সারা
বিশ্বে বছরে সাত কোটি মানুষ কিডনি রোগে মারা যায়। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৪০
হাযার। তাদের ৮০ শতাংশই কিডনি ডায়ালাইসিস বা সংযোজনের চিকিৎসার অভাবে মারা
যায়। দেশে কিডনি চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে, তবে ব্যয়বহুল। তাই ডায়াবেটিস ও
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে এবং সতর্ক থাকলে কিডনির জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
গত ৯ই ডিসেম্বর ঢাকা মিরপুরস্থ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে দু’দিনব্যাপী এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ১৭তম বার্ষিক কনভেনশন ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারের উপলক্ষে কিডনি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সেমিনারে ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক হারূণুর রশীদ বলেন, সারা বিশ্বে ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছে। বছরে সাত কোটি মানুষ কিডনির জটিলতায় মারা যায়। দেশে দু’কোটি মানুষ কিডনি সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ভোগে। এর মধ্যে বছরে ৪০ হাযার রোগীর কিডনি আকস্মিক বিকল হয়, যাদের ৮০ শতাংশই মারা যায় কিডনি ডায়ালাইসিস-এর অভাবে। তবে আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতিতে ৬০ শতাংশ রোগীর কিডনি জটিলতা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। বাকীদের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসা দেওয়া যায়।
তিনি বলেন, কিডনি রোগের উপসর্গ প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় না। যখন বোঝা যায়, তখন বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়াসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।