ডাবের
পানি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি পানীয়। সুস্থতার জন্য যরূরী আরেকটি
প্রাকৃতিক উপাদান মধু। ডাবের পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে
বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। এক গ্লাস ডাবের পানিতে এক টেবিল চামচ মধু
মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে নাশতার আগে পান করা অত্যন্ত উপকারী। এতে বিভিন্ন
উপকারিতা রয়েছে, তা নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-
১. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে : ডাবের পানির সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। সেই সাথে হার্টের পেশির কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে। ফলে কোন ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। আর রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
২. এনার্জির ঘাটতি দূর হয় : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই পানীয়টি পান করলে শরীরে বিশেষ কিছু খনিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে সহজে শরীর ক্লান্ত হয় না।
৩. শরীর ও ত্বকের উন্নতি : ডাবের পানি ও মধু মিশিয়ে তৈরী পানীয়তে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন- এ রয়েছে, যা শরীরকে নানা রকমের ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ফলে শরীর ভেতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এ কারণে শরীর ও ত্বকের লাবণ্য বজায় থাকে।
৪. হজমশক্তি বাড়ায় : প্রতিদিন ডাবের পানির সঙ্গে মধু পান করলে অ্যাসিড উৎপাদনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি ও কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা দূরে থাকে।
৫. খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় : যারা কোলেস্টরলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ডাবের পানি ও মধু বেশ কার্যকর। এ পানীয় নিয়মিত পান করলে অল্প দিনেই কোলেস্টেরল লেভেল একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এছাড়া এই পানীয়টি খেলে রক্তনালীতে জমতে থাকা কোলেস্টরল বা ময়লাও পরিস্কার হয়ে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকসহ নানা জটিল রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : শরীরে বিভিন্ন ব্যথা কমানোর পাশাপাশি যেকোন ধরনের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে ডাবের পানি ও মধু অত্যন্ত উপকারী। কারণ এই দু’টিতেই রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক প্রপাটিজ, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই করে। এই পানীয়টিতে বিদ্যমান ভিটামিন এবং মিনারেল কোষকে উজ্জীবিত করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।
৭. কিডনীর কর্মক্ষমতা বাড়ায় : শরীর থেকে ময়লা ও ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয় কিডনী। কিন্তু কিডনীকেও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন ডাবের পানি ও মধু মিশিয়ে পান করলে কিডনী পরিষ্কার থাকে। ফলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়েই যায়, কিডনীও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
প্রতিদিন ১টি এলাচ দূর করতে পারে ৮টি স্বাস্থ্য সমস্যা
এলাচ রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূরে রাখে। এজন্য প্রতিদিন মাত্র ১টি এলাচ খাওয়ার অভ্যাস করা ভাল। নিম্নে এলাচের গুণাগুণ উল্লেখ করা হল।-
১. এলাচ ও আদা সমগোত্রীয়। আদার মতই পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অতি কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিয়ে চাবালে উপকার হবে।
২. দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে।
৩. রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এলাচের রক্ত পাতলা করার দারুণ গুণটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
৪. এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
৫. মুখে খুব বেশী দুর্গন্ধ হ’লে একটি এলাচ নিয়ে চুষতে থাকলে এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
৬) নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়া সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৭. গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
৮. এলাচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল, ফ্রি র্যাহডিকেল ইত্যাদি পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এলাচ ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়ক। \ সংকলিত \