স্বদেশ

ঢাকাকে ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী ঘোষণা

ওআইসির অঙ্গ সংগঠন ইসলামী শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (আইএসইএসসিও) ২০১২ সালের জন্য এশিয়া থেকে ঢাকাকে ‘ক্যাপিটাল অব ইসলামিক কালচার’ ঘোষণা করেছে। ওআইসিভুক্ত ৫৭টি দেশকে আরব, এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলে ভাগ করে তিনটি দেশের রাজধানীকে ‘ক্যাপিটাল অব ইসলামিক কালচার’ নির্বাচিত করা হয়েছে। আরব অঞ্চল থেকে ইরাকের নাজাফ শহর এবং আফ্রিকা অঞ্চল থেকে নাইজারের নিয়ামে নগরকে ইসলামী সাংস্কৃতিক রাজধানী নির্বাচিত করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক হিফয প্রতিযোগিতা

(১) আলজেরিয়ায় হাফেয মহিউদ্দীন দ্বিতীয়

আলজেরিয়ায় আন্তর্জাতিক হিফয প্রতিযোগিতায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মারকাযুত তাহফীয ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদরাসার হিফয বিভাগের ছাত্র মুহাম্মাদ মহিউদ্দীন (১৫) ২য় স্থান অধিকার করেছে। গত ১৫ আগস্ট রাতে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে সে দেশের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আযীয মহিউদ্দীনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। মহিউদ্দীনকে একটি ক্রেস্ট, ১১ লাখ ২৮ হাযার আলজেরিয়ান দীনার (১১ লক্ষ ২৭ হাযার ২০০ টাকা) প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, বিশ্বের ৬০টি দেশের হাফেযগণ উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। চাঁদপুর যেলার কচুয়া উপযেলার মনপুরা গ্রামের সন্তান মহিউদ্দীন এর আগে বাংলাভিশন ও আরটিভিতে প্রচারিত কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।

(২) দুবাইয়ে আইনুল আরেফীন দ্বিতীয়

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ১৬তম আন্তর্জাতিক হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ময়মনসিংহ যেলার ব্রাহ্মণপল্লী গ্রামের হাফেয মুহাম্মাদ আইনুল আরেফীন। কুয়েতের ইয়াসীন বিন হাসুন হয়েছে প্রথম। আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রাশেদ আল-মাকতূমের তত্ত্বাবধানে ও পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৭৯টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। দ্বিতীয় পুরস্কারের মূল্যমান বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালেও তিনি সঊদী আরবের কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হন এবং এর আগে মিসর ও ইরানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তিনি বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনেন।

অভাবের তাড়নায় সন্তান হত্যা

(১) বাগেরহাটে দুই মেয়েকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করল পাষন্ড পিতা

বাগেরহাটের চিতলমারীতে অভাবের তাড়নায় নিজের দুই মেয়েকে ঘেরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড পিতা। গত ২৭শে আগষ্ট সকালে উপযেলার হিজলা মাঠপাড়া এলাকায় পিতা শাহ আলম কাযী তার দুই শিশুকন্যা নিশামণি (৭) ও তিষামণিকে (৫) গোসল করানোর কথা বলে নিয়ে গিয়ে ঘেরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। তারা দুই বোন বেশ কিছুদিন ধরে মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে থাকত। পরে এলাকাবাসী ঘেরের পানিতে দুই বোনের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে ঘের থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ শাহ আলম কাযীকে আটক করেছে।

(২) কুষ্টিয়ায় নদীতে ফেলে দুই সন্তান হত্যা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দরিদ্র দিনমজুর আবদুল মালেক ঈদের পোশাক ও সংসারের অন্যদের আবদার মেটাতে না পেরে দুই শিশুসন্তান মুন্নি খাতুন ও মানছূর আলীকে পদ্মা নদীতে ফেলে হত্যা করেছে। গত ১৮ আগস্ট সকাল ৯-টায় স্ত্রী মমতা খাতুনের কাছ থেকে মুন্নি ও মানছূরের চুল কাটানোর নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় আবদুল মালেক। ঐ দিনই লালন শাহ সেতুর মাঝখানে গিয়ে প্রথমে বড় মেয়ে মুন্নিকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। মানছূর এ দৃশ্য দেখে পালিয়ে যেতে থাকলে তাকেও ধরে পাষন্ড পিতা নদীতে ফেলে দেয়। এরপর আবদুল মালেক নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। একদিন নিখোঁজ থাকার পর তাকে নদীর পাড়ের একটি বাগান  থেকে  উদ্ধার  করা  হয়।  এরপর  পুলিশের  সামনে দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে ঘটনার বর্ণনা দেয়।

বিপর্যস্ত আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি

সাড়ে তিন বছরে তের হাযারের অধিক খুন

হত্যা, গুম, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে বিপর্যস্ত দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে ঘটছে নৃশংস খুনের ঘটনা। ঘটছে অপহরণ কিংবা গুপ্তহত্যা। গত সাড়ে তিন বছরে সারাদেশে মোট ১৩,৪৬২টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। গত আড়াই বছরে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৮৪ ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৮ জনের লাশ উদ্ধার হলেও বাকী ৭৬ জনের কোন হদিস মিলেনি।

বিশ্বে বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহর ঢাকা!

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা গত বছর বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহরের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করার পর এবার ‘শীর্ষস্থান’ দখল করেছে। যুক্তরাজ্যের সাপ্তাহিক ইকোনমিস্ট পত্রিকার ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) কর্তৃক বিশ্বের ১৪০টি শহর বিবেচনায় নিয়ে করা হয়েছে এই জরিপ। রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসুবিধা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো- এই মূল পাঁচটি বিষয়ের ৩০টি দিক বিবেচনায় নেওয়া হয় জরিপে। এই সবগুলো ক্ষেত্র মিলিয়ে সবচেয়ে কম নম্বর পেয়ে ১৪০টি শহরের মধ্যে সর্বশেষ স্থানটি দখল করেছে ঢাকা। গতবারের সবচেয়ে বসবাস-অনুপযুক্ত শহর জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে এখন তিন ধাপ এগিয়েছে।

অপরদিকে ১০০ স্কোরের মধ্যে ৯৭.৫ পেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহর নির্বাচিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা এবং তৃতীয় কানাডার ভ্যানকুভার শহর।

বিশ্বের ৩১তম দূষিত ও ২য় বন্যা ঝুঁকির শহর : যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত গবেষণায় ঢাকাকে বিশ্বের ৩১তম দূষিত নগরী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ইটখোলায় জ্বালানী হিসাবে নিম্নমানের কয়লার ব্যবহার, কলকারখানায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকা ইত্যাদি কারণে রাজধানীতে বিষাক্ত গ্যাসের নির্গমন বাড়ছে। রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন গাড়ির প্রাধান্য বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণে রাজধানীর স্বাস্থ্যখাতে যে ক্ষতি হচ্ছে তার আর্থিক মূল্য ১২৪ বিলিয়ন টাকা। এদিকে নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, বন্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৯টি শহরের মধ্যে ঢাকা ২য়। শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই। সাগরপৃষ্ঠের মাত্র ৪ মিটার ওপরে থাকায় ঢাকায় নিয়মিতই বন্যা হয়। কিন্তু শহরটিতে বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুবই সামান্য। তাছাড়া ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ শহরও বটে।

বিদেশ

১২২৬ জন বিত্তশালীর নিকট বিশ্বের সম্পদ কুক্ষিগত!

‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিন ২০১২ সালের বিশ্বের বিলিয়নিয়ারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে বিশ্বজুড়ে ১২২৬ জন বিত্তশালীর মোট অর্থের পরিমাণ সাড়ে ৪ লাখ কোটি ডলার। তালিকায় তৃতীয়বারের ন্যায় ১ম স্থানে রয়েছেন মেক্সিকোর টেলিকম ব্যবসায়ী কার্লোস স্লিম। বিল গেটস রয়েছেন ২য় স্থানে। তালিকায় ভারতের ৪৮ জন বিলিয়নিয়ারের নাম রয়েছে, অথচ সে দেশের ৪৬ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে।

অস্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রেকর্ড

২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। গত বছর মোট ৬ হাযার ৬০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি হয়, যা ২০১০ সালের তুলনায় ২ হাযার ১৪০ কোটি ডলার বেশি। ২০০৯ সালে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাযার ১০০ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অস্ত্রের ক্রেতা রাষ্ট্র হ’ল সঊদী আরব। বছরে প্রায় ৩ হাযার ৩০০ কোটি ডলারের অধিক মূল্যের অস্ত্র কেনে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে এফ-১৫ যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র। ২০১১ সালে বিশ্ব অস্ত্র বাজারে মোট ৭৮ শতাংশ অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটির বিক্রির পরিমাণ ৪৮০ কোটি ডলার।

[নিঃস্ব আমেরিকা ও পরাশক্তিগুলো মুসলিম বিশ্বে পরস্পরে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়ে এখন অস্ত্র ব্যবসায়ে নেমেছে। এদের চূড়ান্ত ধ্বংস এগিয়ে আসছে (স.স.)]

কুরআন পোড়ানোয় জড়িত ৬ মার্কিন সেনার নামমাত্র শাস্তি

আফগানিস্তানের বাগরাম সেনাঘাঁটিতে পবিত্র কুরআন সহ অন্যান্য ইসলামী গ্রন্থ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ৬ মার্কিন সেনাকে নামমাত্র শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মার্কিন সেনাসূত্র বলেছে, কুরআন পোড়ানো ছয় মার্কিন সেনাকে শাস্তি হিসাবে বড়জোর পদাবনতি করা হতে পারে, কিংবা তাদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো হবে অথবা তাদের বেতন আটকে দেয়া হবে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারী বাগরাম ঘাঁটিতে মার্কিন সেনারা প্রায় ১০০টি কুরআন শরীফসহ ৩০০টি ধর্মীয় গ্রন্থ জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর আফগানিস্তানসহ সারা বিশ্বে মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। আফগানিস্তানে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩০ জন আফগান প্রাণ হারান।

[হাঁ, এটাই গণতন্ত্রীদের ন্যায় বিচারের নমুনা (স.স)]

নরওয়ের গণহত্যাকারী ব্রেইভিককে ২১ বছরের কারাদন্ড

নরওয়ের সেই আত্মস্বীকৃত গণহত্যাকারী ব্রেইভিককে ২১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ১০ সপ্তাহ ধরে বিচার কাজ চলার পর গত ২৪ আগস্ট আদালত এ রায় দেয়। ৩৩ বছর বয়সী ব্রেইভিক বরাবরই নিজেকে সুস্থ বলে দাবি করে এসেছে এবং সজ্ঞানে সে ঐ হামলা করেছে বলে অকপটে স্বীকার করেছে। এত মানুষ হত্যা করার পরও তার কোনো অনুশোচনা নেই। বরং সে বলেছেন, নরওয়েকে ইসলামীকরণ করার হাত থেকে রক্ষা করতে ঐ হত্যাকান্ডের প্রয়োজন ছিল। তবে ইসলামের অগ্রযাত্রাকে রুখার জন্য পরিচালিত হত্যাকান্ডের ফলাফল বিপরীতই হয়েছে। ইসলাম যেন সেখানে এক প্রশান্তির সুধা হিসাবে কাজ করছে। রাজধানী অসলোর ইসলামিক সেন্টারগুলিতে এখন ব্যাপক ভীড় দেখা যাচ্ছে। অশান্ত-অস্থির ইউরোপ ক্রমান্বয়ে ছুটে চলেছে শান্তির ধর্ম ইসলামের দিকে। উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে নরওয়েতে বোমা হামলা ও পরে বেপরোয়া গুলী চালিয়ে ৭৭ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ব্রেইভিক। একই সঙ্গে আহত হয় প্রায় আড়াইশ মানুষ।

ল্যানচেট মেডিকেল জার্নাল-এর জরিপ

বিশ্বে তামাকসেবীদের ৬৪ শতাংশই ধূমপায়ী

বিশ্বে তামাকসেবীদের ৬৪ শতাংশই ধূমপায়ী। তারা প্রধানত সিগারেটে অভ্যস্ত। দ্য ল্যানচেট মেডিকেল জার্নাল-এর এক জরিপে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে সিগারেট সেবনের আশঙ্কাজনক অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জরিপে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দুই-পঞ্চমাংশ পুরুষ এখনো নেশা হিসাবে তামাক ব্যবহার করে। তামাকজাতীয় নেশাসেবীদের অর্ধেকই এর ক্ষতিকর প্রভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হয় বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়।

জার্মানির স্কুলে এই প্রথম ইসলাম শিক্ষা

জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মশিক্ষার তেমন কোনো জায়গা নেই। কিন্তু এবার জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টাফালিয়া এক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করল বলা যায়। স্কুলগুলোতে দিন দিন মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই প্রাথমিক স্কুলগুলোতে মুসলমান বাচ্চাদের জন্য ইসলাম শিক্ষার একটি নতুন বই ছাপানো হয়েছে। ইসলামের নানা শিক্ষা ও নিয়মাবলী শেখানো হবে এই বইয়ের মাধ্যমে। উল্লেখ্য যে, জার্মানীতে বর্তমানে মুসলমানের সংখ্যা অর্ধকোটি ছাড়িয়ে গেছে।

গুজরাটের দাঙ্গায় সাবেক মন্ত্রীসহ ৩২ জন দোষী সাব্যস্ত

ভারতে গুজরাটের এক বিশেষ আদালত ২০০২ সালের দাঙ্গায় জড়িত থাকার ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টির নেত্রী ও নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোদনানীকে ২৮ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের নেতা বাবু বজরঙ্গীকে আমৃত্যু জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ঐ কোর্ট। ঐ ঘটনায় জড়িত বাকী ২৯ জন অপরাধীকে ২১ বছরের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দশ বছর আগের ঐ দাঙ্গায় আহমেদাবাদের নারোদা পাটিয়া এলাকায় এক রাতেই মহিলা ও শিশুসহ ৯৭ জন মুসলিমকে হত্যা করেছিল দাঙ্গাকারীরা। গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ৬০ জন হিন্দুত্ববাদী স্বেচ্ছাসেবকের আগুনে পুড়ে মৃত্যুর পরেই গোটা গুজরাট জুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, যাতে প্রায় এক হাযার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। এঁদের বেশিরভাগই মুসলমান। মায়া কোদনানী তখন নারোদা পাটিয়া এলাকার বিধায়ক ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি ও অন্যান্য হিন্দু সংগঠনগুলি মুসলিম মহল্লায় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

[মূল নায়ক মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মেযদি তাহ’লে বেঁচে গেল। হাঁ আত্মগ্লানির নরক অনলে তাঁকে জ্বলতেই হবে (স.স.)]

মার্কিন সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার হার বেড়েছে

মার্কিন সেনাবাহিনীতে এ বছর আত্মহত্যার হার খুব বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে একজন করে মার্কিন সেনা আত্মহত্যা করছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র সিনথিয়া স্মিথ বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন’। তিনি বলেন, ‘আমরা যে কয়েকটি গুরুতর সমস্যার মধ্যে আছি, তার মধ্যে এটি অন্যতম’। তিনি জানান, যেসব সেনা বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

[অন্যায় যুদ্ধ কোন সেনাই সমর্থন করে না। নেতাদেরই আত্মহত্যা করা উচিত ছিল (স.স.)]

ঋণের দায়ে জর্জরিত আমেরিকা; পরিমাণ ১৬ ট্রিলিয়ন

মার্কিন জাতীয় ঋণ কমাতে ব্যর্থ হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আমেরিকার জাতীয় ঋণ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৬ ট্রিলিয়নে। মাথাপিছু ৫০ হাযার ডলার। এ ঘটনা তার বিরোধী শিবির রিপাবলিকান দলের জন্য ব্যাপক সমালোচনার সুযোগ এনে দিয়েছে।

[‘সূদের পরিণতি নিঃস্বতা’ রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছ অভ্রান্ত’। ওবামা হৌক বা তার বিরোধী শিবির হৌক সবাই সূদের গোলাম। অতএব উভয়ের পরিণতি একই হবে। সূদ থেকে তওবা করলেই তবে তারা মুক্তি পাবে (স.স.)]

বিদায় নেইল আর্মস্ট্রং

আমেরিকার মহাকাশ যান এ্যাপোলো-১১-এর নভোচারী দলের নেতা নেইল আর্মস্ট্রং (১৯৩০-২০১২) গত ২৫শে আগষ্ট শনিবার ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৯৬৯ সালের ২১শে জুলাই তিনি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী প্রথম মানুষ। তাঁর ২০ মিনিট পরে নামেন সাথী এডুইন অলড্রিন। ২ ঘণ্টা ৩১ মিনিট চাঁদের পিঠে অবস্থান করে ২৪শে জুলাই তারা পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তারপর বিশ্বব্যাপী ভক্তদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা সফরে তারা বিশ্ব ভ্রমণে বের হন। যার এক পর্যায়ে ২৭শে অক্টোবর বিমানে তারা বোম্বাই থেকে অপরাহ্নে ঢাকা এসে নামেন।

[ঐদিন সারা দেশে আনন্দের বান ডেকেছিল। যদিও অনেকে এটাকে মিথ্যা ও কুফরী বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। মানুষ ছুটছে ঢাকা। আমিও তার মধ্যে একজন। কড়া প্রহরা বেষ্টনীতে বন্দী তেজগাঁও বিমানবন্দর। কার সাধ্য সেখানে ঢোকে। কিন্তু তারুণ্য কোন বাধা মানেনা। ভিতরে যাবই। কাছ থেকে দেখবই। অলি-গলি, ফাঁক-ফোকর সব দিকে বন্ধ। আম-নারিকেল-তালগাছে ওঠায় আমি পটু। ভাবলাম, কোন কায়দায় পাচিল টপকিয়ে ওপারে লাফিয়ে পড়ব। কিন্তু বেরসিক পুলিশগুলোই যত বাধা। কিন্তু না। আমাকে ঢুকতেই হবে। হঠাৎ গগণবিদারী চিৎকার ধ্বনি। ঐ দেখা যায় সাদা প্লেন। ঐ নামলো চাঁদের মানুষগুলো। হাঁ, এবারই সুযোগ। পুলিশের নযর আকাশমুখো। অতএব গুড়ি মেরে ভো ছুট। এক নিঃশ্বাসে চলে গেলাম ভিতরে সোজা টারমাকে। আমার পিছে পিছে আরও বহু লোক। প্রহরা ভেঙ্গে গেল। পৌঁছে গেলাম বিমানের পাশে। খোলা জীপে দাঁড়িয়ে আছেন স্বপ্নের তিনটি মানুষ। লাখো মানুষকে তারা হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। চোখ ভরে দেখলাম কাছ থেকে। কে পুলিশ, কে পুলিশ নয়, তখন সবাই একাকার। সে দৃশ্য যেন আজও চোখে দেখতে পাচ্ছি। পরবর্তীতে প্রায় সকল পত্রিকায় নেইলের বক্তব্য বের হয়েছিল এই মর্মে যে, তিনি চন্দ্রপৃষ্ঠের মাঝখান দিয়ে লম্বা রেখা দেখে বিস্মিত হন। যা খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার প্রমাণ হিসাবে তিনি প্রত্যক্ষ করেন এবং তিনি ইসলাম কবুল করেন। কিন্তু মার্কিন সরকার তাঁকে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দেন। ফলে তিনি আর কোনদিন এ বক্তব্য দেননি। এমনকি জনসমক্ষে আসাই ছেড়ে দেন। সেজন্যই হয়তবা এখন তাঁকে বলা হচ্ছে প্রচারবিমুখ ও নিভৃতচারী। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত (স.স.)]







আরও
আরও
.