-মুহাম্মাদ মুমিনুল ইসলাম

প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, দৌলতপুর কলেজ, কুষ্টিয়া।

হে মুওয়াযযিন! হাকোরে আযান রাত যে প্রভাতে চায়

রাতের চাদরে নাহি ঢেকে আর ধরণী জাগিয়া যায়।

ঘুমাইওনা আর, শয়নকে ছাড়ো, ঘুমিয়েছো একটানা

পূব আকাশের লালীমা ঢাকিতে ইবলীস মেলে ডানা।

ঘুমাইওনা তুমি, ঘুমিয়েছে জাতি তোমার আশাতে রয়ে

জাগাও সে জাতি প্রত্যুষকালে কান্ডারি মহা হয়ে।

‘নিদ্রা হ’তে ছালাত উত্তম’ আর কে এ কথা বলে

তুমি বিনা আর নেই কেউ জেনো আল্লাহর ধরণী তলে।

ঘুমন্তদের নীরবতা ভাঙ্গো আযানের ধ্বনি হেকে

পাড়া-মহল্লা সরব করো আযানের সুরে ডেকে।

ঘরে ঘরে সব আড়মোড়া ভেঙ্গে মসজিদে যেন ছুটে

চারণে তাদের মসজিদ-পাড়া মুখরিত হয়ে উঠে।

এই দেখে যেন ইবলীস কাঁদে আফসোস করে শুধু

ওদের দুনিয়া হয়ে যাক ঘোর, মরুভূমি হোক ধূ-ধূ।

তাকবীর ছাড়ো হাকোরে আযান দিকে দিকে তুলো সুর

জাগাও এ জাতি, জানাও তাদের মসজিদ নয় দূর।

শয্যা ছেড়ে পা পা করে হেঁটে যেন যায় সবে

সেথা যে সুখের স্বর্গ রচিবে, স্রষ্টাতে প্রেম হবে।

সেথা গিয়ে হবে আল্লাহর দীদার, মুক্তির যত দাবী

মসজিদে আছে আল্লাহর দেওয়া জান্নাতের ঐ চাবি।

ফরয ছালাত নূর হবে জেনো কাল-ক্বিয়ামত দিনে

আঁধার রাতে ছালাত পড়িতে যাবে যে পথ চিনে।

বরকত হবে সারাটা দিনের জীবিকার যত আয়ে

আলোচিত হবে নাম মুছল্লীর ঐ আরশের ছায়ে।

এসবের কথা আযানের সুরে মানুষের কানে বলো

হে মুওয়াযযিন, আর ঘুমাইওনা মসজিদে ত্বরা চলো।

তুমি যে নক্বীব, মুসলিম চলে তোমার ঐ আহবানে

ঘুমাক শুধু ইবলীস-গং মুনি-রূপী শয়তানে।

শিয়রে তোমার ইসলাম জেগে, ঘুম তোমার না সাজে

উঠো মুওয়াযযিন হাকো আযান ছুবহে ছাদিক মাঝে।

ঐ আযান ঐ হেরার আদেশ দিকে দিকে দাও ছড়ি

পুরো পৃথিবী মুখরিত করো আযানেতে দাও ভরি।






আরও
আরও
.