২০১৪ সালে খবর সংগ্রহের জন্য আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত প্রথম পশ্চিমা সাংবাদিক জার্মানির জুরজেন টোডেনহফার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে, মার্কিন রাজনীতিকরা সিরিয়াকে টুকরা টুকরা করে খন্ড-বিখন্ড যুদ্ধ এলাকায় পরিণত করতে চলেছে। তিনি মনে করেন, যুদ্ধবিরতির পর এখন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হ’ল ওয়াশিংটনকে এই প্রাণঘাতী যুদ্ধে ইন্ধন যোগানোর অবসান ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরাককে বিভক্ত করেছে। তারা লিবিয়াকে বিভক্ত করেছে। এখন তারা সিরিয়াকে চার বা পাঁচ টুকরো করতে পারে যাতে বিভক্ত দেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।
তিনি আইএস সম্পর্কে বলেন, আমাদের প্রদর্শন করতে হবে যে তাদের মতাদর্শ ভুল, এ মতাদর্শ ইসলাম বিরোধী। মানুষকে আমাদের দেখাতে হবে যে এটা ভুল পথ, এটা একটি সমস্যারও সমাধান করবে না। আইএস সহানুভূতিশীলদের দেখানো উচিত যে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এর মধ্য দিয়ে তারা ইসলামের কোন সেবা করছে না, বরং তারা ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা ইসলামের জন্য বিপদ। আর তারা অন্তত মধ্যপ্রাচ্যে যেসব লোককে হত্যা করছে তাদের অধিকাংশই মুসলমান।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় গত পাঁচ বছর ধরে চলা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সমন্বিত উদ্যোগে গত ২৭শে ফেব্রুয়ারী থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। তবে তা সিরিয়াবাসীদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে কি-না তা এখনো নিশ্চিত নয়। বরং এখন সিরিয়া রাষ্ট্র হিসাবে টিকে থাকে কি-না সেই প্রশ্ন সামনে আসতে চলেছে।