কেবল আশা-দুরাশার মাঝে

মানুষেরা এই পৃথিবীতে ঘর বাঁধে।

মিটিয়াছে কি কাহারো সে স্বপ্ন সাধ আশা-দুরাশা?

জানাইতে তাহা এই পৃথিবীতে এখনো মেলেনি ভাষা।

কত সাধ কত আশা কত রঙ্গীন স্বপ্ন বুকে লয়ে

অকুল পাথারে পাড়ি জমাইতে চলে জীবন তরীটি বেয়ে।

খুঁজিয়াছে আজীবন কোথা প্রেম-প্রীতি ভালবাসা মহববত?

জীবনতরীর পাল ছিঁড়ে যায় ভেঙ্গে যায় হাল তবু করে কসরত।

সাগরে ভাসাইয়া সপ্ত ডিঙ্গা মানুষ নিরন্তর

একুল ওকুলে খুঁজিয়া ফিরিছে শুধুই জীবনভর।

কার বুকে আছে প্রেম-প্রীতি আছে স্বজনের বাস

পারলে জুড়াইয়া ফেলিত দুঃখ-বেদনার অগ্নিভরা নিঃশ্বাস।

কিন্তু আশা কুহকিনি যাহা মিটিবার নহে এই পৃথিবীর কোন খানে

দুরাশাই কেবল বাসা বেঁধে আছে ধরণীর সব স্থানে।

মায়ের বুকে রহিয়াছে কত ভালবাসা অকৃত্রিম স্নেহ

কত কষ্ট-ক্লেশে লালন করিছে শিশুটিরে তার ভেবে দেখে না কেহ।

একটু দুঃখ-বেদনা পাইলে শিশু সন্তানটি তার

চোখের পানিতে বুক ভাসে আর ফেটে যায় অন্তর।

পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজনের বুক ভরা ভালবাসা

মিটাতে পারে না এই ভব পরে জীবনের সব আশা।

দু’দিনের এই খেলাঘরে চলে কেবল স্বার্থের তরে ভালবাসা

স্বার্থ ফুরালে সব চলে যায় দেখে না দুঃখ-দশা।

ভাই-বোন আর আত্মীয়-স্বজন কেহই কারো নয়

সুখ ও শান্তি প্রাপ্তির লোভে ক্ষণেক আপন হয়।

আকাশচুম্বি বাড়ী আর ব্যাংকে বোঝাই টাকা

শীতাতপ বাড়ী ও গাড়ীতে বসেও পায় না সুখের দেখা।

কত ক্ষেত-খামার শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে

তবুও যেন শুধু খাবি খায় দুরাশার গহবরে পড়ে।

মিটে না সাধ মিটে না আশা সুখের ধরণী তলে

আজীবন হেথা আশা দু’রাশার জ্বালাময় বহিণ জ্বলে।

হেথায় কাহারো মিটিবে না আশা তবু মিছামিছি খেলা খেলে

সব আশা তার মিটিয়া যাইবে অাঁধার কবরে গেলে।







আরও
আরও
.