দেশে অস্বাভাবিক হারে কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গত ৮ বছরে (২০০৯-১৬) কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ হাযার। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর শেষে এ দেশে কোটিপতি ছিলেন ১৯ হাযার জন। ২০১৬ শেষে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৬ হাযারে। তবে কোটিপতির সংখ্যা বাড়লেও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আমানত বাড়েনি, বরং আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ২০০৮ সালে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের আমানত ছিল মোট আমানতের ৩৬ শতাংশ, গত বছর শেষে তা নেমেছে ৮ শতাংশে। দেশে শুধু কোটিপতির সংখ্যাই বাড়ছে না। বাড়ছে ঋণখেলাপির সংখ্যাও। বর্তমানে দেশে ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২,০২,৬২৩ জন। গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অবলোপনসহ বেড়ে হয়েছে এক লাখ ১৮ হাযার কোটি টাকা।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কোটিপতি অ্যাকাউন্টের সংখ্যাই শুধু বাড়েনি, তাদের আকাউন্টে জমার পরিমাণও অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, ক্ষুদ্র আমানতকারীদের সংখ্যা না বাড়ার অর্থই হ’ল দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়ে যাচ্ছে। ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। অপর দিকে গরীবরা আরো গরীব হচ্ছে।
[সূদী অর্থনীতির এটাই হ’ল পরিণতি। আখেরাতের পরিণতি আরও ভয়াবহ (স.স.)]