গত বছরের মাঝামাঝি রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, সমতা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক সম্মাননা ‘অরোরা পুরস্কার’ পেয়েছেন মিয়ানমারের আইনজীবী কিয়াও হ্লা অং। কিয়াও জানান, মিয়ানমার সরকার সব রোহিঙ্গা মুসলমানকে সে দেশ থেকে বের করে দিতে চায়। ২৭শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রখ্যাত এই আইনজীবীর সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে আল-জাযীরা। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করছে মিয়ানমার। তাদের নাগরিকত্ব নির্ণয়ের মাপকাঠি কী? এর জবাবে কিয়াও বলেন, ১৯৪৮ সালের নাগরিক আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ১০ বছর মিয়ানমারে বাস করলে এবং এর মধ্যে টানা ৮ বছর সেখানে থাকলে তিনি নাগরিত্বর যোগ্য হবেন। তারা ১৯৮২ সাল থেকে আমাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে। যার জমি আছে তাকে নাগরিক হিসাবে গ্রহণ করা উচিৎ। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। ১৯৬৪ সালে মিয়ানমারের শাসক জেনারেল নে উইন সব দোকান, খামার ও প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতীয়, পাকিস্তানী ও চীনাদের কাছ থেকে নিয়ে জাতীয়করণ করেন। তিনি সব বিদেশীকে মিয়ানমার থেকে বের করে দেন। তবে ঐ সময় তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বের করে দেয়নি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এই ভূমির মালিক, এর আগের গণতান্ত্রিক সরকারগুলো তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়ে গেছে, যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইউ নুও রয়েছেন। তবে ১৯৮২ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তারা বলছে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। আমার বাবার জমি ছিল এবং আমার কাছে দলীল আছে। কিন্তু সরকার একে স্বীকৃতি দিচ্ছে না।

১৯৫৯ সালে সরকার মুসলিমসহ সবাইকে জাতীয় নিবন্ধন কার্ড দিয়েছিল। মিয়ানমার সরকার মুসলমানদের বের করে দিতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদের পর তারা বার্মার সব মুসলমানকে বের করে দিবে। এদেশ থেকে সব মুসলমানকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।






আরও
আরও
.