ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রামীণ সঞ্চয় আহরণ, সঞ্চয় কার্যক্রমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং সঞ্চয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সঞ্চয়পত্র চালুর উদ্দেশ্য। কিন্তু বাস্তব চিত্র তা থেকে ভিন্ন। জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্পগুলোর বিক্রয় পরিস্থিতি ও সূদ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী হ’তে জানা যায়, সরকার ১০ বছরে সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে সূদ দিয়েছে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জাতীয় সঞ্চয় স্কিমে (কর্মসূচী) সরকারের পুঞ্জীভূত দায় ২ লাখ ৩৯ হাযার ৩২৮ কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কয়েকটি বন্ডসহ বর্তমানে ১১ ধরনের সঞ্চয় কর্মসূচী চালু রয়েছে। এর মধ্যে ধনী লোকেরা যেসব সঞ্চয়পত্র কিনে রাখেন, সেগুলোতেই সূদের হার বেশী। আইআরডির তথ্য মতে, সরকারকে বেশী সূদ দিতে হয় পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে। এগুলোতে সূদের হার ১১ দশমিক ২৮ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ মানুষ এই উচ্চ সূদের ভাগীদার হ’তে পারলেও বেশী সুবিধা নিচ্ছেন ধনীরা। এই শ্রেণীর মধ্যে রয়েছেন সমাজের প্রভাবশালী অংশ অর্থাৎ মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, আমলা, এমনকি অবসরপ্রাপ্ত আমলারা।






আরও
আরও
.