হাত স্থির করে ধরে রাখতে বললে পারেন না। স্পষ্ট দেখা যায় হাত কাঁপছে। কারও কারও মাথা, মুখ কিংবা পা-ও কাঁপতে দেখা যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হাতেই সমস্যাটা দেখা যায়। সাধারণত ৪০ বছরের বেশী বয়সে প্রতি ২৫ জনে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা একে বলেন, ট্রেমর। ট্রেমরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হ’তে হয়। এত দিন ওষুধ প্রয়োগ, নয়তো মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারই ছিল এর সমাধান। তবে লন্ডনের সেন্ট মেরি’স হাসপাতালের একদল চিকিৎসক দাবী করছেন, মস্তিষ্কের একদম গভীরে শব্দতরঙ্গ পাঠিয়ে ট্রেমর রোগীকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তারা। ইংল্যান্ডের কর্নওয়ারের সেলউইন লুকাস (৫২) নামের ঐ ব্যক্তি চিকিৎসার পর বলেছেন, এখন তিনি স্থিরভাবে তার ডান হাত ধরে রাখতে পারেন।
কোন রকম শল্যচিকিৎসা ছাড়াই ঐ চিকিৎসক দল ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং (এমআরই) নিয়ন্ত্রিত উচ্চ-তরঙ্গের শব্দ বা আলট্রাসাউন্ড পাঠিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কে থাকা ট্রেমরের জন্য দায়ী টিস্যু ধ্বংস করেছেন। এই টিস্যু মাংসপেশিতে বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠাতে মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে।
তাদের মতে, এর মাধ্যমে শুধু ট্রেমরই না, পারকিনসনস রোগের মতো অনিচ্ছাকৃত কম্পনজনিত অন্যান্য সমস্যায়ও ফলপ্রসূ হ’তে পারে। তাদের মতে, নতুন এ পদ্ধতি চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। কারণ এরূপ সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসা ছাড়াই রোগীকে সারিয়ে তোলা যাবে।