কখনো সব শেষ হয় লবণে। কখনো সর্বস্ব ভেসে যায় সর্বনাশা ঝড়ে। এমন সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের শঙ্কায় নির্ঘুম সময় কাটানো বাংলাদেশী কৃষকদের আশার আলো দেখাতে পারে জাপানী বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত একটি নতুন জাতের লবণ সহিষ্ণু ধান। জিনগত উন্নতির পথ খুঁজে বের করে এই ধানটি আবিস্কার করেছে জাপানের জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনএআরও।

ধানটি জাপানের পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলে কৃষকদের উপকারে আসতে পারে। বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের এই দিনগুলোতে এই আবিষ্কার আরও নতুন জাতের সন্ধান দেবে বলে আশা প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীদের। সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ জাপানের উপকূলীয় এলাকাসহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশের অর্ধেকের বেশী আবাদি জমি লবণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখনই ধানের উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে।

সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী ইউসাকু উগা বলেন, ‘লবণাক্ত জমিতে এর ফলন কয়েক গুণ বাড়বে। জিনটি পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়ার এক প্রকার ধানে, যার শিকড়গুলো স্থল পৃষ্ঠের বরাবর বেড়ে ওঠে। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের সাহায্য করতে আরও গবেষণার মাধ্যমে তারা নতুন নতুন লবণ সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনের চেষ্টায় আছেন। তারা ২০১৫ সাল থেকে টানা চার বছর সাসানিশিক ধান এবং ইন্দোনেশিয়ান ধানের শংকর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। তারা বলছেন, জেনেটিক্যালি উন্নত এই ধান লবণাক্ত পানিতে ১৫ শতাংশ বেশি ফলন দেবে।

উল্লেখ্য, খরা ও উচ্চ মাত্রায় লবণাক্ত মাটি ধানের চারাকে পানিতে বেড়ে উঠতে দেয় না। মাটি আবার অনেক শক্ত হয়। ফলে লবণের আধিক্য চারাগাছগুলোর অক্সিজেন কমিয়ে দেয়।






আরও
আরও
.