দেশের
ভোটাররা যখন ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে এবং মানবাধিকার কর্মীরা
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে যখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবীতে সোচ্চার;
তখন দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (ডব্লিউজেপি) খবর দিয়েছে, আইনের শাসনে
বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে। গণতান্ত্রিক দেশটির নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সূচকের
অবস্থা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক
সংস্থা (ডব্লিউজেপি) জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে
২০১ পৃষ্ঠার এই জরিপ গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে। সংস্থাটির
জরিপে বৈশ্বিক আইনের শাসন সূচকে বিশ্বের ১২৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের
অবস্থান ১১২তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। বাংলাদেশের চেয়ে
এগিয়ে রয়েছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারত। এই তিন দেশের মানুষ বাংলাদেশের
মানুষের চেয়ে কিছুটা হ’লেও বেশী আইনী সুরক্ষা পেয়ে থাকে। আর বাংলাদেশের
পিছনে রয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
বিশ্বের ১২৬টি দেশের ওপর জরিপ করে সংস্থাটির প্রতিবেদনে দেখানো হয়, আইনের শাসন কার্যকরে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে তিনটি দেশ ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। এ দেশগুলিতে সরকার বিচার ব্যবস্থার প্রতি হস্তক্ষেপ না করায় আইন নিজস্ব গতিতে চলে। মানুষ নাগরিক অধিকার ভোগ করে। আর আইনের শাসনের সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে তিনটি দেশ কঙ্গো, কম্বোডিয়া ও ভেনেজুয়েলা। বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপের কারণে নাগরিকরা এসব দেশে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে।
দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের আইনের শাসন সূচক-২০১৯ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত এক বছরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬১টি দেশের আইনের শাসনের অবনতি হয়েছে। আইনের শাসনের সূচকে নিম্নগতিতে বাংলাদেশের নীচে রয়েছে ভেনেজুয়েলা, চীন, তুরস্ক, মিয়ানমার, ইথিওপিয়া, মিসর ও ইরান।