স্বর্ণ মওজুদে
সর্বশীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র আর দশম অবস্থানে রয়েছে ভারত। এক্ষেত্রে অনেক বছর
ধরেই বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে দেশটির
মওজুদের পরিমাণ মোট ৮,১৩৩ দশমিক ৫ টন। ইউরোপীয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশী
স্বর্ণের মওজুদ আছে জার্মানিতে। দেশটির মোট স্বর্ণের মওজুদ ৩,৩৭১ টন। ২০১৭
সালে দেশটি ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি ব্যাংক থেকে ৬৭৪ টন স্বর্ণ দেশে
ফিরিয়ে এনেছে। বহু বছর ধরে একই পরিমাণ স্বর্ণের মওজুদ বজায় রেখেছে ইতালি।
বর্তমানে তাদের মওজুদের পরিমাণ ২,৪৫১ দশমিক ৮ টন। স্বর্ণ মওজুদে চতুর্থ
স্থানে আছে ফ্রান্স। বর্তমানে দেশটির স্বর্ণ মওজুদের পরিমাণ মোট ২,৪৩৬ টন।
পঞ্চম স্থানে আছে রাশিয়া। তাদের মওজুদ মোট ১,৯০৯ দশমিক ৮ টন। ২০১৭ সালে ২২৪
টন স্বর্ণ কেনার কারণে চীনকে টপকাতে পেরেছে রাশিয়া। সুইজারল্যান্ডের
স্বর্ণের মওজুদ আছে ১ হাযার ৪০ টন। মওজুদের পরিমাণের বিচারে সপ্তম অবস্থানে
থাকলেও মাথাপিছু মওজুদের ক্ষেত্রে দেশটি এক নম্বরে আছে। দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ইউরোপের স্বর্ণ বেচাকেনার প্রধান কেন্দ্র ছিল
সুইজারল্যান্ড, একই সাথে মিত্রশক্তি ও অক্ষশক্তি উভয়ের লেনদেন ছিল তাদের
সাথে। বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থনীতির দেশ জাপানে স্বর্ণের মওজুদ আছে ৭৫৬
দশমিক ২ টন। ২০১৬ সালে স্বর্ণ রিজার্ভে সুদের হার শূন্যতে নামিয়ে আনে
দেশটি, যার ফলে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের আদান-প্রদান বেড়ে যায়।
নেদারল্যান্ডসের প্রধান ব্যাংকে মওজুদ আছে ৬১২ দশমিক ৫ টন স্বর্ণ। সম্প্রতি
ব্যাংকটি বিপুল স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এনেছে। ভারতীয়দের স্বর্ণের
প্রীতি সর্বজনবিদিত। পৃথিবীতে স্বর্ণের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোক্তাও এ দেশটি।
স্বর্ণ মওজুদে দশম স্থান অধিকারী ভারতে বর্তমানে ৫৬০ দশমিক ৩ টন স্বর্ণের
মওজুদ আছে।