পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রতি সেকেন্ডে ১৮.৫ মাইল বেগে তার অক্ষে ঘুরছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টায় একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করে। আর

সূর্যের চারপাশে একটি পূর্ণ বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে প্রায় ৩৬৫ দিন লাগে। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি যে, মাত্র এক সেকেন্ডের জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে গেলে কি হ’তে পারে? হ্যাঁ পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হ’লে এক সেকেন্ডের মধ্যেই মানবজাতি হারিয়ে যেতে পারে।

পৃথিবীর এই ঘূর্ণন আমাদের পৃথিবীর প্রাণ ও পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পৃথিবীর ঘূর্ণন দিন-রাতের যে চক্র রয়েছে, তার ওপরে প্রভাব ফেলে থাকে। আবহাওয়ার ধরন থেকে শুরু করে মহাসাগরের আচরণ পর্যন্ত পৃথিবীর ঘূর্ণনের ওপরে নির্ভরশীল। নিরক্ষরেখা বরাবর পৃথিবীর পৃষ্ঠ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১ হাযার ৬০০ কিলোমিটার বেগে ঘুরছে। এই গতি হঠাৎ থেমে গেলে নেমে আসবে বিপর্যয়। এখন যা কিছু ভূপৃষ্ঠে স্থির রয়েছে, তা ধ্বংসাত্মক গতিতে পূর্ব দিকে উৎক্ষিপ্ত হবে।

ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে গেলে হাযার হাযার হারিকেনের শক্তি নিয়ে বায়ুমন্ডল পৃথিবীর ওপর ভেঙে পড়বে। গাছপালা উপড়ে যাবে, নদীর গতিপথ বদলে যাবে। আকস্মিকভাবে পৃথিবীর ঘূর্ণি থামলে ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয়ও দেখা যাবে। গতিবেগের পরিবর্তনের ফলে বড় ধরনের ভূমিকম্প ও সুনামী হ’তে পারে। গ্রহের ঘূর্ণনের কারণে মহাসাগরগুলোর অবস্থানগত পরিবর্তনও দেখা যাবে। ফলে সমুদ্রের বিশাল ঢেউ উপকূলরেখাকে প্লাবিত করবে।

পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হ’লে কি হবে, তা নিয়ে নিজেদের নানা ভাবনা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্পদার্থ বিজ্ঞানী টাইসন বলেন, ঘূর্ণন আকস্মিকভাবে থেমে গেলে পৃথিবীর সবাই মারা যাবেন।

অ্যাস্ট্রোনমি ডট কমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবী চারপাশে অদৃশ্য চুম্বকীয় ক্ষেত্রের একটি জাল বিস্তৃত রয়েছে। যা মহাজাগতিক রশ্মি ও সূর্য থেকে আসা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ঝড় থেকে আমাদের রক্ষা করে। এক সেকেন্ডের জন্য ঘূর্ণন বন্ধ হলে চৌম্বক ক্ষেত্রটির প্রভাব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পৃথিবীর ঘূর্ণন থেমে গেলে মহাজাগতিক সংকট তৈরি হবেই।







আরও
আরও
.