প্রত্যেক মানুষের দেহে যথেষ্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা যরূরী। কেউ সামান্য ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে গেলে তার ইমিউন সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক পদ্ধতির মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।

১. নিয়মিত ঘুম : রাত জাগলে ধীরে ধীরে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। খুব সহজেই দেহে রোগ-জীবাণু সংক্রমিত হয়। তাই রাতের ঘুমকে বাদ দেওয়া ঠিক নয়।

২. রসুন খাওয়া : বেশী বেশী রসুন খেতে হবে। এর নানা স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। নিয়মিত রসুন খেলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৩. লেবু, মধু, আদা, হলুদ ও উষ্ণ পানি : এটা একটা দারুণ টনিক। হালকা উষ্ণ পানিতে লেবুর রস, মধু, আদা কুচি এবং হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার হবে। এসব খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৪. চিকেন স্যুপ খাওয়া : চিকেন স্যুপে দেহের প্রদাহ দূরীকরণের উপাদান রয়েছে। মুরগীর সঙ্গে পেঁয়াজ, মিষ্টি আলু, গাঁজর, শালগম ইত্যাদি সবজি দিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। মুরগির স্যুপে আরো আছে কারনোসিন নামের এক ধরনের উপাদান যা ঠান্ডা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর।

৫. ব্যায়াম : অভ্যাস না থাকলেও সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন দিন শরীরচর্চা করা উচিত। ব্যায়ামের ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এতে ফুসফুস থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। রক্তের শ্বেতকণিতা সুষ্ঠুভাবে প্রবাহিত হয়। ফলে এরা সহজে রোগ চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কাজ করে।

৬. সকালে এক কাপ চা : চায়ে উপস্থিত অ্যালকাইলামিনস নামের উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশ কাজ করে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। পিপারমিন্ট চায়ে হজম, আইবিএস ইত্যাদি সমস্যা উপশমে কাজ করে। তবে খালি পেটে চা পান করা উচিত নয়।

৭. সকালের নাশতায় দই : এতে আছে উপাকারী ব্যাকটেরিয়া। জার্নাল অব সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, দইয়ে আছে প্রোবায়োটিক যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ডি। এসবই রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৮. সূর্যের রশ্মি : এ আলোতে আছে ভিটামিন ডি। ইমিউন সিস্টেমের সুপারচার্জার হিসাবে কাজ করে ভিটামিন ডি। তবে এর জন্যে খুব বেশী সূর্যশ্মিতে বসে থাকার প্রয়োজন নেই।

হাত-পা ঘামছে?

Anti-Sweat যন্ত্র ‘বাইবিটে’ ঘরে বসেই চিকিৎসা সম্ভব। অতিরিক্ত হাত-পা ঘামের সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হচ্ছে বৈদ্যুতিক আয়োন্টোফোরেসিস পদ্ধতি, যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু দু’এক মাস পরপর চিকিৎসা নিতে হয়। বাংলাদেশেও নিজস্ব প্রযুক্তিতে এর জন্য Anti-Sweat যন্ত্র তৈরী করে প্রায় দুই যুগ ধরে সফল চিকিৎসা দিয়ে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খন্দকার ছিদ্দীক-ই রববানীর নেতৃত্বে একটি দল। খুব অল্প মূল্যের এ যন্ত্রটি ঘরে ব্যবহার করে হাযারেরও বেশী রোগী নিজেই চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। ইদানীং এ যন্ত্রটির বহুল প্রসারে দেশীয় জনকল্যাণমূলক, অলাভজনক কোম্পানী বাইবিট এগিয়ে এসেছে। রোগী নিজেই বাইবিট থেকে সরাসরি বা কুরিয়ারের মাধ্যমে এ যন্ত্রটি সংগ্রহ করতে পারেন। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোও এ যন্ত্র ব্যবহার করে সেবা দিতে পারে। বাইবিট সারা দেশে আকর্ষণীয় কমিশনে ডিলার নিয়োগের কাজ শুরু করেছে। যন্ত্রটির বিশদ বিবরণ পাওয়া যাবে <bbeat.com> ওয়েবসাইটে। বিভিন্ন মিডিয়ার প্রকাশিত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে ফেসবুক @BiBeatup পেজে। সরাসরি যোগাযোগের ফোন নম্বর- ০১৬৭৭৪৩৭৮০৯, ০১৮৪৩৫৯০০৬৯।

\ সংকলিত \







আরও
আরও
.