পানি ছাড়া কোন প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। আমাদের শরীরে প্রায় দুই-তৃতীয়ংশই পানি রয়েছে। আর সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পানির বিকল্প নেই। কিন্তু সারা দিনে কতটুকু পানি পান করতে হবে? কখন বেশী ও কখন কম পান করা উচিত? পর্যাপ্ত পানি পানের যেমন সুফল আছে, তেমনি অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। তাই পানি পানের পদ্ধতি জানা দরকার। জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৪৫-৫০ শতাংশ মানুষেরই এই বিষয়ে কোন জ্ঞান নেই। ফলে পানি পান করে সবাই তৃষ্ণা মেটায় বটে। কিন্তু সেই সঙ্গে শরীরেরও মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলে। এর একটি হ’ল দাঁড়িয়ে পানি পান করা, যা কখনই উচিত নয়। কারণ এতে শরীরের ভিতরে থাকা ছাকনিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে তা ঠিক মতো কাজ করতে পারে না এবং পানিতে বিদ্যমান অস্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো রক্তে মিশতে শুরু করে। এতে এক সময়ে শরীরে টক্সিনের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে, একাধিক অঙ্গের উপর তার খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শরীরে আরো নানারকম ক্ষতি হয়। যেমন-

(১) পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয় : দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। সেই সঙ্গে পাকস্থলীতে বিদ্যমান অ্যাসিডের কর্মক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। ফলে বদ হজমের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায়  তলপেটে যন্ত্রণাসহ নানা ধরনের শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়।

(২) আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় : দাঁড়িয়ে পানি পান করার সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের সম্পর্ক রয়েছে। এক্ষেত্রে শরীরের ভিতর থাকা কিছু উপকারী রাসায়নিকের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে জয়েন্টের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। যারা ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্ত তাদের ভুলেও দাঁড়িয়ে পানি পান করা যাবে না।

আমাদের শরীরে প্রায় দেড় লিটার পর্যন্ত পানি জমতে পারে। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকলে একবারে বেশী পানি পান করা সম্ভব হয় না। ফলে দেহে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। বারবার তৃষ্ণা পায়। আর সবসময় আর হাতের কাছে পানি থাকে না। তাই সারা দিনে পানি অনেক কম পান করা হয়। তৃষ্ণার সময় পানি পানের আগে কোথাও বসে বিশ্রাম নিয়ে একটু সময় নিয়ে বেশী করে পানি পান করলে শরীর সুস্থ থাকবে মনও ভাল থাকবে।






আরও
আরও
.