প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মকে অস্বীকার করা নয়। শূকরের মাংস, মদ ও গাঁজা খেয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলেন, তারা পারভারটেড (বিপথগামী)। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হেফাজত কিংবা অন্য যেকোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আদর্শে ভিন্নতা ও মতবিরোধ থাকলেও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী (দেশের অভিভাবক) হিসাবে যা ভালো মনে করেছি তাই করেছি।
গত ৪ঠা জুন রোববার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান শেষে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে দুই সংগঠনের নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী আলোচিত দু’টি ইস্যুতে হেফাজত বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
অতঃপর সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাষ্কর্য অপসারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ঈদগাহ সংলগ্ন সুপ্রীম কোর্টের যে স্থানটিতে গ্রীক গড অব থেমিসের আদলের ভাষ্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছিল সেই ভাষ্কর্যের গায়ে শাড়ি পরানো হ’ল কেন? ভাষ্কর্য স্থাপনের আগে বাইরে থেকে সুপ্রীম কোর্টের প্রবেশপথে দেশের মানচিত্র দেখা যেত। ঐটি স্থাপনের পর সেটি ঢেকে যায়। তাছাড়া জাতীয় ঈদগাহের সামনে ছালাতের সময় এটি দেখা গেলে দৃষ্টিকটু লাগত। তাই ওটি সরানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সুলতানা কামাল ও শাহরিয়ার কবীরের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ভাষ্কর্য সরানোর ফলে অনেকে ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে ধর্ম গেল গেল বলে চিৎকার করছেন। আন্দোলন করছেন। কেউ কেউ ভাষ্কর্য সরালে মসজিদও সরাতে হবে এমন কথাও বলছেন।
তিনি ইমরান এইচ সরকার (গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র)-এর সমালোচনা করে বলেন, যাদের তিনি জিরো থেকে হিরো বানিয়েছিলেন তারা এখন আন্দোলন করছেন। তারা কি ভুলে গেছেন শাহবাগে তাদের যখন হেফাজতিরা তাড়া করেছিল, তখন তাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁচিয়েছিল।
বাস্তবতা বিবেচনা না করে অনেক মন্ত্রী তার বিরুদ্ধে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার পাশে বসে থাকা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ছাড়াও রাশেদ খান মেনন ও আসাদুজ্জামান নূরের নাম উল্লেখ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে কথা বলার আগে তারা পদত্যাগ করতে পারতেন।
[ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সাথে নাস্তিকগুলোকে মন্ত্রীসভা থেকে ছাটাই করার আবেদন রইল (স.স.)।]