প্রবল আকাংখার থাকলে আল্লাহ যেকোন ভাবেই যে তার একনিষ্ঠ বান্দাদের তার ঘরের মেহমান করে নিতে পারেন, উপরোক্ত ঘটনায় তা প্রমাণিত হয় (স.স.)]।