চীনের কারাগারে শায়খ মুহাম্মদ ছালেহ কাশগরী উরতুজি গত ২৯শে জানুয়ারী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকার পর মৃত্যুর একমাস পূর্বে সরকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীণ হন। ১৯৩৯ সালে পশ্চিম তুর্কিস্তান কাশগর শহরে জন্মগ্রহণকারী শায়খ ছালেহ উইঘুর মুসলমানদের অধিকার নিয়ে কথা বলতেন। তিনি উইঘুর ভাষায় কুরআনুল কারীমের অনুবাদ ও তাফসীর করেন, যা মুজাম্মা‘ মালিক ফাহাদ প্রিন্টিং প্রেস, মদীনা মুনাওয়ারা থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়া কুরআন, হাদীছ, ফিকহ, তাফসীর প্রভৃতি ক্ষেত্রে তার পান্ডিত্যের সুনাম রয়েছে পুরো তুর্কিস্তানসহ চীনের সর্বত্র।
এছাড়া তাঁর উইঘুর ভাষায় অনূদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- কাস্তালানী কর্তৃক ছহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থ, নুরুল ইয়াকীন ফী সীরাতে সাইয়েদিল মুরসালীন, রিয়াযুছ ছালেহীন ইত্যাদি।
তিনি ১৯৯২ সালে সঊদী বাদশাহ মালিক ফায়ছাল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন। মরক্কোর বাদশাহ হাসান ছানী, মিসরের শাসক হোসনী মোবারক ও কাজাখিস্তানের বাদশাহ নূর সুলতান কর্তৃক বিশেষ সম্মামনা ও পুরস্কার লাভ করেন। তিনি আল-জমঈয়্যাতুল ইসলামিয়া চীনের সভাপতি ছাড়াও আরো বিভিন্ন সংস্থার প্রধান হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
‘পূর্ব তুর্কিস্তান মুসলিম স্কলার্স এসোসিয়েশন’ তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং চীনা শাসকগোষ্ঠীর হাতে বন্দী শায়খের পরিবারের সদস্যদের মুক্তির জন্য রাবেতা আলমে ইসলামীসহ মুসলিম নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেছে।